Skip to content

সূরা বাকারার ১১ ও ১২ নং আয়াতের অনুবাদ, ব্যাখ্যা ও শিক্ষা

সূরা বাকারার ১১ ও ১২ নং আয়াতের অনুবাদ, ব্যাখ্যা ও শিক্ষা

প্রিয় দ্বীনি ভাই-বোন, এ পাঠটি শেষ অবধি পড়লে আপনি- সূরা বাকারার ১১ ও ১২ নং আয়াতের অনুবাদ, ব্যাখ্যা ও শিক্ষা সম্পর্কে জানতে পারবেন।

নিম্নে সহজ ও সংক্ষিপ্তভাবে সূরা বাকারার ১১ ও ১২ নং আয়াতের অনুবাদ, ব্যাখ্যা ও শিক্ষা তুলে ধরা হলো-

অনুবাদ

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম।

১১.وَإِذَا قِيلَ لَهُمْ لَا تُفْسِدُوا۟ فِى ٱلْأَرْضِ قَالُوٓا۟ إِنَّمَا نَحْنُ مُصْلِحُونَ

ওয়া ইযা- কীলা লাহুম লা-তুফছিদূফিল আরদিকা-লইন্নামা- নাহনুমুসলিহূন।

আর যখন তাদের বলা হয়, ‘পৃথিবীতে অশান্তি সৃষ্টি করো না’ তখন তারা বলে, ‘আমরাই তো শান্তি স্থাপনকরী।’
১২.أَلَآ إِنَّهُمْ هُمُ ٱلْمُفْسِدُونَ وَلَٰكِن لَّا يَشْعُرُونَ

আলাইন্নাহুম হুমুল মুফছিদূনা ওয়ালা- কিল্লা- ইয়াশ‘উরূন।

সাবধান! এরাই সন্ত্রাস সৃষ্টিকারী, কিন্তু এরা তা উপলব্ধি করে না।

ব্যাখ্যা ও শিক্ষা

মহান আল্লাহ মুনাফিকদেরকে উদ্দেশ্য করে যখন সমাজে অশান্তি, সন্ত্রাস ও বিপর্যয় সৃষ্টি করতে নিষেধ করেন তখন তারা বলে, আসলে আমরাই হলাম প্রকৃত শান্তিকামী-শান্তি স্থাপনকারী। কিন্তু তারাই যে সত্যিকার অর্থে অশান্তি ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী এ চেতনাই তাদের নেই। স্বার্থপরতায় নিমজ্জিত কপট লোকদের এটাই বৈশিষ্ট্য। তারা কখনো নিজেদের ভুলের প্রতি নযর দিতে সময় পায় না।

▣ মূলত মুনাফিকরা নিজেদের সৃষ্ট সন্ত্রাস ও বিশৃঙ্খলাকে মীমাংসা এবং নিজেদেরকে মীমাংসাকারী মনে করে।

▣ প্রকাশ্যভাবে ফাসাদ সৃষ্টিকারী চোর-ডাকাতের প্রতিকার করা তো সহজ; কিন্তু যারা কপটচারিতায় মানবতা হারিয়ে ফেলেছে, তাদের কল্যাণের ছদ্মাবরণে বরং সমাজে বিপর্যয় প্রসার লাভ করে। অতএব মুনাফিকী চরিত্র বর্জন করে খাঁটি মুসলিমদের জীবন শুরু করতে হবে।

সারসংক্ষেপ

মুনাফিকরা মানবতার শত্রু, সমাজের শত্রু, জাতির শত্রু ও ইসলামের শত্রু। এরা সমাজে-দেশে- দলের মধ্যে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে। সমাজের মানুষের মধ্যে হিংসা-বিদ্বেষ ঝগড়া-ফাসাদ-সন্ত্রাস সৃষ্টি করে নিজের ফায়দা হাসিলের ধান্ধায় থাকে এ জন্য এদের থেকে সাবধান থাকতে হবে।

See also  সূরা আল বাকারা-এর নামকরণ

[সূত্র: ওপেন স্কুল]

Leave a Reply

nv-author-image

inbangla.net/islam

Islamic information to the point!View Author posts