নিম্নে হারাম খাদ্যের পরিণাম সংক্রান্ত ১টি বিষয়ভিত্তিক হাদিসের অনুবাদ, ব্যাখ্যা ও শিক্ষা তুলে ধরা হলো-
অনুবাদ
হযরত জাবির (রা) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন,
“রাসূলুল্লাহ (স) বলেছেনঃ যে গোশত হারাম দ্বারা গঠিত, তা বেহেশতে প্রবেশ করবে না। আর প্রত্যেক হারাম মাল দ্বারা গঠিত দেহের জন্য দোযখই শ্রেষ্ঠ স্থান।”
(আহমদ, দারেমী ও বায়হাকী)
ব্যাখ্যা
আমরা যে সকল বস্তু খাই, তার নির্যাস বা সার পদার্থ আমাদের দেহের শিরা-উপশিরায় ও রক্তে মিশে দেহকে সবল, সতেজ ও কর্মক্ষম করে। শারীরিক অবকাঠামো গড়ে তোলে, বৃদ্ধি ঘটায়।
আল্লাহ তা‘আলা এ নিখিল বিশ্বে আমাদের জীবিকার জন্য সব রকম আয়োজন করেছেন। আমাদের দেহ গঠন ও পরিপুষ্টির জন্য যা প্রয়োজন তা আল্লাহ তা‘আলা আমাদের জন্য সৃষ্টি করেছেন। তা হালাল ও বৈধ উপায়ে উৎপাদন ও উপার্জন করার জন্য বলেছেন। আমাদেরকে বৈধটা গ্রহণ করার জন্য অনুমোদন দিয়েছেন।
মহান আল্লাহর ঘোষণা,
“আমি তোমাদেরকে জীবিকারূপে যেসব পবিত্র বস্তু দান করেছি তোমরা তা থেকে আহার করো।”
(সূরা বাকারা, আয়াত নং ১৭২)
আমাদের এ রিয্ক বা জীবিকা দু’রকমের। হালাল ও হারাম। আল্লাহ হালাল বা বৈধ রিযিক গ্রহণ করার অনুমতি দিয়েছেন। আর হারাম বা অবৈধ বস্তু গ্রহণ করতে নিষেধ করেছেন।
আবার দ্রব্যের মধ্যে কিছু আছে যা এমনিতেই আমাদের জন্য খাওয়া বা গ্রহণ করা অবৈধ ও হারাম। এ হারাম বস্তু খেয়ে আমাদের যে শরীর হবে; তা জাহান্নামের উপযুক্ত।
শিক্ষা
এ মহান বাণী থেকে আমরা যে শিক্ষা গ্রহণ করতে পারি তা হলো-
১. হালাল উপার্জন করে হালাল রিয্ক খেয়ে জীবিকা নির্বাহ করতে হবে।
২. হারাম উপায়ে অর্জিত ও উপার্জিত জীবিকার দ্বারা গঠিত শরীরের রক্ত-মাংস অপবিত্র।
৩. হারামের শরীর কখনও বেহেশতে প্রবেশ করবে না।
৪. হারামের দ্বারা গঠিত শরীর জাহান্নামেরই উপযুক্ত। জাহান্নামের আগুনে তা দগ্ধ হবে।
সারসংক্ষেপ
উপরোক্ত আলোচনার মাধ্যমে আমরা হারাম খাদ্যের পরিণাম সংক্রান্ত ১টি বিষয়ভিত্তিক হাদিস থেকে শিক্ষা গ্রহণ করলাম।
অবৈধ সম্পদের দ্বারা লালিত-পালিত দেহ জাহান্নামের ইন্ধন হবে। তাই হারাম উপার্জন সর্বতোভাবে বর্জন করতে হবে। হালাল উপার্জনের মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করতে হবে। যত কষ্টই হোক হারাম উপার্জন ত্যাগ করে হালালের দিকে সকলেরই আসা অপরিহার্য।
[সূত্র: ওপেন স্কুল]