নিম্নে হালাল উপার্জনের গুরুত্ব সংক্রান্ত ১টি বিষয়ভিত্তিক হাদিসের অনুবাদ, ব্যাখ্যা ও শিক্ষা তুলে ধরা হলো-
অনুবাদ
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন,
“রাসূলুল্লাহ (স) বলেছেনঃ (অন্যান্য) ফরযের পর হালাল উপার্জনও একটি ফরয।”
(বায়হাকী)
ব্যাখ্যা
সালাত, রোযা, যাকাত, হজ্জ, জ্ঞান অর্জন করা, জিহাদে অংশগ্রহণ করা, সৎকাজের আদেশ দেওয়া এবং অসৎ কাজ হতে নিজেকে দূরে রাখা ইত্যাদি মুসলিমদের ওপর ফরয, । আর এর মাঝে অন্যতম ফরয হলো সম্পদ উপার্জনে হালাল পথ অবলম্বন করা। হাদিস দ্বারা ইসলামে জীবিকা নির্বাহের অবৈধ পথকে হারাম করা হয়েছে।
শিক্ষা
এ হাদিসের বক্তব্য থেকে বাস্তব জীবনে যে শিক্ষা গ্রহণ করতে পারি তা হলো-
১. মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের পূর্বশর্ত হলো হালাল উপার্জন।
২. উপার্জনে সৎপথ অবলম্বন করাকে ইসলাম ফরয করে দিয়েছে।
৩. হারাম পথে সম্পদ উপার্জন হালাল সম্পদকে কলুষিত করে।
৪. মহান আল্লাহ তা‘আলার সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য আমাদের সবার উচিত হালাল পথে সম্পদ উপার্জন করা।
৫. রাসূলুল্লাহ (স) নিজ হাতে খাদ্য উপার্জন করার জন্য তাকিদ প্রদান করেছেন।
রাসূলুল্লাহ (স) বলেন,
“নিজ হাতে উপার্জন করার চেয়ে উত্তম খাবার কেউই খায়নি। আল্লাহর নবী দাউদ (আ) নিজ হাতে উপার্জন করে জীবিকা নির্বাহ করতেন।”
(বুখারি)
৬. হারাম উপার্জনকারীর ইবাদাত আল্লাহর দরবারে কবুল হয় না।
৭. হারাম উপার্জনকারীদের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।
সারসংক্ষেপ
উপরোক্ত আলোচনার মাধ্যমে আমরা হালাল উপার্জনের গুরুত্ব সংক্রান্ত ১টি বিষয়ভিত্তিক হাদিস থেকে শিক্ষা গ্রহণ করলাম।
আল্লাহ তাআলা কুরআনের বিভিন্ন আয়াতে হারাম উপার্জন ত্যাগ করার জন্য নির্দেশ জারি করেছেন।
আল্লাহ বলেন,
“হে মানব জাতি! পৃথিবীতে যা কিছু হালাল ও পবিত্র বস্তু আছে তোমরা তা থেকে আহার কর এবং শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ করো না”।
(সূরা বাকারা, আয়াত নং ১৬৮)
একজন মুসলিম হিসেবে আমাদের জীবিকা নির্বাহের সকল উপকরণ বৈধ ও সঠিকভাবে হওয়া উচিত। হারাম পথে সম্পদ উপার্জন করে আল্লাহর ধ্যানে পীর-সন্ন্যাসী হলেও পরকালে নাজাত পাওয়া সম্ভব নয়। সে কারণেই আমাদেরকে উপার্জনে হালাল পথ অবলম্বন করতে হবে।
[সূত্র: ওপেন স্কুল]