Skip to content

কৃষিবিষয়ক আন্তর্জাতিক সংস্থা পরিচিতি

কৃষিবিষয়ক আন্তর্জাতিক সংস্থা পরিচিতি

বাংলাদেশের কৃষি উন্নয়নে অবদান রাখছে এমন ছয়টি আন্তজার্তিক প্রতিষ্ঠানের সংক্ষিপ্ত বিবরণ নিম্নে দেওয়া হলো-

(১) জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (FAO)

জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (Food and Agricultural Organization of the United Nations) ১৪ অক্টোবর ১৯৪৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। সংস্থাটি FAO নামে পরিচিত এবং এর সদর দপ্তর ইতালির রাজধানী রোমে অবস্থিত।

সংস্থাটির প্রধান উদ্দেশ্য:

  • বিশ্বের খাদ্য সরবরাহ বৃদ্ধির উদ্যোগ গ্রহণ করা।
  • উন্নত জাতের বীজ সরবরাহের ব্যবস্থা করা।
  • খাদ্য ও কৃষিপণ্যের উৎপাদন প্রক্রিয়াজাতকরণ, বিপণন ও বণ্টন ব্যবস্থা উন্নয়ন।
  • বালাই-এর আক্রমণ থেকে শস্যকে রক্ষা করার ব্যবস্থা করা।
  • বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলের জনগণের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন করা ও প্রয়োজনীয় পুষ্টির সরবরাহ বৃদ্ধি করা।
  • কৃষি উন্নয়নে সরকারকে বিভিন্ন পরিকল্পনা প্রণয়নে সহায়তা করা।

স্বাধীনতার দুই বছর পর ১২ নভেম্বর ১৯৭৩ সালে বাংলাদেশে FAO-এ যোগদান করে। তখন থেকেই FAO-বাংলাদেশকে মৎস্য, প্রাণিসম্পদ, বনসহ কৃষি খাতের বিভিন্ন ক্ষেত্রে উন্নয়নে সহযোগিতা করে আসছে। FAO-প্রতিনিধি অফিস ঢাকায় ১৯৭৮ সালে স্থাপনের মাধ্যমে বাংলাদেশের কৃষি উন্নয়নে FAO-সহযোগিতা আরও জোরদার হয়।

(২) আন্তর্জাতিক ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ইরি)

আন্তর্জাতিক ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (International Rice Research Institute IRRI) ১৯৬০ খ্রিস্টাব্দে ফোর্ড (Ford) এবং রকফেলার ফাউন্ডেশন (Rockefeller Foundation) এর সহায়তায় ফিলিপাইনে স্থাপিত হয়।

(৩) আন্তর্জাতিক ভুট্টা ও গম উন্নয়ন কেন্দ্র (CIMMYT)

আন্তর্জাতিক ভুট্টা ও গম উন্নয়ন কেন্দ্র (সিমিট) একটি অবাণিজ্যিক গবেষণা ও প্রশিক্ষণ সংস্থা। এটি খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত ও দারিদ্র্য দূরীকরণে ভুট্টা ও গমের আবাদ বাড়ানোর লক্ষ্যে বিশ্বব্যাপী নানা সহযোগী সংস্থার সাথে একত্রে কাজ করে।

(৪) ওয়ার্ল্ডফিশ (World Fish)

ওয়ার্ল্ডফিশ একটি আন্তর্জাতিক অলাভজনক গবেষণাধর্মী প্রতিষ্ঠান যা মৎস্য সম্পদ ও মাছ চাষের সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত পৃথিবী গড়তে কাজ করে যাচ্ছে। বাংলাদেশে ১৯৮৯ সালে ওয়ার্ল্ডফিশ-এর দক্ষিণ এশিয়া অফিস স্থাপনের পর থেকে বাংলাদেশি ও দক্ষিণ এশীয় মানুষ উপকৃত হচ্ছে।

See also  বাংলাদেশের কৃষি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠান এবং অন্যন্য কৃষি তথ্য ও সেবা প্রাপ্তির উৎস

(৫) আন্তর্জাতিক আলু কেন্দ্র (সিআইপি)

আন্তর্জাতিক আলু কেন্দ্র, স্প্যানিশ ভাষায় “সিআইপি” নামে পরিচিত, ১৯৭১ সালে মূল ও কন্দ (আলু ও মিষ্টিআলু) উন্নয়নের জন্য গবেষণা প্রতিষ্ঠান হিসেবে হয় যা বিশ্বের ক্ষুধা, দারিদ্র্য ও প্রাকৃতিক সম্পদের অবক্ষয় সমস্যাসমূহের টেকসই সমাধানকল্পে কাজ করে যাচ্ছে। পেরুর লিমায় অবস্থিত সদর দপ্তরের পাশাপাশি এশিয়া, আফ্রিকা ও লাতিন আমেরিকার ২০টি উন্নয়নশীল দেশে সিআইপি’র অফিস আছে। বাংলাদেশে সিআইপি আলু ও মিষ্টিআলুর জাত সংক্রান্ত গবেষণা ও উন্নয়ন এবং দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য ১৯৮০ সাল থেকে কাজ করছে।

(৬) ইন্টারন্যাশনাল ফুড পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট

খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা যেমন- খাদ্য উৎপাদন ও এর ব্যবহারের উপর নির্ভর করে তেমনি যেসব নীতিমালা খামার থেকে শুরু করে খাবার টেবিল পর্যন্ত পুরো খাদ্য ব্যবস্থায় প্রভাব সৃষ্টি করে থাকে সেগুলোর উপরও নির্ভরশীল। International Food Policy Research Institute (IFPRI) ১৯৮৮ সাল থেকে বাংলাদেশে গবেষণা পরিচালনা, নীতিমালা বিষয়ক সহায়তা প্রদান এবং অংশীদারদের সক্ষমতা বৃদ্ধি সংক্রান্ত কর্মকাণ্ড নিয়ে সক্রিয় রয়েছে।

[সূত্র: এনসিটিবি]

Leave a Reply

nv-author-image

inbangla.net/krisi

Everything related to animal and plants in the Bangla language!View Author posts