কোয়েল পোল্ট্রির ক্ষুদ্রতম সদস্য। বিশ্বব্যাপী বহু বুনো প্রজাতি/কোয়েল পাখির জাত রয়েছে, যেমন- ‘রেইন কোয়েল’, ‘ক্যালিফোর্নিয়া কোয়েল’, ‘মাউন্টেন কোয়েল’, ‘মন্টেজুমা কোয়েল’, ‘হারলেকুইন কোয়েল’, ‘রঙিলা কোয়েল’ ইত্যাদি।
তবে এসব কোয়েল পাখির জাতের মধ্যে ‘জাপানি কোয়েল’ ও ‘বব হোয়াইট কোয়েল’ ছাড়া অন্য কোন প্রজাতিকে যেমন গৃহপালিত করা হয়নি, তেমনি বাণিজ্যিকভিত্তিতে পোল্ট্রি হিসেবে এই দু’প্রজাতি ছাড়া অন্য কোন কোয়েল পালন করা হয় না।
জাপানি কোয়েল ডিম ও মাংস উৎপাদনের জন্য পালন করা হলেও বব হোয়াইট কোয়েল মূলত মাংসের জন্যই পোষা হয়।
বাণিজ্যিক জাপানি কোয়েল পাখির জাত বেশ কয়েকটি আছে এবং উপজাতও রয়েছে, যেমন- ‘ফারাও’, ‘ব্রিটিশ রে’ , ‘ইংলিশ হোয়াইট’, ‘ম্যানচুরিয়ান গোল্ডেন’, ‘টুক্সেডো’, ‘ফন/ব্রাউন’ কোয়েল ইত্যাদি।
নিম্নে ডিম ও মাংস উৎপাদনের জন্য পালন করা জাপানি কোয়েল পাখির ‘ফারাও’ ও ‘ফন’ উপজাতের সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দেয়া হলো-
(১) কোয়েল পাখির জাত ‘ফারাও’
উৎপত্তি ও প্রাপ্তিস্থান:
এই উপজাতের জাপানি কোয়েলটি বিশ্বে সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়। এদের উৎপত্তি জাপান, চীনসহ এশিয়া অন্য কয়েকটি দেশে। জাপানে ব্যাপক গবেষণার মাধ্যমে এর ডিম উৎপাদন ক্ষমতা বাড়ানোহয়েছে।
বৈশিষ্ট্য:
- এরা ছোট ও গাট্টাগোট্টা পাখি।
- পালকের মূল রং বাদামি; এর উপর থাকে গাঢ় চকোলেট বা কালো রঙের ছোঁপ।
- বুকের উপরের অংশের বাদামি রঙের উপর কালো বা খয়েরি গোলাকার ফোঁটা থাকে।
- বুকের নিচের অংশ তামাটে।
- এরা ৬-৭ সপ্তাহ বয়সে ডিমপাড়া শুরু করে। বার্ষিক ডিম উৎপাদন- ২৭৫-৩০০টি।
- প্রাপ্তবয়ষ্ক কোয়েলের ওজন- ১৫০- ১৭৫ গ্রাম।
(২) কোয়েল পাখির জাত ‘ফন বা ব্রাউন’
উৎপত্তি ও প্রাপ্তিস্থান: এদের উৎপত্তি ও প্রাপ্তিস্থান ফারাওয়ের মতোই।
বৈশিষ্ট্য:
- এদের পালকের রঙের ধরন ফারাওয়ের মতোই, কিন্তু রং একেবারেই হালকা। কোন কালচে ভাব নেই।
- বাচ্চাগুলোর দেহের কোমল পালকের রং হলদে; এর উপরের ছোপগুলো বেশ হালকা।
- এরা অত্যন্ত শান্ত প্রকৃতির। ফারাওয়ের মতো মারামারি বা ঠোঁকরাঠুকরি করে না।
- বাকি সব বৈশিষ্ট্য ফারাওয়ের মতোই।
- এরা ৬-৭ সপ্তাহ বয়সে ডিমপাড়া শুরু করে। বার্ষিক ডিম উৎপাদন- ২৭৫-৩০০টি।
- এদের প্রাপ্তবয়ষ্ক কোয়েলের ওজন- ১৫০-১৭৫ গ্রাম।
[সূত্র: ওপেন স্কুল]