(১) খেসারীর ডাল
খেসারীর ডাল এক ধরনের হলুদ বর্ণ উদ্ভিজ্জ বীজ বা কালাই যা ডাল হিসাবে ভক্ষণ করা হয়। খেসারি কালাই একটি শুঁটি জাতীয় উদ্ভিদ যার ইংরেজি নাম (Grass pea)।
খেসারী একক ফসল হিসেবে চাষের পাশাপাশি রিলে বা সাথী ফসল হিসেবে সহজেই চাষাবাদ করা যায়। উৎপাদিত অধিকাংশই ডাল হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এর খড় ও ভুষি গবাদি পশুর খাবার হিসেবে অত্যন্ত উৎকৃষ্ট।
বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট এর ডাল গবেষণা কেন্দ্র কর্তৃক বেশ কয়েকটি উচ্চ ফলনশীল খেসারীরজাত উদ্ভাবিত হয়েছে। এসব জাতে অধিক পুষ্টিমান এবং ক্ষতিকারক নিউরোটক্সিনের পরিমাণ ক্ষতিকর মাত্রার চেয়ে কম হওয়ায় কৃষক পর্যায়ে গ্রহণযোগ্যতা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
(২) খেসারীর ফলন
বাংলাদেশের ডাল ফসলের মধ্যে চাষযোগ্য এলাকা ও মোট উৎপাদনের দিক থেকে খেসারীর স্থান প্রথম।
বাংলাদেশের ডাল উৎপাদন খাত খুবই সম্ভাবনাময়। দেশের দক্ষিণ-উত্তর-পশ্চিম জেলাসমূহে (বরিশাল, পটুয়াখালী, বরগুনা, ভোলা, যশোর, মাগুরা, ফরিদপুর, রাজবাড়ী, পটুয়াখালী, ঝিনাইদহ, চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর, কুষ্টিয়া, পাবনা, সিরাজগঞ্জ, নাটোর, রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ) ব্যাপকভাবে ডাল জাতীয় ফসল মসুর, মুগ, খেসারী, মাসকলাই ও মটর চাষাবাদ হয়। এই সব এলাকার মাটি দোআঁশ থেকে এঁটেল দোআঁশ এবং উচু ও মাঝারী উঁচু এবং বন্যামুক্ত হওয়ায় কৃষকেরা সহজেই সঠিক সময়ে আমন ধান রোপণ করতে পারে এবং সহজেই ডাল জাতীয় ফসল চাষ করে লাভবান হতে পারেন।
ডাল ফসল বাংলাদেশে উদ্ভিজ আমিষের অন্যতম প্রধান উৎস। দরিদ্র মানুষের পুষ্টির অভাব পূরণে, তৃনভোজী প্রাণির স্বাস্থ্য সুরক্ষায়, মাটির উর্বরা শক্তি ও জৈব পদার্থের পরিমাণ বৃদ্ধিতে ডাল জাতীয় ফসলের ভূমিকা অন্যতম।
প্রজাতিভেদে ডাল ফসলে আমিষের পরিমাণ ২০-৩৫%। রুই মাছ, মুরগির মাংস, গরুর দুধ, গমের আটা অপেক্ষা ডাল ফসলে আমিষের পরিমাণ বেশি থাকে। এই কারণে ডালকে গরীবের মাংস বলা হয়ে থাকে।
বিশ্ব খাদ্য সংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী প্রতিদিন একজন মানুষের ৪৫ গ্রাম ডাল খাওয়া উচিত সেই তুলনায় আমরা ভক্ষণ করি গড়ে মাত্র ১৭ গ্রাম।
ডাল শুটি জাতীয় ফসল হওয়ায় অপেক্ষাকৃত কম ঊর্বর জমিতেও ডালের চাষ করা যায়। দরিদ্র জনগোষ্ঠীর পুষ্টি চাহিদা পূরণের পাশাপাশি মাটির ঊর্বরা শক্তি ও জৈব পদার্থের পরিমাণ বৃদ্ধিতে এবং অর্থনৈতিক খাতকে শক্তিশালী করতে ডালের আবাদ বাড়ানো একান্ত প্রয়োজন।
বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটউট থেকে উচ্চ ফলনশীল বিভিন্ন জাত এবং উৎপাদন প্রযুক্তি উদ্ভাবিত হয়েছে। ডাল ফসল চাষে এসব প্রযুক্তি ও উন্নত জাত ব্যবহার করে অধিক ফলন পাওয়া সম্ভব। তাই ডাল ফসল চাষ করলে পুষ্টি উপাদান সরবারহের পাশাপাশি দেশে ডালের চাহিদা অনেকাংশে মেটানো সম্ভব হবে।
(৩) খেসারীর জাত
ক) বারি খেসারী-১
বারিখেসারী-১ জাতটি ১৯৯৫ সালে অনুমোদন করা হয়েছে।
- এ জাত সমগ্র বাংলাদেশে চাষ করা যায়।
- বারি খেসারী-১ জাতটি স্থানীয় জাতের তুলনায় ৪০% পর্যন্ত বেশি ফলন দেয়।
- এ জাতের গাছ গাঢ় সবুজ এবং প্রচুর শাখা-প্রশাখা হয়ে থাকে।
- বারি খেসারী-১ জাতের এক হাজার বীজের ওজন ৪৮-৫২ গ্রাম।
- জীবনকাল ১২৫-১৩০ দিন।
- হেক্টরপ্রতি গড় ফলন ১৪০০-১৬০০ কেজি।
- এ জাত ডাউনী মিলিডিউ রোগ সহনশীল।
- ওডাপের (ODAP) পরিমাণ ০.০২০%।
খ) বারি খেসারী-২
বারি খেসারী-২ জাতটি ১৯৯৬ সালে সারাদেশে আবাদের জন্য জাতীয় বীজ বোর্ড কর্তৃক অনুমোদন লাভ করে।
- পাতা স্থানীয় জাতের তুলনায় বেশি চওড়া।
- ফুলের রং নীল।
- গাছের উচ্চতা ৫৫-৬০ সেমি। বীজ একটু বড় এবং রং হালকা ধূসর।
- হাজার বীজের ওজন ৫০-৫৫ গ্রাম।
- বীজ বপন থেকে ফসল পাকা পর্যন্ত ১২৫-১৩০ দিন সময় লাগে।
- ওডাপের (ODAP) পরিমাণ ০.০২৫%।
- ফলন হেক্টরপ্রতি ১৫০০-২০০০ কেজি।
গ) বারি খেসারী-৩
সিরিয়ায় অবস্থিত আন্তর্জাতিক ইনস্টিটিউট, ইকার্ডা হতে সংগৃহীত ২২টি সংকরায়িত লাইন বহুস্থানিক অভিযোজন পরীক্ষার মাধ্যমে বাংলাদেশের বিভিন্ন মাটি ও আবহাওয়াতে পরীক্ষা করা হয়। এগুলোর মধ্যে একটি লাইন Sel-190 রোগ সহনশীল, উচ্চফলনশীল এবং বেশি বায়ো-মাস উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন হওয়ায় বারি খেসারী-৩ হিসেবে ২০১১ সালে অবমুক্ত করা হয়।
- এ জাতটি বাংলাদেশের প্রধান খেসারী আবাদী এলাকাসমূহের একক ফসল এবং সাথী ফসল হিসেবে আমন ধানের সাথে চাষ করা যায়।
- এঁটেল দোঁআশ, পলি বা পলি দোঁআশ মাটি জাতটি চাষের জন্য উপযোগী।
- ফুল বড় ও গাছের উচ্চতা ৬২-৬৫ সেমি এবং প্রতি গাছে পড সংখ্যা ৩৫-৩৭ টি, ১০০০ বীজের ওজন ৫৩-৫৮ গ্রাম।
- ফলন হেক্টরপ্রতি ১৮০০-২০০০ কেজি এবং জীবনকাল ১২০-১৩০ দিন।
- ওডাপ (ODAP) এর পরিমাণ ০.০৪%।
ঘ) বারি খেসারী-৪
বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চল হতে সংগৃহীত জার্মপ্লাজম হতে প্রাথমিক, অগ্রগতি ও বহুস্থানীক পরীক্ষার মাধ্যমে ২০১৪ সালে জাতীয় বীজ বোর্ড কর্তৃক বারি খেসারী-৪ জাতটি আঞ্চলিক ডাল গবেষণা কেন্দ্র, মাদারীপুর হতে উদ্ভাবিত হয়েছে।
- গাছের উচ্চতা ৬৫-৭০ সেমি।
- পাতা হালকা সবুজ এবং পত্রাংশগুলো বেশ ছোট হয়।
- পত্রফলক বড়, ফুল সাদা ও বীজের রং সাদা
- প্রতি গাছে পডের সংখ্যা ১৭-২৩ টি।
- পডগুলো একটু লম্বাকৃতির।
- বীজের ওজন : ৭.০-৭.১ গ্রাম (প্রতি ১০০টি)।
- জীবনকাল : ১১৪-১১৭ দিন।
- ফলন : ৭০০-১১০০ কেজি/হেক্টর।
- ডাউনী মিলডিউ রোগ সহনশীল।
- বারোমাস উৎপাদনশীল বিধায় এ জাতটি অধিক গো-খাদ্য হিসাবে খুবই উপযোগী।
ঙ) বারি খেসারী-৫
২০১০ সালে আন্তর্জাতিক কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠান এর সহযোগিতায় নিম্নমাত্রার ODAP সম্পন্ন ১৫টি জার্মপ্লাজম বা লাইন সংগ্রহ করে প্রাথমিকভাবে তাদের বারি খেসারী-৫ ফলন পরীক্ষা করা হয়। পরবর্তীতে উচ্চফলনশীল এবং কম ODAP সম্পন্ন জার্মপ্লাজমগুলোকে বাছাই করে বহুস্থানীক পরীক্ষা ও রিলে ফসল হিসেবে মূল্যায়ন করা হয়।
২০১৪ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের মাদারীপুর, সাতক্ষীরা ও পাবনা অঞ্চলে ফলন ও অভিযোজন ক্ষমতা, রোগ বালাই ও পোকান্ডমাকড় সংবেদনশীলতা এবং গুণগত মান মূল্যায়ন করা হয়। তন্মধ্যে এটি উচ্চফলনশীল এবং রোগ প্রতিরোধী লাইন হিসেবে নির্বাচন করা হয়।
দীর্ঘদিন পরীক্ষার পর লাইনটি একটি সম্ভাবনাময় লাইন হিসেবে নির্বাচিত হওয়ায় জাত হিসেবে মুক্তায়নের জন্য প্রস্তাব করা হয়।
জাত হিসাবে এ লাইনটি নির্বাচিত করা হলে রবি মৌসুমে খেসারী আবাদযোগ্য দেশের একটি বিশাল পতিত জমি চাষ আবাদের আওতায় আনা সম্ভব হবে এবং দেশের ডালের ঘাটতি পুরনে সহায়ক ভূমিকা রাখতে পারে। তাই এই জাতটি ২০১৮ সালে জাতীয় বীজ বোর্ড বাণিজ্যিকভাবে চাষাবাদের জন্য অনুমোদন দেয়।
- গাছ লম্বা আকৃতির (৭০-৮০ সেমি) এবং অধিক বায়োমাস বিশিষ্ট।
- এর ফুল বড় এবং গাঢ় নীল, বীজ মসৃণ ও ধূসর বর্ণের এবং এ জাতটি গোড়া পচা এবং ডাউনি মিলডিউ রোগ সহনশীল।
- গাছে ফলের সংখ্যা বেশি (৩০-৪৯ টি) ও তুলনামূলক বড় আকৃতির বীজ (১০০ বীজের ওজন ৫.৩-৫.৮ গ্রাম)।
- জীবনকাল ১২১-১২৫ দিন।
- গড় বীজের ফলন-১.৪৭-১.৭০ টন/হেক্টর। তবে অনুকূল আবহাওয়া ও যথাযথ যত্ন নিলে ফলন হেক্টরপ্রতি ২ টনের অধিক হতে পারে।
- ODAP এর পরিমাণ খুব কম (০.০৪%)।
(৪) খেসারী ডাল চাষ পদ্ধতি
ক) মাটি
সুনিষ্কাশিত দোআঁশ/পলি দোআঁশ এবং এঁটেল দোআঁশ মাটিতে খেসারী ভাল জন্মে।
খ) জমি তৈরি
একক ফসল হিসেবে আবাদের ক্ষেত্রে জমিতে সুনিষ্কাশিত ও উপর্যুক্ত রস থাকলে ২-৩ টি গভীর চাষ ও মই দিয়ে ঝুরঝুরে করে নিতে হবে।
খেসারী প্রধানত আমন ধানের জমিতে সাথী ফসল (রিলে ক্রপ) হিসেবে আবাদ করা হয়। সেক্ষেত্রে জমি চাষের প্রয়োজন হয় না।
গ) বপনের সময়
রিলে ফসলের ক্ষেত্রে আমন ধানের পরিপক্কতাকাল এবং জমির রসের পরিমাণের উপর খেসারীর বীজ বপনের সময় অনেকটা নির্ভর করে। তবে আমন ধান কাটার ১০-১৫ দিন পূর্বে জমি থেকে পানি নেমে যায়ার সাথে সাথে বীজ বপন করলে ভালো ফলন পাওয়া যায়। এক্ষেত্রে কার্তিক মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে শেষ সপ্তাহ (অক্টোবর মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে মধ্য নভেম্বর) পর্যন্ত বীজ বপন করতে হয়।
ঘ) বপন পদ্ধতি
ছিটানো ও সারি দুই পদ্ধতিতেই খেসারীর বীজ বপন করা যায়। সারিতে বীজ বপন করলে অন্তর্বর্তীকালীন পরিচর্যা যেমন আগাছা দমন, রোগ ও পোকামাকড় ব্যবস্থাপনা সহজেই করা যায়। তবে সারিতে বপনের ক্ষেত্রে সারি থেকে সারির দূরত্ব ৪০ সেমি বা ১৬ ইঞ্চি রাখতে হবে এবং সারির মধ্যে অবিরাম বীজ বপন করতে হবে।
ঙ) বীজের হার
সারিতে বপন করলে বিঘাপ্রতি ৭-৮ কেজি (৫৩-৬০/কেজি) এবং রিলে বা ছিটিয়ে বপন করলে বীজের পরিমাণ কিছু বেশি দিতে হবে।
চ) সারের প্রয়োগ পদ্ধতি
খেসারীর রিলে ফসলের ক্ষেত্রে সারের তেমন প্রয়োজন হয় না। একক ফসলের জন্য অনুর্বর জমিতে হেক্টরপ্রতি শেষ চাষের সময় উপরোক্ত হারে সার ব্যবহার করতে হবে। তবে গাছের বৃদ্ধি কম হলে গাছ গজানের ২৫-৩০ দিন পর উভয় ক্ষেত্রেই উপরোক্ত মাত্রায় ইউরিয়া সার বিকাল বেলায় উপরি প্রয়োগ করতে হবে।
ছ) সারের প্রয়োগের পরিমাণ
সারের নাম | সারের পরিমাণ/হেক্টর (কেজি) | সারের পরিমাণ/বিঘা (কেজি) |
ইউরিয়া | ৩০-৩৫ | ৪-৫ |
টিএসপি | ৫৩-৬০ | ৭-৮ |
এমওপি | ৪০-৪৫ | ৫-৬ |
জিপসাম | ৪০-৪৫ | ৫.০-৬.০ |
বোরন (প্রয়োজনবোধে) | ৭-১০ | ১-১.৫ |
অণুজীব সার (প্রয়োজনবোধে) | সুপারিশমতো | সুপারিশমতো |
জ) খেসারীর ডাউনি মিলডিউ রোগ দমন
পেরোনোসপোরা ভিসি নামক ছত্রাক এ রোগ ঘটায়। রোগাক্রান্ত খেসারী গাছের পাতা কিছুটা হলদে হয়ে যায়। পাতার নিচে লক্ষ্য করলে ছত্রাকের অবস্থান খালি চোখেই দেখা যায়। রোগের মাত্রা বেশি হলে পাতা কুঁচকে ও ঝলসে যায়। এ ছত্রাকের জীবাণু মাটিতে ১-২ বৎসর বেঁচে থাকতে পারে।
প্রতিকার:
- সঠিক সময়ে (কার্তিক মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে শেষ সপ্তাহ পর্যন্ত) বীজ বপন করতে হবে।
- রোগ সহনশীল জাত, যেমন- বারি খেসারী-২, বারি খেসারী-৩, বারি খেসারী-৪ এবং বারি খেসারী-৫ চাষ করতে হবে।
- টিল্ট-২৫০ ইসি (০.৫ মিলি প্রতি লিটার পানিতে মিশিয়ে) বা থিওভিট ৮০ ডচ ২ গ্রাম প্রতি লিটার পানিতে
- মিশিয়ে ১০ দিন অন্তর ২ বার স্প্রে করে এরোগ দমন করা যায়।
ঝ) খেসারীর জাবপোকা দমন
খেসারীতে মাঝে মাঝে জাব পোকার আক্রমণ লক্ষ্য করা যায়। এদের আক্রমণে গাছ খর্বাকৃতি হয়, ফুল ও ফল ধারণ বাধাগ্রস্থ হয়, বীজের দানা অপুষ্ট ও আকারে ছোট হয়।
প্রতিকার:
আক্রমণের মাত্রা বেশি হলে ডাইমেথয়েট গ্রুপের যেমন: টাফগর ৪০ ইসি প্রতি লিটার পানিতে ২ মিলি লিটার ঔষধ মিশিয়ে ব্যবহার করলে এই পোকা দমন করা যায়।
ঞ) ফসল সংগ্রহ
বীজ বপনের ১১৪-১৩০ দিন (জাত ভেদে দিনের পরিবর্তন হয়) পর বা ফাল্গুন (মধ্য-ফেব্রুয়ারি থেকে মধ্য-মার্চ) মাসে ফসল সংগ্রহ করতে হয়।
খেসারীর ফল পেকে গাছ শুকিয়ে গেলে গাছগুলোকে কেটে শক্ত মাটিতে বা মাটির উপরে পলিথিন বিছিেিয় অথবা পাকা মেঝেতে ছড়িয়ে রেখে শুকাতে হবে। তারপর রৌদ্রোজ্জল দিনে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে অথবা যান্ত্রিক উপায়ে মাড়াই করতে হবে। ঝাড়াই করার জন্য কুলা বা বৈদ্যুতিক পাখা ব্যবহার করা উত্তম।
[সূত্র: বিএআরআই]