যে সকল উপকরণ বা দ্রবাদি কৃষি উৎপাদনের প্রয়োজন হয় তাদেরকে কৃষি উপকরণ বলে। যেমন-বীজ, কীটনাশক, সার, কৃষিজ যন্ত্রপাতি, হাঁস-মুরগির খাদ্য, মাছের সম্পূরক খাদ্য, ইত্যাদি।
এসব কৃষি উপকরণ ব্যবসায়িক লাভের উদ্দেশ্য বাজারজাত করা সহ এসব কৃষি উপকরণ বিভিন্ন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান উৎপাদন করে থাকে। এসব উপকরণ উৎপাদনের ধরণ ও ভিন্ন ভিন্ন। যেমন বীজ কৃষকদের দিয়ে উৎপাদন করা হয়।
হাইব্রিড বীজ বিদেশ থেকে আমদানি করে সরবরাহ করা হয় অথবা নিজস্ব খামারে বর্ধন করে। আবার বিভিন্ন যন্ত্রপাতি কারখানা স্থাপন করে উৎপাদন করা হয়। জৈব সার দেশেই উৎপাদন করে সরবরাহ করে, রাসায়নিক সারের মধ্যে ইউরিয়া, টিএসপি ও গন্ধক সার দেশে উৎপাদন করে এবং অন্যান্য রাসায়নিক সার আমদানি করা হয়।
কৃষি উপকরণ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলো কৃষকের কাছে উপকরণ সরবরাহ করে ও নতুন উপকরণ ও তথ্য দিয়ে কৃষকদের সেবা করে থাকে।
নিচে উল্লেখযোগ্য কিছু বাংলাদেশের বীজ, কীটনাশক ও সার কোম্পানির নামের তালিকা উল্লেখ করা হলো-
ক্রম | বীজ উৎপাদন ও সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান | কীটনাশক সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান | সার সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান |
১. | বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন | পদ্মা অয়েল কোম্পানি লি: | বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ড্রাষ্টিজ কর্পোরেশন |
২. | কৃষিবিদ ফার্ম লি: | এসিআই লি: | (বিসিআইসি) |
৩. | এগ্রিবিজনেস কর্পোরেশন | স্কয়ার | বাংলাদেশ ফার্টিলাইজার এসোসিয়েশন |
৪. | আফতার বহুমূখী ফার্ম লি: | আলফা এগ্রো লি: | – |
৫. | মল্লিকা সীড কম্পানি | জেনিটিকা | মেসার্স নোয়াপাড়া ট্রেডার্স |
৬. | গেটকো সীড কোম্পানি | এগ্রোকোর | মের্সাস শেখ ব্রাদার্স |
৭. | হার্ডস ফাম | নোকন লি: | নাফকো (প্রা:) লি: |
৮. | কৃষাণ সীড ইন্টারন্যাশনাল | প্রাইম এগ্রো লি: | হানিবী (প্রা) লি: |
৯. | সুপ্রীম সীড কোম্পানি লি: | মার্প বাংলাদেশ | সুরমা ফার্টিলাইজার |
১০. | এসিআই সীড | অটোক্রপ | শারীর ট্রেড সংস্থা লি: |
১১. | বেক্সিমকো | বেক্সিমকো | মেঘনা ফার্টিলাইজার |
১২. | ব্র্যাক সীড | সেতু কর্পোরেশন লি | যমুনা এগ্রো কেমিক্যাল |
১৩. | নর্থ সাউথ সীড লি: | মার্শাল | – |
১৪. | ন্যাশনাল এগ্রিকেয়ার হাইব্রিড সীডস লি: | বায়ার ক্রপসায়েন্স | – |
১৫. | ইস্ট বেঙ্গল সীড কোম্পানি | এফএমসিআই লি: | – |
ফসল ফলানোর জন্য প্রয়োজনীয় মৌলিক উপাদানগুলোর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো ফসল বীজ ও বংশবিস্তারক উপকরণ। এদের ব্যবহারের মধ্য দিয়ে আমরা যেমন বছরের পর বছর ফসল উৎপাদন করতে পারি, তেমনি একটি দেশে নতুন ফসল আত্তীকরণ ও সংযোজন করতে পারি, একটি ফসলের জীবতাত্ত্বিক গুণাগুণ ধরে রাখতে পারি এবং নানা জীব কৌশল প্রয়োগের মধ্য দিয়ে উন্নততর করে তুলতে পারি।
জনসংখ্যার তুলনায় আবাদি জমি কম হওয়ার কারণে আমাদের অধিক ফলনের কথা ভাবতেই হচ্ছে। এই ভাবনায় সৃষ্ট ফসলের উচ্চফলনশীল জাত। পাশাপাশি পোকা-মাকড় যাতে ফসলের কোন ক্ষতি করতে না পারে সে জন্য কীটনাশক।
সার সাধারণত গাছপালার বৃদ্ধি ত্বরান্বিত করে থাকে। বাংলাদেশের কৃষিতে মূলত ইউরিয়া, টিএসপি, ডিএপি, এমওপি, জিপসাম, জিংক সালফেট এবং বরিক এসিড বা বোরন সার ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
[সূত্র: ওপেন স্কুল]