(১) বিভিন্ন প্রকার বৃক্ষ সংরক্ষণ
আমাদের বনজ সম্পদের পরিমাণ শতকরা ১৭ ভাগ। আবার নানা কারণে বিরাজমান বনজ সম্পদও ধ্বংসের মুখোমুখি। এই বনজ সম্পদ রক্ষা ও বৃদ্ধি করতে হলে বনায়ন দরকার। আমাদের চারপাশের নতুন রোপণ করা চারা ও বন সংরক্ষণ করা প্রয়োজন।
কাষ্ঠল বৃক্ষকে মূল্যবান করে তোলার জন্য অপ্রয়োজনীয় ডালপালা কর্তন করাকে প্রুনিং বলা হয়। গাছকে নির্দিষ্ট সময়ের ব্যবধানে প্রুনিং করা হলে কাঠের পরিমাণ ও মান উন্নত হয়। সড়ক বাঁধ, বসতভিটা সবক্ষেত্রেই উপযুক্ত পরিচর্যা না করলে গাছের বৃদ্ধি ভালো হয় না। চারা ছত্রাকজনিত রোগ বা পোকা-মাকড় দিয়ে যথেষ্ট পরিমাণ আক্রান্ত হলে রাসায়নিক কীটনাশক ও ছত্রাকনাশক দিয়ে তা দমন করতে হবে। তবে প্রাকৃতিকভাবে রোগবালাই দমন করতে পারলে খুবই ভালো হয়।
(২) বন সংরক্ষণ
গাছপালায় ঘেরা মনোরম পরিবেশ আমাদের সবার খুবই পছন্দ।
আমরা যদি গাজীপুরের শালবন ভ্রমণে যাই। বনের শাল ও গর্জন গাছ দেখে আমরা খুবই আনন্দিত হই। কিন্তু বর্তমানে বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে বনের গাছ কেটে উজাড় করার দৃশ্য আমাদের সকলকে খুবই কষ্ট দেয়।
বন দখল করে মানুষ বসতবাড়ি নির্মাণ করছে। এ ছাড়া নানা উপায়ে বন ধ্বংস করে দখলের পালা চলছে। যে সকল স্থানে অতীতে বিস্তৃত এলাকাজুড়ে এ বন ছিল। বনে হরেক রকমের পশুপাখি দেখা যেতো।
বনদস্যুরা এ বনের বৃক্ষ কেটে চুরি করে বিক্রি করছে। আমাদের সবার দেশের বন রক্ষা করার উপায় নিয়ে সারারাত ভাবা উচিত।
বন রক্ষার উপায় উপায়গুলো নিচে উল্লেখ করা হলো-
- বনদস্যুদের প্রতিহত করতে হবে।
- জনগণকে বনের গুরুত্ব বোঝাতে হবে।
- সামাজিক বন সৃষ্টিতে সবাইকে অংশ নিতে হবে।
- বনের পশু-পাখি ধ্বংস করা যাবে না।
- স্বাভাবিক নিয়মে বন সৃষ্টিতে বাধা দেওয়া যাবে না।
- বন সংরক্ষণ আইন জানব এবং সবাইকে তা মেনে চলার পরামর্শ দিব।
- জনগণকে বন সংরক্ষণে সচেতন করব।
[সূত্র: এনসিটিবি]