লাউ সাধারণত শীতকালে বসতবাড়ির আশেপাশে চাষ করা হয়। তবে এখন গ্রীষ্মকালিন বা সারাবছর উৎপাদনশীল জাত বিএআরআই কর্তৃক উদ্ভাবিত হওয়ায় এখন সারাবছর লাউ উৎপাদিত হচ্ছে। লাউয়ের পাতা ও ডগা শাক হিসেবে এবং ফল তরকারি ও ভাজি হিসেবে খাওয়া যায়।
(১) লাউয়ের জাত সমূহের নাম ও পরিচিতি
ক) বারি লাউ-১
‘বারি লাউ-১’ জাতটি বাছাইয়ের মাধ্যমে উদ্ভাবন করে ১৯৯৬ সালে সর্বত্র চাষাবাদের জন্য অনুমোদন করা হয়।
- পাতা সবুজ ও নরম।
- পুরুষ ও স্ত্রী ফুল যথাক্রমে চারা রোপণের ৪০-৪৫ দিন এবং ৬০-৬৫ দিনের মধ্যে ফুটে।
- ফল হালকা সবুজ। লম্বা ৪০-৫০ সেমি, ব্যাস ৪০-৩৫ সেমি।
- প্রতি ফলের ওজন ১.৫-২.০ কেজি। প্রতি গাছে ১০-১২টি ফল ধরে।
- চারা রোপণের ৬০-৭০ দিনের মধ্যে প্রথম ফল তোলা যায়। লাউ ২-৩ দিন পর পর সংগ্রহ করতে হয়।
- গ্রীষ্ম মৌসুমেও ‘বারি লাউ-১’ উৎপাদন করা যায়। এ জাতটি সারা বছরই চাষ করা যায়।
- জীবনকাল ১৫০-১৪০ দিন।
- উন্নত পদ্ধতিতে চাষ করলে হেক্টরপ্রতি ফলন শীতকালে ৪২-৪৫ টন এবং গ্রীষ্মকালে ২০-২২ টন।
খ) বারি লাউ-২
- এ জাতের প্রধান বৈশিষ্ট্য হচ্ছে লাউ চালকুমড়া আকারের ও হালকা সবুজ রঙের
- ফলটি লম্বায় ১৮-২০ সেমি এবং ব্যাস ১৪-১৫ সেমি। প্রতি ফলের গড় ওজন ১.৫ কেজি এবং গাছপ্রতি গড় ফল সংখ্যা ১৫-২০টি।
- চারা রোপণের ৬৫-৭৫ দিনের মধ্যে প্রথম ফল সংগ্রহ করা যায়।
- লাউ কচি অবস্থায় সংগ্রহ করলে পাছপ্রতি ফলের সংখ্যা এবং ফলন বেড়ে যায়।
- জাতটি মূলত শীত মৌসুমের জন্য। বাংলাদেশের সব এলাকায় এ জাতটি চাষ করা যায়। শীতকালে চাষের জন্য ভাদ্রের প্রথমে আগাম ফসল হিসেবে চাষ করা যায়।
- ভাদ্র-অগ্রহায়ণ মাসে এ জাতের চারা রোপণ করতে হয়। জীবনকাল ১৪০-১৫০ দিন।
- ফলন ৪৫-৫০ টন/হেক্টর।
- এ জাতটি স্থানীয় জাতগুলোর তুলনায় উচ্চ ফলনশীল। কৃষক পর্যায়ে জাতের বিশুদ্ধতা ঠিক রাখতে পারলে জাতের উচ্চ ফলনশীলতা বজায় থাকবে। তাছাড়া আকষর্ণীয় আকৃতির কারণে বিদেশে এটি রপ্তানিও করা যাবে।
গ) বারি লাউ-৩
- এ জাতের প্রধান বৈশিষ্ট্য হচ্ছে আগাম জাত হিসেবে চাষ করা যায়।
- সবুজ রঙের ফলে সাদা দাগ থাকে।
- গাছপ্রতি গড় ফল সংখ্যা ১৫-১৬টি। এসব ফলের গড় ওজন ২.৫ ২.৭ কেজি। ফল লম্বায় ৩২-৩৪ সেমি এব ব্যাস ১২-১৪ সেমি হয়।
- চারা রোপণের ৭০-৮০ দিনের মধ্যে ফল সংগ্রহ করা যায়।
- বাংলাদেশের সব এলাকায় এ জাতটি চাষ করা যায়। আশ্বিন মাসে বীজ বপন এবং ভাদ্র মাস চারা রোপণ করলে ফলন ভাল হয়।
- জীবনকাল ১৪০-১৫০ দিন।
- ফলন ৫০-৫৫ টন/হেক্টর।
ঘ) বারি লাউ-৪
- এ জাতের প্রধান বৈশিষ্ট্য হচ্ছে তাপ সহনশীল এবং গ্রীষ্মকালে চাষ করা যায়।
- গাঢ় সবুজ রঙের ফলের গায়ে সাদাটে দাগ থাকে।
- গাছপ্রতি ১০-১২টি ফল পাওয়া যায় এবং ফলের গড় ওজন ২.৫ কেজি। ফল লম্বায় ৪২-৪৫ সেমি এবং ব্যাস ১২-১৩ সেমি।
- চারা রোপণের ৭০-৮০ দিনের মধ্যে ফল সংগ্রহ করা যায়।
- জীবনকাল ১৩০-১৫০ দিন।
- ফলন ৮০-৮৫ টন/হেক্টর।
- জাতটি তাপ সহিষ্ণু হওয়ায় গ্রীষ্মকালে চাষ করে কৃষক লাভবান হতে পারে।
বাংলাদেশের সব এলাকায় এ জাতটি চাষ করা যায়। - গ্রীষ্মকালে চাষের জন্য ফাল্গুনের শেষে আগাম ফসল হিসেবে চাষ করা যায়। চৈত্র মাসে বীজ বপন করে বৈশাখ মাসে চারা রোপণ করা যায়।
ঙ) বারি লাউ-৫
- এটি একটি উচ্চফলনশীল জাত এবং ফল দেখতে লম্বা ও বোতল আকৃতির।
- ফল বড় আকারের (গড় ওজন ১.৯-২.০ কেজি)।
- ফল গাঢ় সবুজ রঙের এবং ফলের নিচের দিকে সাদা ছিট ছিট দাগ আছে।
- গাছ প্রতি গড়ে ফলের সংখ্যা ১০-১২টি, গড় ফলন প্রায় ৪০-৪৫ টন/হেক্টর।
(২) লাউ চাষ পদ্ধতি বিস্তারিত বর্ণনা
ক) জলবায়ু ও মাটি
- বেশি শীতও না, আবার বেশি গরমও না এমন আবহাওয়া লাউ চাষের জন্য উত্তম। বাংলাদেশের শীতকালটা লাউ চাষের জন্য বেশি উপযোগী। তবে বাংলাদেশের কোন কোন অঞ্চলের তাপমাত্রা শীতকালে কখনও কখনও ১০০ সে. এর নিচে চলে যায় যা লাউ চাষের জন্য মারাত্মক হুমকি স্বরূপ।
- লাউয়ের ভালো ফলনের জন্য সবচেয়ে অনুকূল তাপমাত্রা হলো দিনের বেলায় ২৫-২৮০ সে. এবং রাতের বেলায় ১৮-২০০ সে.।
- মেঘলা আবহাওয়ায় লাউয়ের ফলন উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পায়।
- জৈব পদার্থ সমৃদ্ধ দোআঁশ বা এঁটেল দোআঁশ মাটি লাউ চাষের জন্য উত্তম।
খ) বীজের হার
হেক্টরপ্রতি ২-৩ কেজি (শতাংশ প্রতি ৮-১০ গ্রাম) বীজের প্রয়োজন হয়।
গ) বীজ শোধন
বীজ বাহিত রোগ প্রতিরোধ এবং সবল-সতেজ চারা উৎপাদনের জন্য বীজ শোধন জরুরি। কেজি প্রতি দুই গ্রাম ভিটাভেক্স/ক্যাপটান ব্যবহার করে বীজ শোধন করা যায়।
ঘ) বীজ বপন ও চারা উৎপাদন
- শীতকালে চাষের জন্য আগস্ট-অক্টোবর এবং গ্রীষ্মকালে চাষের জন্য ফেব্রুয়ারি-মে মাসে বীজ বপন করা যায়।
- লাউ চাষের জন্য চারা নার্সারিতে পলিব্যাগে উৎপাদন করে নিলে ভাল হয়।
- বীজ বপনের জন্য ৮ × ১০ সেমি বা তার থেকে কিছুটা বড় আকারের পলিব্যাগ ব্যবহার করা যায়।
- প্রথমে অর্ধেক মাটি ও অর্ধেক গোবর মিশিয়ে মাটি তৈরি করে পলিব্যাগে ভরতে হবে।
- সহজ অংকুরোদগমের জন্য পরিষ্কার পানিতে ১৫-২০ ঘণ্টা অথবা বীজ এক রাত্রি ভিজিয়ে অতঃপর পলিব্যাগে বপন করতে হবে।
- প্রতি ব্যাগে একটি করে বীজ বুনতে হবে। বীজের আকারের দ্বিগুন মাটির গভীরে বীজ পুঁতে দিতে হবে।
- বীজ সরাসরি মাদায়ও বপন করা হয়। সেক্ষেত্রে সার প্রয়োগ ও মাদা তৈরির ৪-৫ দিন পর প্রতি মাদায় ২-৩টি করে বীজ বপন করা যেতে পারে।
ঙ) বীজতলায় চারার পরিচর্যা
- নার্সারিতে চারার প্রয়োজনীয় পরিচর্যা নিশ্চিত করতে হবে। বেশি শীতে বীজ গজানোর সমস্যা হয়। এজন্য শীতকালে চারা উৎপাদনের ক্ষেত্রে বীজ গজানোর পূর্ব পর্যন্ত প্রতি রাতে প্লাস্টিক দিয়ে পলিব্যাগ ঢেকে রাখতে হবে এবং দিনে খোলা রাখতে হবে।
- চারায় প্রয়োজন অনুসারে পানি দিতে হবে তবে সাবধান থাকতে হবে যাতে চারার গায়ে পানি না পড়ে। পলিব্যাগের মাটি চটা বাঁধলে তা ভেঙ্গে দিতে হবে।
- লাউয়ের চারাগাছে ‘রেড পামাকিন বিটল’ নামে এক ধরনের লালচে পোকার ব্যাপক আক্রমণ হয়। এটি দমনের ব্যবস্থা নিতে হবে।
- চারার বয়স ১৫-১৬ দিন হলে তা মাঠে প্রস্তুত গর্তে লাগাতে হবে।
চ) জমি নির্বাচন এবং তৈরি
- সেচ ও নিকাশের উত্তম সুবিধাযুক্ত এবং পর্যাপ্ত সূর্যালোক পায় এমন জমি নির্বাচন করতে হবে।
- জমিকে প্রথমে ভালভাবে চাষ ও মই দিয়ে এমনভাবে তৈরি করতে হবে যেন জমিতে কোন ঢিলা এবং আগাছা না থাকে।
- লাউ গাছের শিকড়ের যাথযথ বৃদ্ধির জন্য উত্তমরূপে গর্ত (মাদা) তৈরি করতে হবে।
ছ) বেড তৈরি এবং বেড থেকে বেডের দূরত্ব
- বেডের উচচতা হবে ১৫-২০ সেমি। বেডের প্রস্থ হবে ২.৫ মিটার এবং লম্বা জমির দৈর্ঘ্য অনুসারে সুবিধামতো নিতে হবে। এভাবে পরপর বেড তৈরি করতে হবে।
- এরূপ পাশাপাশি দুইটি বেডের মাঝখানে ৬০ সেমি ব্যাসের সেচ নালা থাকবে এবং প্রতি দুবেড অন্তর ৩০ সেমি প্রশস্ত শুধু নিকাশ নালা থাকবে।
জ) মাদা তৈরি এবং বেডে মাদা হইতে মাদার দূরত্ব
- মাদার আকার হবে ব্যাস ৫০-৫৫ সেমি, গভীর ৫০-৫৫ সেমি এবং তলদেশ ৪৫-৫০ সেমি।
- বেডের যে দিকে ৬০ সেমি প্রশস্ত সেচ ও নিকাশ নালা থাকবে সেদিকে বেডের কিনারা হইতে ৬০ সেমি বাদ দিয়ে মাদার কেন্দ্র ধরে ২ মিটার অন্তর অন্তর এক সারিতে মাদা তৈরি করতে হবে।
- একটি বেডের যে কিনারা থেকে ৬০ সেমি বাদ দেয়া হবে, উহার পাশ্ববর্তী বেডের ঠিক একই কিনারা থেকে ৬০ সেমি বাদ দিয়ে মাদার কেন্দ্র ধরে অনুরূপ নিয়মে মাদা করতে হবে।
ঝ) সারের পরিমাণ ও প্রয়োগ পদ্ধতি (হেক্টর প্রতি)
- অর্ধেক গোবর সার, টিএসপি এমওপি এবং সবটুকু জিপসাম, দস্তা, বোরাক্স ও ম্যাগনেসিয়াম সালফেট জমি তৈরির সময় প্রয়োগ করতে হবে। অবশিষ্ট গোবর এবং টিএসপি চারা লাগানোর ৭ দিন পূর্বে গর্তে প্রয়োগ করতে হবে।
- উপরি প্রয়োগে ইউরিয়া এবং অবশিষ্ট এমপি সার সমান ৪ কিস্তিতে গাছের গোড়ায় ১০-১৫ সেমি দূরে মাদারমাটির সঙ্গে ভালো ভাবে মিশিয়ে দিতে হবে।
সার | প্রতি হেক্টরে মোট সারের পরিমান | জমি তৈরির সময় দেয় | চারা রোপনের ৭ দিন পূর্বে মাদায় প্রয়োগ | চারা রোপনের ১৫ দিন পর মাদায় প্রয়োগ | চারা রোপনের ৩৫ দিন পর মাদায় প্রয়োগ | চারা রোপনের ৫৫ দিন পর মাদায় প্রয়োগ | চারা রোপনের ৭৫ দিন পর মাদায় প্রয়োগ |
গোবর | ১০ টন | ৫ টন | ৫ টন | – | – | – | – |
ইউরিয়া | ১৫০ কেজি | – | – | ৩৭.৫ কেজি | ৩৭.৫ কেজি | ৩৭.৫ কেজি | ৩৭.৫ কেজি |
টিএসপি | ১৭৫ কেজি | ৮৭.৫ কেজি | ৮৭.৫ কেজি | – | – | – | – |
এমপি | ১৫০ কেজি | ৫০ কেজি | – | ২৫ কেজি | ২৫ কেজি | ২৫ কেজি | ২৫ কেজি |
জিপসাম | ১০০ কেজি | সব | – | – | – | – | – |
জিংক | ১২ কেজি | সব | – | – | – | – | – |
বরিক এসিড | ১০ কেজি | সব | – | – | – | – | – |
ম্যাগনেসিয়াম সালফেট | ৪০ কেজি | সব | – | – | – | – | – |
ঞ) চারার বয়স
বীজ গজানোর পর ১৫-১৬ দিন বয়সের চারা মাঠে লাগানোর জন্য উত্তম।
ট) চারা রোপণ
- মাঠে প্রস্তুত মাদাগুলোর মাটি ভালোভাবে ওলট-পালট করে, এক কোপ দিয়ে চারা লাগানোর জন্য জায়গা করে নিতে হবে। অতঃপর পলিব্যাগের ভাঁজ বরাবর বেল্ড দিয়ে কেটে পলিব্যাগ সরিয়ে মাটির দলাসহ চারাটি উক্ত জায়গায় লাগিয়ে চারপাশে মাটি দিয়ে ভরাট করে দিতে হবে।
- চারা লাগানোর পর গর্তে পানি দিতে হবে।
- পলিব্যাগ সরানোর সময় এবং চারা রোপণের সময় সাবধান থাকতে হবে যাতে চারার শিকড় ক্ষতিগ্রস্ত না হয় এবং মাটির দলা না ভাংগে। নতুবা শিকড়ের ক্ষতস্থান দিয়ে ঢলে পড়া রোগের (ফিউজারিয়াম উইল্ট) জীবাণু ঢুকবে এবং শিকড় ক্ষতিগ্রস্ত হলে গাছের বৃদ্ধি দেরিতে শুরু হবে।
ঠ) সেচ দেওয়া
- লাউ ফসল পানির প্রতি খুবই সংবেদনশীল। কাজেই সেচ নালা দিয়ে প্রয়োজন অনুসারে নিয়মিত সেচ দিতে হবে।
- লাউয়ের জমিতে কখনও সমস্ত জমি ভিজিয়ে প্লাবন সেচ দেয়া যাবে না। শুধুমাত্র সেচ নালায় পানি দিয়ে আটকে রাখলে গাছ পানি টেনে নিবে। প্রয়োজনে সেচ নালা হতে ছোট কোন পাত্র দিয়ে কিছু পানি গাছের গোড়ায় সেচে দেওয়া যায়।
- শুষ্ক মৌসুমে লাউ ফসলে ৫-৭ দিন অন্তর সেচ দেয়ার প্রয়োজন পড়ে।
ড) বাউনি দেওয়া
লাউয়ের কাঙ্খিত ফলন পেতে হলে অবশ্যই মাচায় চাষ করতে হবে। লাউ মাটিতে চাষ করলে ফলের একদিক বিবর্ণ হয়ে বাজারমূল্য কমে যায়, ফলে পচন ধরে এবং প্রাকৃতিক পরাগায়ন কমে যায়। ফলে ফলনও কমে যায়।
ঢ) মালচিং
প্রত্যেক সেচের পর হালকা মালচ্ করে গাছের গোড়ার মাটির চটা ভেঙ্গে দিতে হবে।
ণ) আগাছা দমন
কিছু নির্দিষ্ট প্রজাতির ঘাস লাউতে ‘বোট্ল্ গোর্ড মোজাইক ভাইরাস’ নামে যে রোগ হয় তার আবাস স্থল। এছাড়াও গাছের গোড়ায় আগাছা থাকলে তা খাদ্যোপাদান ও রস শোষণ করে নেয়। কাজেই চারা লাগানো থেকে শুরু করে ফল সংগ্রহ পর্যন্ত জমি সবসময়ই আগাছা মুক্ত রাখতে হবে।
ত) সার উপরি প্রয়োগ
চারা রোপণের পর মাদা প্রতি সারের উপরি প্রয়োগের যে মাত্রা উল্লেখ করা আছে তা গাছের গোড়ার কাছাকাছি প্রয়োগ করতে হবে।
থ) বিশেষ পরিচর্যা
- গাছের গোড়ার দিকে ৪০-৪৫ সেমি পর্যন্ত শোষক শাখা (ডালপালা) গুলো ধারালো ব্লেড দিয়ে কেটে অপসারণ করতে হবে।
- লাউয়ের পরাগায়ন প্রধাণত মৌমাছির দ্বারা সম্পন্ন হয়। প্রাকৃতিক পরাগায়নের মাধ্যমে বেশি ফল ধরার জন্য হেক্টরপ্রতি ২-৩ টি মৌমাছির কলোনী স্থাপন করা যেতে পারে। বিকেলে হাত দিয়ে কৃত্রিম পরাগায়ন করেও লাউয়ের ফলন বৃদ্ধি করা সম্ভব।
দ) ফসল তোলা (পরিপক্কতা সনাক্তকরণ)
ফলের ভক্ষণযোগ্য পরিপক্কতা নিম্নরূপে সনাক্ত করা যায়-
- ফলের গায়ে প্রচুর শুং এর উপস্থিতি থাকবে।
- ফলের গায়ে নোখ দিয়ে চাপ দিলে খুব সহজেই নোখ ডেবে যাবে।
- পরাগায়নের ১২-১৫ দিন পর ফল সংগ্রহের উপযোগী হয়।
- ফলের লম্বা বোঁটা রেখে ধারালো ছুরি দ্বারা ফল কাটতে হবে। ফল যত বেশি সংগ্রহ করা হবে ফলনও তত বেশি হবে।
[সূত্র: বিএআরআই]