Skip to content

লাক্ষা কি? লাক্ষা কি কাজে লাগে?

লাক্ষা কি, লাক্ষা কি কাজে লাগে

(১) লাক্ষা কি/লাক্ষা ফসলের পরিচয়

লাক্ষা পোকার ত্বকের নীচে সর্বত্র ছড়িয়ে  থাকা এক প্রকার গ্রন্থি থেকে আঠালো রস নিঃসৃত হয়, যা ক্রমশঃ শক্ত ও পুরু হয়ে পোষক গাছের ডালকে আচ্ছাদিত করে ফেলে। পোষক গাছের ডালের এই আবরণই ‘লাক্ষা বা স্থানীয়  নামানুসারে লাহা’ নামে পরিচিত। পরবর্তীতে ডালের উক্ত শক্ত আবরণ ছাড়িয়ে ও শোধিত  করে ঐ লাক্ষা বিভিন্ন কাজে ব্যাবহার করা হয়।  

যে সকল গাছের রস শোষণ করে লাক্ষা পোকা জীবনধারণ করে ও বংশ বিস্তার করে তাদেরকে লাক্ষা পোকার পোষক গাছ বলে। লাক্ষা চাষের জন্য উল্লেখযোগ্য কয়েকটি পোষক গাছ হচ্ছে কুল, কড়ই, পলাশ, খয়ের, বাবলা, ডুমুর ইত্যাদি।

পৃথিবীতে কোটি কোটি জীব, অনুজীবসহ অতিশয় ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কীটপতঙ্গ, পোকামাকড় একে অপরের পরিপূরক হিসেবে জীবনসাধন করলেও পৃথিবীতে অতি ক্ষুদ্রাকার পোকা লাক্ষার পরিচয় শিল্প পোকা হিসেবে।

(২) লাক্ষা কি কাজে লাগে?

লাক্ষা চাষের সবচেয়ে সুবিধাজনক দিক হচ্ছে এর জন্য পৃথক কোন চাষের জমির প্রয়োজন পড়েনা। লাক্ষার পোষক গাছসূমহ জমির আইল, বসতবাড়ীর আশেপাশে, খালের পাড়,রাস্তা ও রেল লাইনের পাশে পরিত্যাক্ত স্থানসমূহে লাগানো যায়। যে সকল প্রজাতির গাছে লাক্ষা ভাল জন্মায় সেগুলোকে লাক্ষার পোষক গাছ বলে।

প্রায় একশত প্রজাতির গাছে লাক্ষা জন্মাতে পারে। এর মধ্যে কিছু প্রজাতির গাছে লাক্ষাপোকা ভালোভাবে বংশ বৃদ্ধি করতে পারে। বাংলাদেশে বরই,শিরিষ,বট, পাকুর, পলাশ,খয়ের, বাবলা, ডুমুর, অড়হড়,কুসুম প্রভৃতি গাছে লাক্ষা ভাল জন্মে।

এ ছারাও লাক্ষার বহুবিধ ব্যবহারের কারণে দেশেও যেমন লাক্ষার চাহিদা বাড়ছে তেমনি পৃথিবীর অনেক দেশেই লাক্ষা রপ্তানীর সুবর্ণ সুযোগ রয়েছে। বিশেষ করে পশ্চিমা দেশসমুহের বিভিন্ন শিল্পকারখানায় ও কাঠের আসবাবপত্র বার্নিশের কাজে ব্যাপকভাবে লাক্ষার ব্যবহার হওয়ায় উক্ত দেশসমুহে একটি বড় ধরনের লাক্ষার বাজার রয়েছে।

এ ছাড়াও-

  • বিভিন্ন ধরনের বার্নিশ তৈরী ও পিতল বার্নিশ করার কাজে,
  • অস্ত্র ও রেলওয়ে কারখানায়,
  • বৈদ্যুতিক শিল্প কারখানায় অপরিবাহি বার্নিশ পদার্থ হিসেবে,
  • বিভিন্ন অটোমোবাইল ইঞ্জিন মেরামত ও রক্ষনাবেক্ষণে আঠালো বন্ধনকারী পদার্থ হিসেবে,
  • চামড়া রং করার কাজে,
  • স্বর্নালংকারের ফাঁপা অংশ পূরণে,
  • লবনাক্ত পানি হতে জাহাজের তলদেশ রক্ষা করার কাজে বার্নিশ হিসেবে,
  • ডাকঘরের চিঠি,পার্সেল ইত্যাদি সীলমোহর কাজে,
  • লাক্ষার আবরণযুক্ত কয়লা অত্যন্ত উঁচু স্থানসমূহে রান্নার কাজে লাক্ষার ব্যাবহার রয়েছে।
  • পুতুল,খেলনা, আলতা, নখরঞ্জন, শুকনা-মাউন্টিং টিসুপেপার ইত্যাদি তৈরী কাজে
  • লাক্ষার উপাদান, আইসো এমব্রিটোলিডি পারফিউম শিল্পে,
  • লাক্ষা হতে নির্গত আরেকটি উপাদান এ্যালুউরিটিক এসিড পারফিউম শিল্পে, পোকার যৌন আকৃষ্টকরণ পদার্থ (Sex pheromone) তৈরীতে এবং অনেক ঔষধ প্রস্তুুতের রানায়নিক তৈরীতে ব্যবহৃত হয়।
See also  লাক্ষা চাষ পদ্ধতি

(৩) লাক্ষা ফসল চাষের সময় ও পক্রিয়া

দুই ধরনের লাক্ষা পোকা বিভিন্ন ধরনের লাক্ষা ফসল উৎপাদনের সাথে জড়িত।

বরই,পলাশ,বাবলা ইত্যাদি পোষক গাছসমূহে যে সমস্ত পোকা লাক্ষা উৎপাদন করে তাদের রং লাল বলে এদের রঙ্গিনী পোকা বলে।

অন্য আর এক ধরনের লাক্ষা কীট কেবলমাত্র কুসুমগাছে ভালভাবে বৃদ্ধি লাভ ও বংশ বিস্তার করতে পারে এবং যে লাক্ষা উৎপাদন করে তাদের রং হলদে বা কুসুমী বলে এরা কুসুমী পোকা নামে পরিচিত।

প্রতি বছর প্রত্যেক প্রকারের লাক্ষা পোকা দুইবার ফসল দিতে পারে।

রঙ্গিনী পোকার ক্ষেত্রে-

কার্তিকী ফসল: অক্টোবর-নভেম্বর মাস (ফসল সংগ্রহের সময়)। বীজ লাক্ষা লাগানোর সময় জুন-জুলাই (আষাঢ়) মাস।

বৈশাখী ফসল: এপ্রিল-মে (ফসল সংগ্রহের সময়)। বীজ লাক্ষা লাগানোর সময় অক্টোবর-নভেম্বর (কার্তিক)মাস।

আবার কুসুমী পোকার ক্ষেত্রে-

অগ্রহণী ফসল: ডিসেম্বর-জানুয়ারী মাস(ফসল সংগ্রহের সময়)। বীজ লাক্ষা লাগানোর সময় জুন-জুলাই (আষাঢ়) মাস।

জেঠুই ফসল: জুন-জুলাই (ফসল সংগ্রহের সময়)। বীজ লাক্ষা লাগানোর সময় জানুয়ারী-ফেব্রুয়ারী (মাঘ) মাস।

এভাবে বাংলাদেশে বছরে মোট ৪টি লাক্ষা ফসল পাওয়া সম্ভব।  

লাকা ফসল চাষের পক্রিয়াটি হলো-

  1. গাছের ডালে লাক্ষা নি:সৃত রস শক্ত হওয়ার পর নির্দিষ্ট সময় পর সেই বাকল অর্থাৎ কাঁচা লাক্ষা তুলে নেয়া হয়।
  2. পরে ভালো করে ধুয়ে এগুলো রোদে শুকানো হয়।
  3. শুকিয়ে যাওয়ার পর এক ধরণের আঠা মিশিয়ে আগুনে তাপ দিতে হয় থান কাপড়ে মুড়িয়ে।
  4. তাপের কারণে ময়লা মাটিসহ অপ্রয়োজনীয় যা থাকে তা কাপড়ের সাথে থেকে যায় আর রয়ে যায় মূল ছাড়ানো লাক্ষা।
  5. কখনো দানা আকারে বা কখনো ছাড়ানো লাক্ষা টুকরো করে আমরা বাজারে বিক্রি করা হয়ে থাকে।

(৪) লাক্ষা চাষের প্রয়োজনীয়তা

পৃথিবী জুড়ে লাক্ষার বিকল্প অন্য কোন কিছু আবিস্কার হয়েছে এমনটা এখনও জানা যায়নি। এ কারনে ব্যাবসায়ীক ও অর্থনৈতিক দৃষ্টিকোন থেকে লাক্ষার গুরুত্ব অপরিসীম।

সারা পৃথিবীর সবদেশে লাক্ষার চাহিদা রয়েছে। দিন দিন এ চাহিদার ব্যাপ্তি ঘটছে। কিন্তু পর্যাপ্ত উৎপাদন নেই।

বর্তমান বিশ্বে ভারত একচেটিয়ভাবে লাক্ষার উৎপাদন ও আন্তর্জাতিক বাজার দখল করে রেখেছে। পৃথিবীর শতকরা ৭০ ভাগ লাক্ষাই ভারতে উৎপাদিত হয়। ভারতের পশ্চিমবাংলা, বিহার, মধ্যপ্রদেশ ও আসাম প্রদেশেই বেশীরভাগ লাক্ষা উৎপাদন হয়।

See also  লাক্ষা চাষ পদ্ধতি

ভারতের পরেই দ্বিতীয় উৎপাদান কারী দেশে হিসেবে রয়েছে থাইল্যান্ড। লাক্ষার বর্তমান আন্তর্জাতিক বাজারে থাইল্যান্ড ভারতের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী।

এ ছাড়াও সমগ্র বার্মায়, দক্ষিন চীনে, পাকিস্থানের সিন্ধু প্রদেশে লাক্ষার চাষ হয়ে থাকে। তাইওয়ানের কিছু অঞ্চলে অল্প পরিমানে লাক্ষার চাষ হয়।

লাক্ষার আর্ন্তজাতিক চাহিদা লক্ষ করে বেশ কয়েকটি দেশ নতুন করে লাক্ষা উৎপাদনে এগিয়ে এসেছে। এর মধ্যে ভিয়েতনাম অন্যতম।

বর্তমান প্রেক্ষপটে বাংলাদেশে লাক্ষা চাষ একটি অত্যান্ত সম্ভাবনাময় ও অর্থকরী ফসল হিসেবে বিবেচিত হলেও শুধুমাত্র আমাদের বাংলাদেশের সরকারগুলোর উন্নয়ন দৃষ্টিভঙ্গি প্রকৃতি ও পরিবেশবান্ধব এবং গনকল্যাণমুখী চিন্তার সাথে যোগসূত্র না থাকার কারনে সঠিক পথে এগুতে পারছেনা।

কৃষি ক্ষেত্রে পরিবেশ বান্ধব জ্ঞান চর্চা বিকোশিত না হওয়ার কারনে লাক্ষা চাষ আমাদের বাংলাদেশে অনেকটাই অবহেলিত রয়েছে।

(৫) লাক্ষা চাষের উপযোগি এলাকা

  • শীতপ্রধান দেশ হওয়ার কারণে ইউরোপ আমেরিকার মত দেশেগুলোতে লাক্ষাচাষ সম্ভব নয়। নাতিশীতোষ্ণ আবহাওয়া লাক্ষা চাষের উপযোগি।
  • যে সকল অঞ্চলে গ্রীষ্ণকালে অত্যন্ত গরম (সর্বোচ্য সহনশীল তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেঃ) ও শীতকালে অত্যধিক ঠান্ডা (সর্বনিু সহনশীল তাপমাত্রা ৪ ডিগ্রি সেঃ) এবং বার্ষিক বৃষ্টিপাতের পরিমান ৭৫ সেঃ মিঃ পর্যন্ত হয়, সে সকল অঞ্চলে লাক্ষার চাষ ভালো হয়।
  • গ্রীষ্ণকালে যদি তাপমাত্রা ১৭ ডিগ্রি সেঃ এবং শীতকালে ১৫ ডিগ্রি সেঃ এর নীচে নেমে যায় সে ক্ষেত্রে স্ত্রী পোকা ডিমপাড়া বন্ধ করে দেয়। লাক্ষা নিঃসরণ বন্ধ হয়না। এ কারনে আবহাওয়া ও পরিবেশের দিক থেকে সমগ্র বাংলাদেশ লাক্ষা চাষের উপযোগি।
  • আমাদের বাংলাদেশে কেবলমাত্র নবাবগঞ্জ জেলায় শিবগঞ্জ উপজেলার বিরোদপুর,মনাকষা ও দাদনচক লাক্ষা চাষের আদি এলাকা হিসেবে পরিচিত ছিল।

(৬) বাংলাদেশে লাক্ষা চাষের ইতিহাস

কৃষি তথ্যসূত্রে জানাযায়, লাক্ষা চাষের সম্প্রসারণ ঘটানোর জন্য ১৯৬১ সালে তৎকালীন পূর্ব-পাকিস্থানে বর্তমানে স্বাধীন বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগের চাপাই নবাগঞ্জ জেলা শহরের পাশে “Brood Lac Multiplication Farm” নামে একটি লাক্ষা ফার্ম প্রতিষ্ঠা পেয়েছিল। মূলত ঐটিই ছিল দেশের বৃহৎ আকারের লাক্ষা গবেষনা কেন্দ্র।

বাংলাদেশ স্বাধীনের পর নানা প্রতিকুলতার কারনে এলাকায় লাক্ষাচাষ ক্রমান্বয়ে সংকুচিত হতে থাকে। ১৯৮৪ সালে লাক্ষা ফার্ম এলাকাটিকে আম গবেষনা কেন্দ্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা হয়। পরে নবাবগঞ্জের কল্যানপুরস্থ হটিকালচার সেন্টারে ১১.০৪ হেক্টর জমির ওপর লাক্ষা গবেষনা কেন্দ্র স্থানান্তর করা হয়। বর্তমানে সেখানে লাক্ষা চাষ নিয়ে ক্ষুদ্র আকারে গবেষনা কার্যক্রম চলছে।

গবেষক ও কৃষি অর্থনীতিবিদরা মনে করেন, বাংলাদেশের সকল চরাঞ্চলে লাক্ষা গবেষনা সম্প্রসারণের জন্য জেলাভিত্তিক লাক্ষা গবেষনা কেন্দ্র স্থাপন ও কৃষকদের প্রশিক্ষন ও চাষাবাদে উদ্বুদ্ধ করনের জন্য সরকার উদ্যোগী হলে বাংলাদেশ লাক্ষা রপ্তানীকারক দেশে হিসেবে বিশ্বে স্থান করে নিতে পারবে।

See also  লাক্ষা চাষ পদ্ধতি

(৭) বাংলাদেশে লাক্ষা চাষের সম্ভাবনা

বর্তমানে নানা প্রতিকুলতার কারনে দেশে লাক্ষার চাষ দিন দিন কমে যাচ্ছে। এ ব্যাপারে সরকার উদ্যোগী হলে লাক্ষা চাষ সম্প্রসারণে এবং প্রক্রিয়াজাত শিল্প স্থাপনের মাধ্যমে নতুন কৃষি বিনিয়োগের দুয়ার খুলে দিতে পারে।

বাংলাদেশের যমুনা নদীর বুকে অসংখ্য চর জেগে উঠেছে। ইতিমধ্যেই জেগে ওঠা কিছু কিছু চর এলাকায় জনবসতি গড়ে ওঠেছে। সেখানে বসবাস করছে হাজার হাজার প্রান্তিক ও ভূমিহীন কৃষক পরিবার। রয়েছে আবাদি অনাবাদি লাখ লাখ হেক্টর চরাভূমির খোলা মাঠ। চরাভূমিতে লাক্ষার পোষক গাছ, স্থানীয় নাম বড়ই/ কূল, ইংরেজি নাম- Jujube, বৈজ্ঞানিক নাম-Ziziphus Jujuba  লাগিয়ে ব্যাপক ভিত্তিক লাক্ষা চাষ সম্ভব।

এর সুবিধাজনক দিক হচ্ছে এটি আপনজালা গাছ এবং বন্যার পানিতে মারা যায়না। এ ছারাও দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে নদীতে জেগে ওঠা চরগুলিতে লাক্ষার পোষক গাছ লাগিয়ে লাক্ষা চাষ সম্প্রসারনের মাধ্যমে উৎপাদন বাড়িয়ে দেশের চাহিদা পুরন করে বিদেশে রপ্তানীর মাধ্যমে,যেমন বিপুল অংকের বৈদেশিক মুদ্র অর্জন সম্ভব তেমনি বিপুল সংখ্যক প্রান্তিক ভূমিহীন জনগোষ্ঠির কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা অত্যন্ত সহজ।

এ ছাড়াও লাক্ষা চাষকে ঘিড়ে বৃক্ষশুন্য চর এলাকায় একদিকে যেমন বৃক্ষের সংখ্যা বাড়বে অন্যদিকে পাখির কলকাকলীতে ভবে উঠবে চর এলাকা। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বৃদ্ধির সাথে সাথে চরএলাকার তাপমাত্রা কমে আসার পাশাপাশি দ্রুত ফিরে আসবে কৃষি পরিবেশ। বৃদ্ধিপাবে জমির উর্বরতা শক্তি।

এ ছারাও বরই গাছ বনায়নের মাধ্যমে এর সংরক্ষন ও সম্প্রসারন করা হলে একদিকে লাক্ষা চাষ করে কৃষকেরা যেমন লাভবান হবেন অন্যদিকে ক্রেপ্ট গ্রাপ্টিং এর মাধ্যমে বরইয়ের জাত উন্নয়ন করে নানা জাতের সুমিষ্ট বরই/কূল উৎপাদন করে ঐ গাছ থেকে এলাকার জনগোষ্ঠি আয় বৃদ্ধির মাধ্যমে তাদের পরিবারের আর্থিক সচ্ছলতা ঘটাতে পারবেন বলেও ঐ রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে।

গ্রামে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা প্রায় সাড়ে আপনজালা (নিজ থেকে জন্মা) প্রচুর বরই গাছ রয়েছে। এগুলো প্রতিটি বরই গাছ থেকে প্রতি বছর ২০ কেজি ছাড়ানো লাক্ষা উৎপাদন সম্ভব হবে।

এ ছাড়াও দেশের বিভিন্নস্থানে লাক্ষার পোষক গাছ অযত্নে অবহেলায় যত্রতত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। উক্ত গাছগুলিকে লাক্ষা চাষের আওতায় এনে প্রচুর পরিমাণে লাক্ষা উৎপাদনই সম্ভব, একই সাথে বিশাল কর্মহীন দরিদ্র জনগোষ্ঠির কর্মসংস্থানও করা সম্ভব।

পুরুষদের পাশাপাশি নারীরা এ কাজ সুন্দরভাবে সম্পন্ন করতে পারবেন। এ কাজে এলাকার নারীপরুষদের উদ্বুদ্ধ করণ সহ লাক্ষা চাষ বিষয়ে প্রশিক্ষন দেয়া অত্যান্ত জরুরী। সরকার ও সরকারের কৃষিবিভাগ লাক্ষা চাষকে বিশেষ কর্মসূচির আওতায় এনে বানিজ্যিক ভিত্তেতে বড় আকারের লাক্ষা চাষের সম্প্রসারণ ঘটিয়ে দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতিকে তরান্বিত করবেন এ বিষয়ে গবেষকদের পরামর্শ রয়েছে।

[সূত্র: আবুল বাশার]

Leave a Reply

nv-author-image

inbangla.net/krisi

Everything related to animal and plants in the Bangla language!View Author posts