ঘাস ছাড়া গরু খামার চালাতে চাইলে, দানাদার খাদ্যের দাম বেশি হওয়ায় প্রতিদিন খামারে লোকশান গুনতে হয়। খাদ্য খরচ কমিয়ে লাভবান হতে এবং খামার টিকিয়ে রাখা হলে দানাদার খাদ্যের ব্যবহার কমিয়ে কাচা ঘাস খাওয়ানোর বাঞ্চনীয়। তাই নেপিয়ার, জারা, ইপল-ইপিল অন্যন্য আরও বিশেষগুণ সম্পন্ন উন্নত মানের হাইব্রিড ঘাস চাষ পদ্ধতি ও সাইলেজ তৈরির পদ্ধতি সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা থাকা প্রয়োজন।
কাচা ঘাস খাওয়ানোর ফলে তার খামারে রোগ বালাই বিশেষ করে রিপিট ব্রিডিং কমে যায় এবং দুধ উঠপাদন বেড়ে যায়। কিন্তু বর্ষা অতি বৃষ্টির ফলে তার সমস্ত ঘাসের জমি পানিতে ডুবে যায় এবং ঘাস উঠপাদন ব্যহাত হয় ও এক খামারিগণ খাদ্য নিয়ে সমস্যায় পড়েন। তাই কাচা ঘাস সংরক্ষন পদ্ধতি হসেবে বিশেষ করে সাইলেজ তৈরির পদ্ধতি সম্পর্কে জানা রাখা জরুরি।
যে অনেক উদ্যোগতা ডেইরী সেক্টরে বিনিয়োগ করে খাদ্য খরচ বেশী হওয়ায় লাভ করতে পারেনা। সহজ উপায়ে সাইলেজ তৈরির পদ্ধতিসমূহ মেনে মানসম্মত সাইলেজ তৈরি করে কাচাঘাসের চাহিদা পুরণ তথা দানাদার খাদ্যের খরচ কমানো যায়।
নিম্নে সাইলেজ তৈরির পদ্ধতিসমূহ তুলে ধরা হলো-
(১) সাইলেজ কি? সাইলেজ কোন ধরনের খাদ্য
সাইলেজ কি: বায়ুশূন্য অবস্থায় সবুজ ঘাসকে ভবিষ্যতের জন্য প্রক্রিয়াজাত করে রাখার প্রক্রিয়াকে সাইলেজ বলা হয়।
সাইলেজ কাকে বলে: বায়ুশূন্য অবস্থায় সবুজ ঘাসকে ভবিষ্যতের জন্য প্রক্রিয়াজাত করে রাখার পদ্ধতিকে সাইলেজ বলে।
সাইলেজ কোন ধরনের খাদ্য: সাইলেজ মূলত সবুজ ঘাস সংরক্ষণ করার একটি পদ্ধতি। বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি অনুসরণ করে সবুজ ঘাসের পুষ্টি উপাদান সঠিক রেখে বায়ুশূন্য অবস্থায় সবুজ ঘাসকে ভবিষ্যতের জন্য প্রক্রিয়াজাত করে রাখার প্রক্রিয়াকে সাইলেজ বলা হয়। সাইলেজ পুষ্টিকর একটি গোখাদ্য প্রস্তুত প্রক্রিয়া, যার বহুবিধ উপকারিতা রয়েছে।
(২) সাইলেজ এর উপকারিতা
সাইলেজ এর উপকারিতা: সাইলেজ এর প্রধান উপকারিতা হলো- কাঁচা ঘাস দীর্ঘ দিন সংরক্ষণ করে রেখে তা পশুকে সারাবছর নিরবিচ্ছীন্ন ভাবে খাওয়ানো যায়। এতে মোলাসেস বা চিটা গুড় মেশানো হয় বিধায় এর স্বাধ, ঘ্রাণ ও পুষ্টিগুণও বেশি হয়ে থাকে। এছাড়াও সাইলেজ এর উপকরিতা আরও অনকে রয়েছে। যেমন-
১। বর্ষাকালে ও খরার সময় সবুজ ঘাস উৎপাদন অনেক কমে যায়, খামার খাদ্য সংকটে পড়ে। এ কারণে সবুজ ঘাসকে কুচিকুচি করে কেটে সাইলেজ তৈরি করে, শতভাগ বায়ুরোধক ভাবে দীর্ঘদিন সংরক্ষণ করে রেখে, প্রয়োজন অনুযায়ী ধীরে ধীরে উৎকৃষ্ট খাদ্য হিসেবে পশুকে খাওয়ানো হয়।
২। ঘাসের জমি নেই বা কম আছে, সে সকল খামারিগণ এক মৌসুমের জন্য ভুট্টা খেত লিজ/ভাড়া নিয়ে, ভুট্টা চাষ করে, উক্ত ভুট্টা গাছ দ্বারা সাইলেজ তৈরি করে দিয়ে তা রেখে রেখে সারাবছর খাওয়াতে পারে।
৩। শহরে জমি নেই ও তাই চাষাবাদও হয়না। তাই শহরের প্রতিদিন পশুর জন্য কাঁচা ঘাস সংগ্রহ করা চ্যালেঞ্জিং। যাহারা শহরের খামারি রয়েছেন তারা গ্রাম থেকে ব্যাপক পরিমাণে ভুট্টা চাষে করে নিয়ে, তা দ্বারা সাইলেজ তৈরি করে শহরে নিয়ে আসেন, রেখে রেখে উক্ত সাইলেজ ছয় মাস, এক বছর, দুই বছর, তিন বছর যাবৎ তা পশুকে খাওয়াতে পারেন।
৪। বর্ষা মৌসুমে সবুজ ঘাসে ময়েশচ্যার বেশি থাকার কারনে শুকাতে সমস্যা হয়, আর কোন ভাবে ঘাসকে শুকানো হলে পুষ্টিমান কমে যায়। অপরদিকে, সাইলেজকে শুকানো লাগে না, পুষ্টি মানও ঠিক থাকে। তাই সারাবছর সঠিক পুষ্টিমান সমৃদ্ধ ঘাস গরুকে খাওয়াতে সাইলেজ হতে পারে উত্তম প্রক্রিয়া।
৫। কাঁচা ঘাসের তুলনায় সাইলেজ এর গুনগত ও খাদ্যমান বেশি। সাইলেজ প্রক্রিয়ায় ঘাস ১২ বছর পর্যন্ত সংরক্ষণ করে রাখা যায়।
৬। মূলত, সাইলেজ তৈরির মূল উদ্দেশ্য হলো- মান সম্মত গোখাদ্য সরাবরাহের মাধ্যেম দুধ ও মাংস উৎপাদন বৃদ্ধি করা, সাইলেজের সরাবরাহ বৃদ্ধির মাধ্যমে দানাদার খাদ্য খরচ কমিয়ে খামারীর লাভ নিশ্চত করা।
(৩) কোন কোন ঘাস সাইলেজ তৈরি করে সংরক্ষণ করা যায়?
কোন কোন ঘাস সাইলেজ তৈরি করে সংরক্ষণ করা যায়: সাইলেজ মূলত ভুট্টা গাছ দ্বার তৈরি করা হয়। ভুট্টা সাইলেজ সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় এবং ব্যাপকভাবে উৎপাদন ও ব্যবহার করা হয়। এছাড়াও অন্যন্য ঘাস ব্যবহার করেও সাইলেজ তৈরি করা সম্ভব। যেমন-
- বর্ষা মৌসুমে বেশি পরিমাণে পাওয়া যায় দেশীয় ঘাস, যেমন- দুর্বা, বাকসা, আরাইল, সেচি, দল ইত্যাদি।
- গাছের পাতা, যেমন- ধৈঞ্চা, ইপিল-ইপিল ইত্যাদি।
- জমিতে চাষ করা উন্নত জাতের ঘাস, যেমন- নেপিয়ার, পাকচং, জার্মান, ভূট্টা, সুদান, পারা, সরগম ইত্যাদি।
(৪) সাইলেজ তৈরির পদ্ধতি
ধাপ-১
ঘাস সংগ্রহ ফুল আসার আগে একই পরিপক্বতার ঘাসগুলো কেটে নিতে হবে। সবুজ ঘাসের মধ্যে সবচেয়ে ভালো সাইলেজ হয় ভুট্টার। কারন এই সাইলেজে কান্ড, পাতার সাথে ভুট্টাও থাকে যার ফলে দানাদার খাদ্যের চাহিদাও অনেকটায় পূরণ হয়।
সাইলেজ তৈরির জন্য ভুট্টা কাটার উপযুক্ত অবস্থা হলো: আধা কাঁচা ভু্ট্টা থাকার সময় সংগ্রহ করা ভালো।
অর্থ্যাৎ ভুট্টা মিল্কিং স্টেজে আসলে তাকে হারভেষ্ট করে এবং সাইলেজ তৈরির পদ্ধতি অনুযায়ী সাইলেজ তৈরি করতে হবে। এ সময় ভুট্টাকে চাপ দিয়ে সাদা দুধের মত তরল বের হবে।
ধাপ-২
ঘাস শুকিয়ে নেওয়া ঘাসগুলোকে একদিন রোদে শুকিয়ে নিতে হবে যেন ভেজাভাবটা না থাকে। নেপিয়ার ঘাস কাটার পর এতে Dry Matter (DM) থাকে ১৫-২০%। একদিন রোদে শুকানো হলে তা ৩০% এর কাছাকাছি হয়। যা সাইলেজ তৈরির জন্য উপযুক্ত।
অন্যদিকে গাছের পাতা কিংবা আগাছা ৪ ঘন্টা রোদে শুকিয়ে নিলেই ৩০% DM থাকে।
ড্রাই ম্যাটার-৩০% আছে যেভাবে বুঝবেন: কান্ডটি আর্দ্র কিন্তু ভেজা না। হাতে নিয়ে চাপ দিলে আগের অবস্থানে যাবে না।
ধাপ-৩
ঘাস ছোট ছোট টুকরো করে নেওয়া ১-৩ ইঞ্চি পরিমাণ করে কেটে নিতে হবে। বেশিপরিমাণে কাটার জন্য বাজারে মেশিন আছে যাকে ‘চপ কাটার’ বলে।
ধাপ-৪
ফার্মেন্টেশন বা গাঁজন প্রক্রিয়ায় সংরক্ষণ করার জন্য চিনি জাতীয় উপাদান যুক্ত করতে হবে। এজন্য লালিগুড় বা মোলাসেস ব্যবহার করা যেতে পারে। তাছাড়া লাল চিনিও ব্যবহার করা যায়।
ভুট্টা, জার্মান ঘাসে পর্যাপ্ত পরিমাণ কার্বোহাইড্রেট থাকার কারনে মোলাসেস প্রয়োগ করার প্রয়োজন পড়ে না)
সাইলেজ তৈরি করতে চিটাগুড় কতটুকু মেশাতে হয়: প্রতি ১০০ কেজি ঘাসের জন্য ২-৩% বা ২-৩ কেজি মোলাসেস বা চিটাগুড় প্রয়োগ করতে হবে। এ ক্ষেত্রে মোলাসেসের সাথে একই পরিমাণ পানি যুক্ত করতে হবে।
ধাপ-৫
এবার সংরক্ষণের জন্য সাইলো বা পাত্র ঠিক করতে হবে। এজন্য প্লাস্টিক ব্যাগ বা বস্তা, ড্রাম ব্যবহার করা যায়। তাছাড়া মাটিতে পুঁতেও সংরক্ষণ করা যায়, তেব গর্ত একম স্থানে করতে হবে যেখানে পানি আটকে থাকবে না বা প্রবেশ করবে না।
প্লাস্টিক ব্যাগ বা ড্রামে সাইলেজ সংরক্ষণ:
- ব্যাগটি যেন কোনোরকম ছেঁড়া না হয়। প্রথমে মোলাসেস এবং পানি মিশ্রিত দ্রবণের অর্ধেক পরিমাণ ঘাসে প্রয়োগ করতে হবে।
- তারপর সেই ঘাস ব্যাগে কয়েকধাপে ভরতে হবে।
- এক ধাপ ভরার পর ভালোভাবে চাপ দিতে হবে যেন ঘাসগুলোর মাঝে ফাঁকা না থাকে, ফাঁকা থাকলে সেখানে বাতাস থেকে যাবে, যার ফলে সাইলেজ ভালো না হওয়ার ধরুন বেশিদিন ঠিক থাকবে না, সাইলেজ পঁচে যাবে।
- তারপর মোলাসেস মিশ্রিত পানি আবার খানিকটা প্রয়োগ করতে হবে।
- এভাবে কয়েকধাপে ব্যাগ কিংবা ড্রামে ভালোভাবে ভরে শক্তভাবে মুখ বন্ধ করে রাখতে হবে যেন বাতাস প্রবেশ না করতে হবে।
(বিঃদ্রঃ ভেকুম মেশিন দ্বারা সহজেই বাতাস বের করে নেওয়া যায়।)
মাটির উপরে বাংকার হাইজ তৈরি করে বা মাটিতে পুঁতে সংরক্ষণ:
- এ পদ্ধতিতে সংরক্ষণের জন্য উঁচু স্থান নির্বাচন করতে হবে।
- প্রয়োজনীয় পরিমাণ গর্ত করে পলিথিন বিছেয়ে দিয়ে দিতে হবে।
- কয়েকধাপে সমপরিমাণে মোলাসেস এবং পানি মিশ্রিত ঘাস বিছিয়ে দিয়ে আবার মোলাসেস মিশ্রিত পানি প্রয়োগ করতে হবে।
- পা দিয়ে ভালোভাবে চাপ দিয়ে কম্পেক্ট করতে হবে। তারপর উপরে আবার পলিথিন দিয়ে শক্ত করে বেঁধে মাটি চাপা দিতে হবে।
ধাপ-৬
উপরে উল্লিখিত পাঁচটি ধাপে বায়ুশূন্য অবস্থায় পক্রিয়াকৃত ঘাসকে রেখে দিলে, সাধারণত সাইলেজ তৈরীর সমস্ত প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে ২১ দিন সময় লাগে। ২১ দিন (দুই সপ্তাহ) পর সাইলেজ সম্পূর্ণ ভাবে তৈরী হয়ে গবাদিপশুকে খাওয়ানোর উপযোগী হয়। সংরক্ষিত সাইলেজ পশুকে খাওয়ানের জন্য সংগ্রহের ক্ষেত্রে কিছু বিষয় মাথায় রাখতে হবে। যথা-
- প্লাস্টিক ব্যাগ বা বস্তা, ড্রাম বা যেভাবেই সাইলেজ সংরক্ষণ করা হোক না কেন, প্রতিদিতের প্রয়োজনীয় পরিমাণ সাইলেজ নেওয়ার পর পুনরায় ভালো ভাবে মুখ বন্ধ করে রাখবেন যাতে কোন বাতাস না প্রবেশ করে।
- একটি প্লাস্টিক ব্যাগ বা বস্তা, ড্রাম খোলার পর তা ফেলে রাখা যাবে না, দ্রুত তা শেষ করে ফেলতে হবে। না হলে তা পঁচে যাবে।
- মনে রাখবেন সাইলেজ দীর্ঘদীনেও পঁচে না কারণ, ভালো করে চাপ দিয়ে কমপ্রেস করে সংরক্ষণ করা হয়। ঘাসের ফাঁকে ফাঁকে অথবা প্লাস্টিক ব্যাগ বা বস্তা, ড্রাম ভেতরে কোন বাতাস থাকে না।
- যখনই ঘাসের ফাঁকে ফাঁকে অথবা প্লাস্টিক ব্যাগ বা বস্তা, ড্রাম ভেতরে কোন বাতাসের উপস্থিতি থাকবে তখন সাইলেজ পঁচে যাবে।
- মাটির গর্ত সাইলেজ সংরক্ষ করা হলে যেকোন এক পাশ থেকে প্রয়োজন মত সাইলেজ নিবেন, তারপর আবার সুন্দর করে পলিথিন দিয়ে বায়ুমক্তি করে চাপ দিয়ে ঢেকে রাখবেন।
প্রিয় খামারি ও পাঠক বন্ধু, উপরোক্ত আলোচনার মাধ্যমে আমরা সাইলেজ তৈরির পদ্ধতি সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পারলাম।
ঘনবসতিপূর্ণ কৃষি নির্ভর উন্নয়নশীল এ বাংলাদেশের মানুষের প্রধান পেশা কৃষি। এদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন কৃষির উপর অনেকাংশেই নির্ভরশীল। বাংলাদেশের মোট জনসংখার সিংহভাগ মানুষ গ্রামীন এলাকায় বসবাস করে এবং তাদের প্রধান জীবিকা কৃষি।
কৃষি বলতে শুধু ফসল উৎপাদনকে বুঝায় না এর সংগে অন্যান্য বিভাগ যেমন- প্রাণিসম্পদ ও মৎস্যসম্পদ বিভাগও ওতোপ্রোতভাবে জড়িত। প্রাণিসম্পদ আজ নানা ভূমিকায় অধিষ্ঠিত একটি সমৃদ্ধ খাত। বিশেষ করে বাংলাদেশে জাতীয় অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি, পুষ্টি নিরাপত্তা, আত্মকর্মসংস্থান এবং দারিদ্র নিরসনে প্রাণিসম্পদের অবদান অতীব গুরুত্বপূর্ণ।
বাংলাদেশের প্রাণিসম্পদ একটি সম্ভনাময় ও লাভজনক শিল্প হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। যার ফলশ্রুতিতে অত্র বিভাগে প্রতি বছর গবাদিপশু ও হাঁস মুরগির সংখা বেড়েই চলেছে অর্থাৎ দেশে শিল্পায়ন, নগরায়ন ইত্যাদি হলেও জনগণ পশুপালন থেকে বিচ্যুত হয়নি। সেই সাথে উপযুক্ত প্রযুক্তির উদ্ভাবন ও সম্প্রসারণ প্রাণিসম্পদ খাত আজ কর্মসংস্থান ও গ্রামীণ দারিদ্র বিমোচনের একটি অন্যতম প্রধান হাতিয়ারে পরিনত হয়েছে।
দেশের বেকার জনগোষ্ঠী এবং নারীরা প্রাণিসম্পদ পালনে সম্পৃক্ত হয়ে আত্মকর্মসংস্থানের পথ খুঁজে পেয়েছে, যা নারীর ক্ষমতায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে। বাংলাদেশ সমৃদ্ধ অর্থনীতির দেশ হিসেবে আত্মপ্রতিষ্ঠার যে প্রতিযোগিতায় নেমেছে এর গতিকে ক্রমান্বয়ে বেগবান করছে প্রাণিসম্পদের বাণিজ্যিক বিস্তরণ।
বিপুল সম্ভাবনাময় প্রাণিসম্পদ খাতের সম্পৃক্ত অধিকাংশ খামারীই অসচেতনতা ও কারিগরি জ্ঞানের অভাবে ঘাস চাষের বহূবিধ সুফল সম্পর্কে অবগত নয় । তাই খামারীদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সচেতন করে তুলতে হবে এবং কারিগরি জ্ঞান বিষয়ে দক্ষ করে গড়ে তুলতে হবে। উন্নত জাতের ঘাসের কাটিং বিতরণ করতে হবে এবং রোপন পদ্ধতি ও হারভেষট পদ্ধতির ব্যবহারিক প্রশিক্ষন প্রদান করতে হবে। গোখাদ্য সংরক্ষন তথা সাইলেজ তৈরির পদ্ধতি খামারীদের মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে এবং এর সুফল সম্পর্কে জানাতে হবে।
[সূত্র: DLS, Gouripur, Mymensingh]