(১) সুস্থ ছাগলের বৈশিষ্ট্য
নিম্নে সুস্থ ছাগল চেনার উপায় উলেল্খ করা হলো-
১। ছাগল দলবদ্ধভাবে থাকবে এবং দলের সাথে চলাফেরা করবে ৷
২। চোখের কোনায় পিচুটি থাকবে না।
৩। ছাগলের নাক, মুখ ও চোখ পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন থাকবে |
৪। সারা শরীরের লোম উজ্জ্বল, মসৃণ ও চকচকে থাকবে |
৫। মাথা সবসময় উচু করে চলবে |
৬। নাকের আগায় ঘাম থাকবে |
৭। কান সজাগ ও খাঁড়া থাকবে এবং লেজ স্বাভাবিকভাবে নেড়ে মশা মাছি তাড়াবে।
৮। ছাগলের ক্ষুধা থাকবে এবং সর্বদাই কিছু না কিছু খেতে আগ্রহ প্রকাশ করবে।
৯। জাবর কাটবে |
১০। পানির পিপাসা স্বাভাবিক থাকবে।
১১। মল-মুত্র স্বাভাকি রংয়ের এবং নিয়মিত হবে |
১২। পায়ু অঞ্চল থাকবে পরিচ্ছন্ন।
১৩। শান্ত থাকবে এবং অপরিচিত কোন কিছুর সাথে অস্বাভাবিক আচরণ করবে না।
(২) অসুস্থ ছাগলের বৈশিষ্ট্য
অসুস্থ ছাগলকে চিনবেন কিভাবে? তা নিম্নে তুলে ধরা হলো-
১। ছাগলের মুখ ও চোখ নিস্তেজ ও বিষন্ন হবে |
২। চোখের কোনায় পিচুটি থাকতে পারে |
৩। ছাগল দল থেকে সরে ধীরে ধীরে চলাফেরা করবে অথবা চুপ করে দাড়িয়ে থাকবে।
৪। মাথা নীচু বা ঝুলে থাকবে। জ্বর থাকলে নাকের আগা শুকনো ও গরম থাকবে।
৫। ছাগলের ক্ষুধা কম থাকবে এবং খাদ্য গ্রহণে অনীহা প্রকাশ করবে |
৬। বিশেষ বিশেষ রোগের ক্ষেত্রে বিশেষ লক্ষণ থাকবে যেমন, পিপিআর হলে ডায়রিয়া বা পাতলা পায়খানা, ধনুষ্টংকার হলে শরীর শক্ত হয়ে যাবে এবং নড়াচড়া করবে না, একথাইমা হলে ঘা দেখা যাবে, ক্ষুরারোগ হলে মুখে, জিহব্বায় ও পায়ের ক্ষুরে ক্ষতস্থান দেখা যাবে ইত্যাদি ৷
৭। মল-মূত্র অনিয়মিত এবং স্বাভাবিক হবে না।
৮। তীব্র/অতি তীব্র রোগে অস্থিরতা প্রকাশ করবে।
[সূত্র: খামারিয়ান.কম]