Skip to content

 

৪০টি আলুর জাতের নাম ও পরিচিতি

৪০টি আলুর জাতের নাম ও পরিচিতি

আলোচ্য বিষয়:

বাংলাদেশের ৪০টি আলুর জাতের নাম ও প্রত্যকটির ছবিসহ উক্ত আলুর জাতসমূহের পরিচিতি ও বিশিষ্ট্য বর্ণনা করা হলো-

(১) বারি আলু-১৩ (গ্রানোলা)

নেদারল্যান্ড থেকে গ্রানোলা জাতটি সংগ্রহ করে বাংলাদেশের আবহাওয়ায় চাষাবাদ উপযোগিতা যাচাই বাছাই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে উদ্ভাবিত ‘বারি আলু-১৩ (গ্রানোলা)’ জাত হিসেবে ১৯৯৪ সালে অনুমোদন লাভ করে।

বারি আলু-১৩ (গ্রানোলা)
বারি আলু-১৩ (গ্রানোলা)
  • গাছ কিছুটা ছড়ানো প্রকৃতির।
  • কান্ডের সংখ্যা বেশি ও সবুজ।
  • প্রথমে গাছের বর্ধন ধীর গতিতে হয়, তবে পরবর্তী পর্যায়ে সমস্ত জমি গাছে ঢেকে যায়।
  • খরা সহ্য করার ক্ষমতা আছে।
  • আলু গোল-ডিম্বাকার, মাঝারী আকৃতির, ত্বক অমসৃণ হালকা তামাটে হলদে, শাঁস রং ফ্যাকাসে হলদে ও চোখ অগভীর।
  • অঙ্কুর প্রথমে গোলাকার, পরে খাটো কান্ডের মতো, রং তামাটে বেগুনি ও কিঞ্চিৎ রোমশ হয়।
  • সুপ্তিকাল বেশি এবং সাধারণ তাপমাত্রায় বীজের সুপ্ততা ৭০-৭৫ দিন।
  • জীবনকাল ৯০-৯৫ দিন।
  • উন্নত পদ্ধতিতে চাষ করলে হেক্টরপ্রতি ফলন ২৫-৩০ টন হয়।
  • মড়ক সহনশীল ও অন্যান্য ভাইরাস রোগ প্রতিরোধী।
  • জাতটি সারা দেশেই চাষ করা যায়।
  • আলুর সুপ্তিকাল বেশি হওয়ায় আলু ৪-৫ মাস ঘরে অনায়েসে সংরক্ষণ করা যায়।
  • জাতটি বিদেশে রপ্তানিযোগ্য কিন্তু আগাম জাত হিসেবে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে।

(২) বারি আলু-২৫ (এসটেরিক্স)

নেদারল্যান্ড থেকে সংগৃহীত এসটেরিক্স জাতটি সংগ্রহ করে বাংলাদেশের আবহাওয়ায় চাষাবাদ উপযোগিতা যাচাই বাছাই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে উদ্ভাবিত ‘বারি আলু-২৫ (এসটেরিক্স)’ জাত হিসেবে ২০০৫ সালে বাংলাদেশে চাষাবাদের জন্য অনুমোদিত হয়।

বারি আলু-২৫ (এসটেরিক্স)
বারি আলু-২৫ (এসটেরিক্স)
  • গাছ খাড়া ও গড়ে প্রতি গাছে ৩-৪ টি কান্ড থাকে।
  • পাতা বড়, সবুজ ও ছড়ানো, গাছের গঠন ও পাতার বিন্যাস চমৎকার।
  • আলু ডিম্বাকার থেকে লম্বা প্রকৃতির, মাঝারী থেকে বড় আকৃতির, মসৃণ লাল ত্বক, শাঁস ফ্যাকাসে হলুদ, চোখ অগভীর।
  • অঙ্কুর বেগুনী বর্ণের ও লোমশ।
  • জীবনকাল ৯০-৯৫দিন।
  • ফলন হেক্টরপ্রতি ২৫-৩০ টন।
  • প্রক্রিয়াজাতকরণের উপযোগী তবে ইতোমধ্যেই খাবার আলু হিসেবেও জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে।

(৩) বারি আলু-২৮ (লেডি রোসেটা)

নেদারল্যান্ড থেকে সংগৃহীত লেডি রোসেটা জাতটি সংগ্রহ করে বাংলাদেশের আবহাওয়ায় চাষাবাদ উপযোগিতা যাচাই বাছাই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে উদ্ভাবিত ‘বারি আলু-২৮ (লেডি রোসেটা)’ জাত হিসেবে ২০০৮ সালে বাংলাদেশে চাষাবাদের জন্য অনুমোদিত হয়।

বারি আলু-২৮ (লেডি রোসেটা)
বারি আলু-২৮ (লেডি রোসেটা)
  • গাছ মধ্যম উচ্চতাসম্পন্ন এবং গড়ে ৪/৫ টি কান্ড থাকে।
  • কান্ড শক্ত ও খাড়া আংশিক হেলানো, পাতা মাঝারী ও গাঢ় সবুজ।
  • আলু গোলাকার।
  • আলুর রং লাল, চামড়া মসৃণ।
  • আলুর শাসের রং হলুদাভ সাদা।
  • চোখ হালকা গভীর।
  • হেক্টরপ্রতি ফলন ২৫-৩০ টন।
  • জীবনকাল ৯০-৯৫ দিন।
  • প্রক্রিয়াজাতকরণের উপযোগী।

(৪) বারি আলু-২৯ (কারেজ)

নেদারল্যান্ড থেকে সংগৃহীত কারেজ জাতটি সংগ্রহ করে বাংলাদেশের আবহাওয়ায় চাষাবাদ উপযোগিতা যাচাই বাছাই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে উদ্ভাবিত ‘বারি আলু-২৯ (কারেজ)’ জাত হিসেবে ২০০৮ সালে বাংলাদেশে চাষাবাদের জন্য অনুমোদিত হয়।

বারি আলু-২৯ (কারেজ)
বারি আলু-২৯ (কারেজ)
  • গাছ মধ্যম উচ্চতাসম্পন্ন এবং গড়ে ৪/৫ টি কান্ড থাকে।
  • কান্ড শক্ত ও খাড়া আংশিক হেলানো, পাতা মাঝারী ও গাঢ় সবুজ।
  • ৯০-৯৫ দিনে আলু পরিপক্কতা লাভ করে।
  • আলু গোল থেকে ডিম্বাকৃতি।
  • আলুর রং লাল, চামড়া মসৃণ।
  • আলুর শাসের রং হলুদাভ সাদা।
  • চোখ হালকা গভীর।
  • হেক্টরপ্রতি ফলন ২৫-৩০ টন।
  • জীবনকাল ৯০-৯৫ দিন।
  • প্রক্রিয়াজাতকরণের উপযোগী।

(৫) বারি আলু-৩৪ (লরা)

জার্মানী থেকে সংগৃহীত লরা জাতটি সংগ্রহ করে বাংলাদেশের আবহাওয়ায় চাষাবাদ উপযোগিতা যাচাই বাছাই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে উদ্ভাবিত ‘বারি আলু-৩৪ (লরা)’ জাত হিসেবে ২০১১ সালে বাংলাদেশে চাষাবাদের জন্য অনুমোদিত হয়।

বারি আলু-৩৪ (লরা)
বারি আলু-৩৪ (লরা)
  • গাছ কিছুটা ছড়ানো, মধ্যম উচ্চতাসম্পন্ন এবং গড়ে ৪/৫ টি কান্ড থাকে।
  • কান্ড শক্ত ও নীল বেগুনী বর্ণের মিশ্রণ দেখা যায়।
  • প্রান্তীয় পাতা একক পাতার সাথে সংযুক্ত থাকে।
  • পত্র কক্ষ সবুজ নীল বর্ণের।
  • পাতায় ও কান্ডে হালকা রোমশ দেখা যায়।
  • আলু ডিম্বাকার ও মাঝারী আকৃতির।
  • আলুর রং লাল, চামড়া মসৃণ।
  • আলুর শাসের রং গাঢ় হলুদ।
  • চোখ হালকা অগভীর।
  • সাধারণ তাপমাত্রায় ৫৫-৬০ দিনে অঙ্কুর (স্প্রাউট) বের হয়।
  • অঙ্কুর ডিম্বাকার, অল্প এন্থোসায়ানিন আছে, অগ্রভাগ হালকা লোমশ ও এন্থোসায়ানিন যুক্ত।
  • আলুতে শুষ্ক পদার্থের পরিমাণ ২০.২২%।
  • ৯০-৯৫ দিনে আলু পরিপক্কতা লাভ করে।
  • গড় ফলন হেক্টরপ্রতি ২৫-৩৫ টন।
  • জাতটি প্রক্রিয়াজাতকরণের উপযোগী।

(৬) বারি আলু-৩৫

বাংলাদেশে নিজস্ব সংকরায়ণের মাধ্যমে উদ্ভাবিত জাতটি বাংলাদেশের আবহাওয়ায় চাষাবাদ উপযোগিতা যাচাই বাছাই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে উদ্ভাবিত ‘বারি আলু-৩৫’ জাত হিসেবে ২০১২ সালে বাংলাদেশে চাষাবাদের জন্য অনুমোদিত হয়।

বারি আলু-৩৫
বারি আলু-৩৫
  • গাছ মধ্যম উচ্চতা সম্পন্ন এবং গড়ে ৪/৫ টি কান্ড থাকে।
  • কান্ড সবুজ এবং এন্থোসায়ানিন এর বিস্তৃতি কম, পাতা কম ডেউ খেলানো এবং মধ্য শিরায় এন্থোসায়ানিন কম।
  • আলু ডিম্বাকৃতি ও মধ্যম আকারের।
  • আলুর রং বাদামী, চামড়া মসৃণ।
  • আলুর শাসের রং হালকা ক্রিম, চোখ অগভীর।
  • সাধারণ তাপমাত্রায় ৫০-৫৫ দিনে অঙ্কুর (স্প্রাউট) বের হয়।
  • অঙ্কুর মাঝারী উপগোলাকার, খুবই কম এন্থোসায়ানিন আছে, গোড়ার দিক পাতলা লোমশ, অগ্রভাগ ছোট আকারের।
  • আলুতে শুষ্ক পদার্থের পরিমাণ ২০.২৬%।
  • ৯০-৯৫ দিনে আলু পরিপক্কতা লাভ করে।
  • গড় ফলন হেক্টরপ্রতি ৩০-৪৫ টন।
  • এ জাতটি প্রক্রিয়াজাতকরণ ও খাবার উপযোগী।

(৭) বারি আলু-৩৬

বাংলাদেশে নিজস্ব সংকরায়ণের মাধ্যমে উদ্ভাবিত জাতটি বাংলাদেশের আবহাওয়ায় চাষাবাদ উপযোগিতা যাচাই বাছাই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে উদ্ভাবিত ‘বারি আলু-৩৬’ জাত হিসেবে ২০১২ সালে বাংলাদেশে চাষাবাদের জন্য অনুমোদিত হয়।

বারি আলু-৩৬
বারি আলু-৩৬
  • গাছ মধ্যম উচ্চতাসম্পন্ন এবং গড়ে ৪/৫টি কান্ড থাকে।
  • কান্ড সবুজ এবং এন্থোসায়ানিন এর বিস্তৃতি বেশি।
  • পাতা খুব কম ঢেউ খেলানো এবং মধ্য শিরা এন্থোসায়ানিন যুক্ত।
  • আলু ডিম্বাকৃতি থেকে লম্বাকৃতি ও মধ্যম আকারের।
  • আলুর রং লাল।
  • চোখ অগভীর।
  • সাধারণ তাপমাত্রায় ৫৫-৬০ দিনে অঙ্কুর (স্প্রাউট) বের হয়।
  • অঙ্কুর ছোট উপগোলাকার, গোড়ার দিকে পাতলা লোমশ, অগ্রভাগে খুবই কম পরিমাণে এন্থোসায়ানিন আছে এবং লোম অনুপস্থিত।
  • আলুতে শুষ্ক পদার্থের পরিমাণ ১৯.৬৮%।
  • ৯০-৯৫ দিনে আলু পরিপক্কতা লাভ করে।
  • গড় ফলন হেক্টরপ্রতি ৩০-৪০ টন।
  • এ জাতটি প্রক্রিয়াজাতকরণ ও খাবার উপযোগী।

(৮) বারি আলু-৪০

বাংলাদেশে নিজস্ব সংকরায়ণের মাধ্যমে উদ্ভাবিত জাতটি বাংলাদেশের আবহাওয়ায় চাষাবাদ উপযোগিতা যাচাই বাছাই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে উদ্ভাবিত ‘বারি আলু-৪০’ জাত হিসেবে ২০১২ সালে বাংলাদেশে চাষাবাদের জন্য অনুমোদিত হয়।

বারি আলু-৪০
বারি আলু-৪০
  • গাছ মাধ্যম উচ্চতাসম্পন্ন এবং গড়ে ৪/৫ টি কান্ড থাকে।
  • কান্ড সবুজ এবং এন্থোসায়ানিন এর বিস্তৃতি কম, পাতা খুব কম ঢেউ খেলানো এবং মধ্য শিরায় এন্থোসায়ানিন নাই।
  • আলু খাটো ডিম্বাকৃতি থেকে লম্বা ডিম্বাকৃতি ও মধ্যম আকারের।
  • আলুর রং হলুদ, চামড়া মসৃণ।
  • আলুর শাসের রং ক্রিম।
  • চোখ মধ্যম অগভীর।
  • সাধারণ তাপমাত্রায় ৪০-৪৫ দিনে অঙ্কুর (স্প্রাউট) বের হয়।
  • অঙ্কুর মাঝারী ইস্ফেরিক্যাল, গোড়ার দিক শক্ত পরিমাণে রেড-ভায়োলেট এন্থোসায়ানিন আছে, গোড়ার দিক মাঝারী লোমযুক্ত, অগ্রভাগ মাঝারী।
  • আলুতে শুষ্ক পদার্থের পরিমাণ ২০.২২%।
  • ৯০-৯৫ দিনে আলু পরিপক্কতা লাভ করে।
  • গড় ফলন হেক্টরপ্রতি ৩৫-৫৫ টন।
  • জাতটি প্রক্রিয়াজাতকরণ ও খাবার উপযোগী।

(৯) বারি আলু-৪১

বাংলাদেশে নিজস্ব সংকরায়ণের মাধ্যমে উদ্ভাবিত জাতটি বাংলাদেশের আবহাওয়ায় চাষাবাদ উপযোগিতা যাচাই বাছাই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে উদ্ভাবিত ‘বারি আলু-৪১’ জাত হিসেবে ২০১২ সালে বাংলাদেশে চাষাবাদের জন্য অনুমোদিত হয়।

বারি আলু-৪১
বারি আলু-৪১
  • গাছ মাধ্যম উচ্চতাসম্পন্ন এবং গড়ে ৪/৫টি কান্ড থাকে।
  • কান্ড সবুজ এবং এন্থোসায়ানিন এর বিস্তৃতি বেশি, পাতা বড় খুব কম ঢেউ খেলানো এবং মধ্য শিরায় এন্থোসায়ানিন মাধ্যম পরিমাণে বিদ্যমান।
  • আলু গোলাকার থেকে চ্যাপ্টা গোলাকার আকারের।
  • আলুর রং গাঢ় লাল, চামড়া মসৃণ।
  • আলুর রং গাঢ় লাল, চামড়া মসৃণ।
  • আলুর শাসের রং হালকা হলুদ।
  • চোখ মধ্যম অগভীর।
  • সাধারণ তাপমাত্রায় ৪৫-৫০ দিনে অঙ্কুর (স্প্রাউট) বের হয়।
  • অঙ্কুর মাঝারী ওভোয়েড (ড়াড়রফ), গোড়ার দিক খুব দুর্বল পরিমাণে রেড-ভায়োলেট এন্থোসায়ানিন আছে, গোড়ার দিক মাঝারী লোমযুক্ত, অগ্রভাগ মাঝারী।
  • আলুতে শুষ্ক পদার্থের পরিমাণ ২১.২০%।
  • ৯০-৯৫ দিনে আলু পরিপক্কতা লাভ করে।
  • গড় ফলন হেক্টরপ্রতি ৩৮-৫৪ টন।
  • এ জাতটি প্রক্রিয়াজাতকরণ ও খাবার উপযোগী।

(১০) বারি আলু-৪৬

আন্তর্জাতিক আলু কেন্দ্র, লিমা, পেরু থেকে সংগৃহীত এলবি-৭ জার্মপ্লাজম সংগ্রহ করে বাংলাদেশের আবহাওয়ায় চাষাবাদ উপযোগিতা যাচাই বাছাই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে উদ্ভাবিত ‘বারি আলু-৪৬’ জাত হিসেবে ২০১৩ সালে বাংলাদেশে চাষাবাদের জন্য অনুমোদিত হয়।

বারি আলু-৪৬
বারি আলু-৪৬
  • অঙ্কুর মাঝারী ওভোয়েড, গোড়ার দিক মাঝারী পরিমাণে রেড-ভায়োলেট এন্থোসায়ানিন আছে, গোড়ার দিক ঘন শক্ত লোমযুক্ত, অগ্রভাগ মাঝারী।
  • সাধারণ তাপমাত্রায় ৪৫ – ৪৮ দিনে অঙ্কুর (স্প্রাউট) বের হয়।
  • গাছ কিছুটা লম্বা স্বভাবের এবং গড়ে ৩/৫ টি কান্ড থাকে।
  • কান্ড সবুজ এবং এন্থোসায়ানিন এর বিস্তৃতি কম, পাতা দুর্বল ঢেউ খোলানো এবং মধ্য শিরায় কোন এন্থোসায়ানিন নাই।
  • আলু গোলাকৃতি থেকে খাটো ডিম্বাকৃতি ও মাধ্যম থেকে বড় আকারের।
  • আলুর রং হালকা হলুদ, চামড়া মোটামুটি মসৃণ।
  • আলুর শাসের রং ক্রিম।
  • চোখ মাঝারী গভীর।
  • শুষ্ক পদার্থের পরিমাণ ১৯%।
  • ৯০-৯৫ দিনে আলু পরিপক্কতা লাভ করে।
  • গড় ফলন হেক্টরপ্রতি ৩০-৪০ টন।
  • এ জাতটি নাবি ধ্বসা রোগ প্রতিরোধী।
  • এটি প্রক্রিয়াজাতকরণ ও খাবার উপযোগী।

(১১) বারি আলু-৪৮

বাংলাদেশে নিজস্ব সংকরায়ণের মাধ্যমে উদ্ভাবিত জাতটি বাংলাদেশের আবহাওয়ায় চাষাবাদ উপযোগিতা যাচাই বাছাই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে উদ্ভাবিত ‘বারি আলু-৪৮’ জাত হিসেবে ২০১৪ সালে বাংলাদেশে চাষাবাদের জন্য অনুমোদিত হয়।

বারি আলু-৪৮
বারি আলু-৪৮
  • গাছ মধ্যম উচ্চতাসম্পন্ন ইন্টারমিডিয়েট টাইপ।
  • ৩-৪ টি কান্ড থাকে।
  • কান্ড সবুজ কিন্তু গোড়ার দিকে এন্থোসায়ানিনের মধ্যম বিস্তৃতি আছে।
  • মধ্যম আকারের পাতা কম ঢেউ খেলানো এবং মধ্য শিরায় এন্থোসায়ানিন খুবই কম বিদ্যমান।
  • আলু খাটো ডিম্বাকৃতি থেকে ডিম্বাকৃতি মধ্যম আকারের।
  • আলুর রং হলুদ, শাসের রং হালকা হলুদ।
  • চোখ মধ্যম অগভীর।
  • শুষ্ক পর্দাথ ১৮.৪২%।
  • অঙ্কুর ছোট আকারের ব্রড-সিলিন্ড্রিক্যাল, গোড়ার দিক এন্থোসায়ানিনের বিস্তৃতি মধ্যম, গোড়ার দিক বেশি লোমযুক্ত, অগ্রভাগ ছোট আকারের।
  • সাধারণ তাপমাত্রায় ৫০-৫৫ দিনে অঙ্কুর (স্প্রাউট) বের হয়।
  • জীবনকাল ৯০-৯৫ দিন।
  • গড় ফলন হেক্টরপ্রতি ২৬.০৫-৬২.৪১ টন।
  • এ জাতটি সাধারন তাপমাত্রায় ৫-৬ মাস সংরক্ষণ করা যায়।
  • খাবার আলু হিসেবে উপযোগী।

(১২) বারি আলু-৫৩

আন্তর্জাতিক আলু কেন্দ্র, লিমা, পেরু থেকে সংগৃহীত এলবি-৬ জার্মপ্লাজম সংগ্রহ করে বাংলাদেশের আবহাওয়ায় চাষাবাদ উপযোগিতা যাচাই বাছাই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে উদ্ভাবিত ‘বারি আলু-৫৩’ জাত হিসেবে ২০১৪ সালে বাংলাদেশে চাষাবাদের জন্য অনুমোদিত হয়।

See also  আলুর বীজ উৎপাদন পদ্ধতি ও আলুর বীজ শোধন পদ্ধতি
বারি আলু-৩৫
বারি আলু-৩৫
  • গাছ কিছুটা লম্বা স্বভাবের এবং গড়ে ৩/৫ টি কান্ড থাকে।
  • কান্ড সবুজ এবং এন্থোসায়ানিন এর বিস্তৃতি গাঢ় কম, পাতা কম ঢেউ খোলানো এবং মধ্য শিরায় এন্থোসায়ানিন বিস্তৃতি মধ্যম।
  • আলু গোলাকৃতি থেকে খাটো ডিম্বাকৃতি ও মাধ্যম আকারের।
  • আলুর রং গাঢ় লাল, চামড়া মোটামুটি মসৃণ।
  • আলুর শাসের রং হালকা হলুদ।
  • চোখ গভীর।
  • শুষ্ক পর্দাথ ২০.৪২%।
  • অঙ্কুর মাঝারী ওভোয়েড, গোড়ার দিক মাঝারী পরিমাণে রেড-ভায়োলেট এন্থোসায়ানিন আছে, গোড়ার দিক ঘন শক্ত লোমযুক্ত, অগ্রভাগ মাঝারী কিঞ্চিৎ লোমযুক্ত।
  • সাধারণ তাপমাত্রায় ৪৫- ৪৮ দিনে অঙ্কুর (স্প্রাউট) বের হয়।
  • জীবনকাল ৯০-৯৫ দিন।
  • গড় ফলন হেক্টরপ্রতি ৩২-৩৪ টন।
  • এ জাতটি নাবি ধ্বসা রোগ প্রতিরোধী এবং প্রক্রিয়াজাতকরণ ও খাবার উপযোগী।

(১৩) বারি আলু-৫৪ (মিউজিকা)

নেদারল্যান্ড থেকে সংগৃহীত মিউজিকা জাতটি সংগ্রহ করে বাংলাদেশের আবহাওয়ায় চাষাবাদ উপযোগিতা যাচাই বাছাই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে উদ্ভাবিত ‘বারি আলু-৫৪’ (মিউজিকা) জাত হিসেবে ২০১৪ সালে বাংলাদেশে চাষাবাদের জন্য অনুমোদিত হয়।

বারি আলু-৫৪ (মিউজিকা)
বারি আলু-৫৪ (মিউজিকা)
  • গাছ মধ্যম উচ্চতাসম্পন্ন ইন্টারমিডিয়েট টাইপ এবং কান্ড সবুজ কিন্তু গোড়ার দিকে এন্থোসায়ানিন এর বিস্তৃতি কম।
  • ৩-৬ টি কান্ড থাকে।
  • পাতা ছোট আকারের, কম ঢেউ খেলানো এবং মধ্য শিরায় এন্থোসায়ানিনের বিস্তৃতি খুবই কম বা থাকে না।
  • আলু মাঝারী আকারের, ডিম্বাকৃতি থেকে লম্বা ডিম্বাকৃতির।
  • চামড়ার রং হলুদ, শাঁসের রং হালকা হলুদ।
  • অগভীর চোখ বিশিষ্ট।
  • শুষ্ক পদার্থ ১৮.১৮১%।
  • অঙ্কুর ছোট আকারের ব্রড-সিলিন্ড্রিক্যাল, গোড়ার দিক এন্থোসায়ানিনের বিস্তৃতি মধ্যম, গোড়ার দিক মাঝারী লোমযুক্ত, অগ্রভাগ মাঝারী।
  • সাধারণ তাপমাত্রায় ৪৫-৪৮ দিনে অঙ্কুর (স্প্রাউট) বের হয়।
  • ৯০-৯৫ দিনে আলু পরিপক্কতা লাভ করে।
  • গড় ফলন হেক্টরপ্রতি ৪১.১৯ (২৫.৫৯-৫৭.৫১) টন।
  • এ জাতটি খাবার উপযোগী।

(১৪) বারি আলু-৫৬

বাংলাদেশে নিজস্ব সংকরায়ণের মাধ্যমে উদ্ভাবিত জাতটি বাংলাদেশের আবহাওয়ায় চাষাবাদ উপযোগিতা যাচাই বাছাই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে উদ্ভাবিত ‘বারি আলু-৫৬’ জাত হিসেবে ২০১৪ সালে বাংলাদেশে চাষাবাদের জন্য অনুমোদিত হয়।

বারি আলু-৫৬
বারি আলু-৫৬
  • গাছ মধ্যম উচ্চতাসম্পন্ন ইন্টারমিডিয়েট টাইপ।
  • ৪-৬ টি কান্ড থাকে।
  • কান্ড লাল-বাদামী এবং এন্থোসায়ানিন এর বিস্তৃতি খুব বেশি।
  • পাতা মধ্যম আকৃতির, কম ঢেউ খেলানো এবং মধ্য শিরায় এন্থোসায়ানিন এর বিস্তৃতি কম।
  • আলু খাটো ডিম্বাকৃতি থেকে মধ্যম আকারের।
  • আলুর চামড়ার রং লাল (বেগুনী), চামড়া মসৃণ, শাসের রং হলুদ।
  • গভীর চোখ বিশিষ্ট। শুষ্ক পর্দাথ ১৯.১৫%।
  • অঙ্কুর মাঝারী ওভোয়েড, গোড়ার দিক খুব বেশি পরিমাণে রেড-ভায়োলেট এন্থোসায়ানিন আছে, গোড়ার দিক হালকা লোমযুক্ত, অগ্রভাগ মাঝারী।
  • সাধারণ তাপমাত্রায় ৫০-৫৫ দিনে অঙ্কুর (স্প্রাউট) বের হয়।
  • জীবনকাল ৯০-৯৫ দিন।
  • গড় ফলন হেক্টরপ্রতি ২৯.৬৪-৪৫.০১ টন।
  • এ জাতটি খাবার আলু হিসেবে উপযোগী ও স্ক্যাব রোগ প্রতিরোধী।

(১৫) বারি আলু-৫৭

বাংলাদেশে নিজস্ব সংকরায়ণের মাধ্যমে উদ্ভাবিত জাতটি বাংলাদেশের আবহাওয়ায় চাষাবাদ উপযোগিতা যাচাই বাছাই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে উদ্ভাবিত ‘বারি আলু-৫৭’ জাত হিসেবে ২০১৪ সালে বাংলাদেশে চাষাবাদের জন্য অনুমোদিত হয়।

বারি আলু-৫৭
বারি আলু-৫৭
  • গাছ মধ্যম উচ্চতাসম্পন্ন ইন্টারমিডিয়েট টাইপ এবং কান্ড সবুজ এবং এন্থোসায়ানিন এর বিস্তৃতি কম।
  • পাতা মধ্যম আকৃতির, কম ঢেউ খেলানো এবং মধ্য শিরায় এন্থোসায়ানিন এর বিস্তৃতি কম।
  • আলু লম্বা ডিম্বাকৃতি ও মধ্যম থেকে বড় আকারের।
  • আলুর রং হলুদ, চামড়া মসৃণ, আলুর শাসের রং সাদা।
  • চোখ মধ্যম গভীর।
  • শুষ্ক পদার্থ ১৮.৯৭%।
  • অঙ্কুর মাঝারী ব্রড-সিলিন্ড্রিক্যাল, গোড়ার দিক এন্থোসায়ানিনের বিস্তৃতি মধ্যম, গোড়ার দিক হালকা লোমযুক্ত, অগ্রভাগ মাঝারী।
  • সাধারণ তাপমাত্রায় ৫০-৫৫ দিনে অঙ্কুর (স্প্রাউট) বের হয়।
  • জীবনকাল ৯০-৯৫ দিন।
  • গড় ফলন হেক্টরপ্রতি ২৯.৩৪-৪৫.২৪ টন।
  • এ জাতটি নাবিধ্বসা রোগ প্রতিরোধী, প্রক্রিয়াজাতকরণ ও খাবার উপযোগী।

(১৬) বারি আলু-৬২

বারি আলু-৬২
বারি আলু-৬২

জাতটি বাংলাদেশের আবহাওয়ায় চাষাবাদ উপযোগিতা যাচাই বাছাই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে উদ্ভাবিত ‘বারি আলু-৬২’ জাত হিসেবে ২০১৫ সালে বাংলাদেশে চাষাবাদের জন্য অনুমোদিত হয়।

  • গাছ মধ্যম উচ্চতাসম্পন্ন ইন্টারমিডিয়েট টাইপ এবং গড়ে ৪-৭টি কান্ড থাকে।
  • গাছ কিছুটা খাড়া প্রকৃতির ও শাখা প্রশাখা কম।
  • কান্ড সবুজ মাঝারী ধরনের মোটা এবং এন্থোসায়ানিন এর বিস্তৃতি মধ্যম।
  • পাতা মাঝারী আকারের ও কম ঢেউ খেলানো।
  • পাতায় সবুজ রঙের আধিক্য মাঝারী এবং মধ্য শিরায় এন্থোসায়ানিন এর বিস্তৃতি কম।
  • পত্রফলক মধ্যম আকারের ও মাঝারী ধরনের চওড়া পত্রফলকের উপরের দিকের মসৃণতা মাঝারী।
  • মধ্য শিরায় উপপত্রের সংখ্যা বেশি।
  • শীর্ষের পত্রফলকে উপপত্রের সংখ্যা কম।
  • পার্শ্বের পত্রফলকে মাঝারী সংখ্যক বড় আকারের উপপত্র দেখা যায়।
  • আলু ডিম্বাকৃতি থেকে লম্বা ডিম্বাকৃতির ও মধ্যম থেকে বড় আকারের।
  • আলুর চামড়ার রং হলুদ, চামড়ার মসৃণতা মাঝারী, শাসের রং হালকা হলুদ।
  • অগভীর চোখ বিশিষ্ট এবং চোখ আলুতে সমভাবে বিন্যস্ত থাকে।
  • শুষ্ক পদার্থ ১৭.৩৩-২০.৮০%।
  • অঙ্কুর মাঝারী আকারের ও কনিক্যাল আকৃতির, গোড়ার দিকে খুব বেশি পরিমাণে রেড-ভায়োলেট এন্থোসায়ানিন আছে ও হালকা লোমযুক্ত।
  • অগ্রভাগ মাঝারী, এন্থোসায়ানিন এর বিস্তৃতি বেশি এবং মাঝারী লোমযুক্ত।
  • সাধারণ তাপমাত্রায় ৬ মাসে অঙ্কুর (স্প্রাউট) বের হয়।
  • জীবনকাল ৯০-৯৫ দিন।
  • গড় ফলন হেক্টরপ্রতি ৩৫.৭৮-৫৬.৩২ টন।
  • এ জাতটি খাবার আলু হিসেবে উপযোগী।
  • সাধারণ তাপমাত্রায় জাতটি ৫-৬ মাস সংরক্ষণ যোগ্য এবং সুপ্তাবস্থা বিদ্যমান থাকায় জাতটি রপ্তানিযোগ্য।

(১৭) বারি আলু-৬৩

বারি আলু-৬৩
বারি আলু-৬৩

বাংলাদেশে নিজস্ব সংকরায়ণের মাধ্যমে উদ্ভাবিত জাতটি বাংলাদেশের আবহাওয়ায় চাষাবাদ উপযোগিতা যাচাই বাছাই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে উদ্ভাবিত ‘বারি আলু-৬৩’ জাত হিসেবে ২০১৫ সালে বাংলাদেশে চাষাবাদের জন্য অনুমোদিত হয়।

  • গাছ মধ্যম উচ্চতাসম্পন্ন ইন্টারমিডিয়েট টাইপ এবং গড়ে ৪-৬ টি কান্ড থাকে।
  • গাছ কিছুটা খাড়া প্রকৃতির ও শাখা প্রশাখা কম।
  • কান্ড সবুজ মাঝারী ধরনের মোটা এবং এন্থোসায়ানিন এর বিস্তৃতি মধ্যম।
  • পাতা মাঝারী আকারের ও মধ্যম ঢেউ খেলানো।
  • পাতায় সবুজ রঙের আধিক্য মাঝারী এবং মধ্য শিরায় এন্থোসায়ানিন এর বিস্তৃতি মধ্যম। পত্রফলক মধ্যম আকারের ও মাঝারী ধরনের চওড়া পত্রফলকের উপরের দিকের মসৃণতা মাঝারী।
  • মধ্য শিরায় উপপত্রের সংখ্যা বেশি।
  • শীর্ষের পত্রফলকে উপপত্রের সংখ্যা মাঝারী।
  • পার্শ্বের পত্রফলকে মাঝারী সংখ্যক বড় আকারের উপপত্র দেখা যায়।
  • আলু গোলাকার থেকে খাটো ডিম্বাকৃতি ও বড় আকারের।
  • আলুর চামড়ার রং আপেলের মতো লাল, চামড়া মসৃণ।
  • আলুর শাসের রং হলুদ।
  • চোখ মধ্যম গভীর এবং চোখ আলুতে সমভাবে বিন্যস্ত নয়।
  • শুষ্ক পদার্থ ১৯.২২ (১৭.৯২-২১.৮২%)।
  • অঙ্কুর মাঝারী আকারের ও ওভোয়েড আকৃতির, গোড়ার দিকে খুব বেশি পরিমাণে রেড-ভায়োলেট এন্থোসায়ানিন আছে ও হালকা লোমযুক্ত।
  • অগ্রভাগ মাঝারী, এন্থোসায়ানিন এর বিস্তৃতি খুব বেশি এবং হালকা লোমযুক্ত।
  • সাধারণ তাপমাত্রায় ৭০-৭৫ দিনে অঙ্কুর (স্প্রাউট) বের হয়।
  • জীবনকাল ৯০-৯৫ দিন।
  • গড় ফলন হেক্টরপ্রতি ৩২.৩০-৫১.৬৭ টন।
  • জাতটি প্রক্রিয়াজাতকরণ ও খাবার আলু হিসেবে উপযোগী।

(১৮) বারি আলু-৬৬ (পামেলা)

ফ্রান্স থেকে সংগৃহীত পামেলা জাতটি সংগ্রহ করে বাংলাদেশের আবহাওয়ায় চাষাবাদ উপযোগিতা যাচাই বাছাই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে উদ্ভাবিত ‘বারি আলু-৬৬ (পামেলা)’ জাত হিসেবে ২০১৫ সালে বাংলাদেশে চাষাবাদের জন্য অনুমোদিত হয়।

বারি আলু-৬৬ (পামেলা)
বারি আলু-৬৬ (পামেলা)
  • গাছ মধ্যম উচ্চতাসম্পন্ন ইন্টারমিডিয়েট টাইপ এবং গড়ে ৪-৮টি কান্ড থাকে।
  • গাছ কিছুটা খাড়া প্রকৃতির ও শাখা প্রশাখা কম।
  • কান্ড সবুজ মাঝারী ধরনের মোটা এবং এন্থোসায়ানিন এর বিস্তৃতি খুব বেশি।
  • পাতা মাঝারী আকারের ও খুব কম ঢেউ খেলানো।
  • পাতায় সবুজ রঙের আধিক্য মাঝারী এবং মধ্য শিরায় এন্থোসায়ানিন এর বিস্তৃতি বেশি।
  • পত্রফলক মধ্যম আকারের ও মাঝারী ধরনের চওড়া এবং পত্রফলকের উপরের দিকের মসৃণতা মাঝারী।
  • মধ্য শিরায় উপপত্রের সংখ্যা মাঝারী।
  • শীর্ষের পত্রফলকে উপপত্রের সংখ্যা খুবই কম। পত্রফলকে খুবই কম সংখ্যক মাঝারী আকারের উপপত্র দেখা যায়।
  • আলু ডিম্বাকৃতি থেকে লম্বা ডিম্বাকৃতির ও মধ্যম আকারের।
  • আলুর চামড়া মসৃণ ও রং লাল, শাঁসের রং হালকা হলুদ।
  • অগভীর চোখ বিশিষ্ট এবং চোখ আলুতে সমভাবে বিন্যস্ত।
  • শুষ্ক পদার্থ ১৯.৪৭% (১৭.৩০-২১.৫৫%)।
  • অঙ্কুর মাঝারী আকারের ও ব্রড-সিলিন্ড্রিক্যাল আকৃতির, গোড়ার দিকে খুব বেশি পরিমাণে রেড-ভায়োলেট এন্থোসায়ানিন আছে ও বেশ লোম দেখা যায়।
  • অগ্রভাগ মাঝারী, এন্থোসায়ানিন এর বিস্তৃতি বেশি এবং মাঝারী লোমযুক্ত।
  • সাধারণ তাপমাত্রায় ৯০-৯৫ দিনে অঙ্কুর (স্প্রাউট) বের হয়।
  • জীবনকাল ৯০-৯৫ দিনে আলু পরিপক্কতা লাভ করে।
  • গড় ফলন হেক্টরপ্রতি ২৫.৫২-৪৬.০৬ টন।
  • জাতটি খাবার উপযোগী।

(১৯) বারি আলু-৬৮ (আটলানটিক)

ইউ.এস.এ থেকে সংগৃহীত আটলানটিক জাতটি সংগ্রহ করে বাংলাদেশের আবহাওয়ায় চাষাবাদ উপযোগিতা যাচাই বাছাই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে উদ্ভাবিত ‘বারি আলু-৬৮ (আটলানটিক)’ জাত হিসেবে ২০১৫ সালে বাংলাদেশে চাষাবাদের জন্য অনুমোদিত হয়।

বারি আলু-৬৮ (আটলানটিক)
বারি আলু-৬৮ (আটলানটিক)
  • গাছ মধ্যম উচ্চতাসম্পন্ন ইন্টারমিডিয়েট টাইপ এবং গড়ে ৪-৬টি কান্ড থাকে।
  • গাছ কিছুটা খাড়া প্রকৃতির ও শাখা প্রশাখা মধ্যম।
  • কান্ড সবুজ মাঝারী ধরনের মোটা এবং এন্থোসায়ানিন এর বিস্তৃতি কম।
  • পাতা মাঝারী আকারের ও খুবই কম ঢেউ খেলানো।
  • পাতায় সবুজ রঙের আধিক্য মাঝারী এবং মধ্য শিরায় এন্থোসায়ানিন এর বিস্তৃতি খুবই কম।
  • পত্রফলক মধ্যম আকারের ও মাঝারী ধরনের চওড়া এবং পত্রফলকের উপরের দিকের মসৃণতা মাঝারী।
  • মধ্য শিরায় উপপত্রের সংখ্যা মাঝারী। শীর্ষের পত্রফলকে উপপত্রের সংখ্যা মাঝারী। পার্শ্বের পত্রফলকে খুবই কম সংখ্যক মাঝারী আকারের উপপত্র দেখা যায়।
  • আলু গোলাকার (চাপা) ও মধ্যম আকারের।
  • আলুর চামড়ার মসৃণতা মাঝারী রং হলুদ, শাঁসের রং সাদা এবং চোখের গভীরতা মধ্যম।
  • চোখ আলুতে সমভাবে বিন্যস্ত নয়।
  • শুষ্ক পদার্থ ১৮.২৭-২২.৫৭%।
  • অঙ্কুর মাঝারী আকারের ও ওভোয়েড আকৃতির, গোড়ার দিকে বেশি পরিমাণে রেড-ভায়োলেট এন্থোসায়ানিন আছে ও মাঝারী লোমযুক্ত।
  • অগ্রভাগ বড়, এন্থোসায়ানিন এর বিস্তৃতি কম এবং মাঝারী লোমযুক্ত।
  • সাধারণ তাপমাত্রায় ৭০-৭৫ দিনে অঙ্কুর (স্প্রাউট) বের হয়।
  • জীবনকাল ৮৫-৯০দিনে আলু পরিপক্কতা লাভ করে।
  • গড় ফলন হেক্টরপ্রতি ১৯.১৫-৪৫.৫১ টন।
  • জাতটি প্রক্রিয়াজাতকরণ উপযোগী।

(২০) বারি আলু-৭০ (ডেসটিনি)

নেদারল্যান্ড থেকে সংগৃহীত ডেসটিনি জাতটি সংগ্রহ করে বাংলাদেশের আবহাওয়ায় চাষাবাদ উপযোগিতা যাচাই বাছাই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে উদ্ভাবিত ‘বারি আলু-৭০ (ডেসটিনি)’ জাত হিসেবে ২০১৬ সালে বাংলাদেশে চাষাবাদের জন্য অনুমোদিত হয়।

বারি আলু-৭০ (ডেসটিনি)
বারি আলু-৭০ (ডেসটিনি)
  • গাছ মধ্যম উচ্চতাসম্পন্ন ইন্টারমিডিয়েট টাইপ এবং গড়ে ৪-৭টি কান্ড থাকে।
  • গাছ কিছুটা খাড়া প্রকৃতির ও শাখা প্রশাখা কম।
  • কান্ড সবুজ মাঝারী ধরনের মোটা এবং এন্থোসায়ানিন এর বিস্তৃতি মাঝারী।
  • পাতা বড় আকারের ও খুব কম ঢেউ খেলানো।
  • পাতা গাঢ় সবুজ এবং মধ্য শিরায় এন্থোসায়ানিন এর বিস্তৃতি কম।
  • পত্রফলক মধ্যম আকারের ও মাঝারী ধরনের চওড়া এবং পত্রফলকের উপরের দিকের মসৃণতা মাঝারী।
  • মধ্য শিরায় উপপত্রের সংখ্যা বেশি।
  • শীর্ষের পত্রফলকে উপপত্রের সংখ্যা মাঝারী। পার্শ্বের পত্রফলকে কম সংখ্যক বড় আকারের উপপত্র দেখা যায়।
  • আলু খাটো ডিম্বাকৃতির থেকে গোলাকার ও মধ্যম আকারের।
  • আলুর চামড়ার মসৃণতা মাঝারী ও রং হলুদ, শাঁসের রং হলুদ।
  • চোখের গোড়ার দিকের রং লাল ও গভীরতা মধ্যম।
  • চোখ আলুতে সমভাবে বিন্যস্ত নয়।
  • শুষ্ক পদার্থ ২০.৫৯% (২০.০৫-২১.৯৩%)।
  • অঙ্কুর মাঝারী আকারের ও ওভোয়েড আকৃতির, গোড়ার দিকে খুব বেশি পরিমাণে রেড-ভায়োলেট এন্থোসায়ানিন আছে ও মাঝারী লোমযুক্ত।
  • অগ্রভাগ মাঝারী, এন্থোসায়ানিন এর বিস্তৃতি কম এবং কম লোমযুক্ত।
  • সাধারণ তাপমাত্রায় ৭০-৭৫ দিনে অঙ্কুর (স্প্রাউট) বের হয়।
  • জীবনকাল ৮৫-৯০ দিনে আলু পরিপক্কতা লাভ করে।
  • গড় ফলন হেক্টরপ্রতি ৩২.১৬ (২৮.৬৬-৩৮.২৯) টন।
  • এ জাতটি প্রক্রিয়াজাতকরণ উপযোগী।

(২১) বারি আলু-৭২

আন্তর্জাতিক আলু কেন্দ্র, লিমা, পেরু থেকে সংগৃহীত জার্মপ্লাজম সংগ্রহ করে বাংলাদেশের আবহাওয়ায় চাষাবাদ উপযোগিতা যাচাই বাছাই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে উদ্ভাবিত ‘বারি আলু-৭২’ জাত হিসেবে ২০১৬ সালে বাংলাদেশে চাষাবাদের জন্য অনুমোদিত হয়।

বারি আলু-৭২
বারি আলু-৭২
  • গাছ মধ্যম উচ্চতাসম্পন্ন ও ইন্টারমিডিয়েট টাইপ।
  • কান্ড সবুজ-বেগুনী এবং এন্থোসায়ানিন এর বিস্তৃতি খুব বেশি। মধ্য শিরায় এন্থোসায়ানিন এর বিস্তৃতি কম।
  • পাতা গাঢ় সবুজ এবং মাঝারী আকারের।
  • মধ্য শিরায় ও কচি পত্রফলকের কিনারায় এন্থোসায়ানিন এর বিস্তৃতি নেই।
  • আলু খাটো ডিম্বাকৃতি এবং মাঝারী থেকে বড় আকারের।
  • আলুর রং লাল, চামড়া মসৃণ।
  • আলুর শাসের রং হলুদ।
  • চোখ অগভীর।
  • শুষ্ক পদার্থ ১৮.৭৫ ± ০.১১%।
  • অঙ্কুর মাঝারী ব্রড-সিলিন্ড্রিক্যাল, গোড়ার দিকে বেশি পরিমাণে রেড-ভায়োলেট এন্থোসায়ানিন আছে, গোড়ার দিকে দুর্বল লোমযুক্ত, অগ্রভাগ মাঝারী ও লোমমুুক্ত।
  • সাধারণ তাপমাত্রায় ৭০-৭৫ দিনে অঙ্কুর (স্প্রাউট) বের হয়।
  • জীবনকাল ৮৫-৯০ দিনে আলু পরিপক্কতা লাভ করে।
  • গড় ফলন হেক্টরপ্রতি ২১.৮৫ (১১.৩২-৩৭.৫৩) টন।
  • এ জাতটি তাপ ও লবণাক্ততা সহনশীল এবং খাবার উপযোগী।
See also  আলুর পোকা দমন

(২২) বারি আলু-৭৩

আন্তর্জাতিক আলু কেন্দ্র, লিমা, পেরু থেকে সংগৃহীত জামপ্লাজম সংগ্রহ করে বাংলাদেশের আবহাওয়ায় চাষাবাদ উপযোগিতা যাচাই বাছাই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে উদ্ভাবিত ‘বারি আলু-৭৩’ জাত হিসেবে ২০১৬ সালে বাংলাদেশে চাষাবাদের জন্য অনুমোদিত হয়।

বারি আলু-৭৩
বারি আলু-৭৩
  • গাছ মধ্যম উচ্চতাসম্পন্ন ইন্টারমিডিয়েট টাইপ এবং গড়ে ৪/৬টি কান্ড থাকে।
  • কান্ড সবুজ এবং এতে সামান্য এন্থোসায়ানিন এর বিস্তৃতি আছে।
  • পাতা গাঢ় সবুজ ও মাঝারী আকারের এবং কম ঢেউ খেলানো।
  • মধ্য শিরায় ও শীর্ষ মুকুলের কচি পত্রফলকের কিনারায় এন্থোসায়ানিন এর বিস্তৃতি নেই, তবে বোঁটায় উপরিভাগে সামান্য এন্থোসায়ানিন এর বিস্তৃতি আছে।
  • আলু ডিম্বাকৃতি থেকে লম্বাটে ধরনের ও মধ্যম আকারের।
  • আলুর রং সাদা (ক্রীম), চামড়া মসৃণ।
  • আলুর শাসের রং ক্রীম।
  • চোখ হালকা গভীর।
  • শুষ্ক পদার্থ ১৮.৮৫ ± ০.৪১%।
  • অঙ্কুর মাঝারী ব্রড-সিলিন্ড্রিক্যাল, গোড়ার দিকে মাঝারী পরিমাণে রেড-ভায়োলেট এন্থোসায়ানিন আছে, গোড়ার দিকে মাঝারী লোমযুক্ত, অগ্রভাগ মাঝারী ও দুর্বল এন্থোসায়ানিন আছে এবং খুব দুর্বল লোমযুুক্ত।
  • সাধারণ তাপমাত্রায় ৭০-৭৫ দিনে অঙ্কুর (স্প্রাউট) বের হয়।
  • জীবনকাল ৮৫-৯০ দিনে আলু পরিপক্কতা লাভ করে।
  • গড় ফলন হেক্টরপ্রতি ২১.৮৫ (১১.৩২-৩৭.৫৩) টন।
  • এ জাতটি তাপ সহনশীল এবং খাবার উপযোগী।

(২৩) বারি আলু-৭৪ (বারসেলোনা)

নেদারল্যান্ড থেকে সংগৃহীত বারসেলোনা জাতটি সংগ্রহ করে বাংলাদেশের আবহাওয়ায় চাষাবাদ উপযোগিতা যাচাই বাছাই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে উদ্ভাবিত ‘বারি আলু-৭৪ (বারসেলোনা)’ জাত হিসেবে ২০১৭ সালে বাংলাদেশে চাষাবাদের জন্য অনুমোদিত হয়।

বারি আলু-৭৪ (বারসেলোনা)
বারি আলু-৭৪ (বারসেলোনা)
  • গাছ মধ্যম উচ্চতাসম্পন্ন ইন্টারমিডিয়েট টাইপ এবং গড়ে ৪-৫টি কান্ড থাকে।
  • গাছ কিছুটা খাড়া প্রকৃতির ও শাখা প্রশাখা খুবই কম।
  • কান্ড সবুজ মাঝারী ধরনের মোটা এবং এন্থোসায়ানিন এর বিস্তৃতি মাঝারী।
  • পাতা মাঝারী আকারের ও কম ঢেউ খেলানো।
  • পাতা মাঝারী সবুজ এবং মধ্য শিরায় এন্থোসায়ানিন এর বিস্তৃতি খুবই কম।
  • পত্রফলক বড় আকারের ও চওড়া এবং পত্রফলকের উপরের দিকের মসৃণতা মাঝারী। মধ্য শিরায় উপপত্রের সংখ্যা মাঝারী। শীর্ষের পত্রফলকে উপপত্রের সংখ্যা মাঝারী। পার্শ্বের পত্রফলকে মাঝারী আকারের কম সংখ্যক উপপত্র দেখা যায়।
  • আলু ডিম্বাকৃতি থেকে লম্বা ডিম্বাকৃতি ও বড় আকারের।
  • আলুর চামড়ার মসৃণতা মাঝারী ও রং হলুদ, শাঁসের রং ক্রীম।
  • চোখ অগভীর ও চোখ আলুতে সমভাবে বিন্যস্ত।
  • শুষ্ক পদার্থ ১৭.৬৫ (১৬.৩৬-১৯.২৬)%।
  • অঙ্কুর মাঝারী আকারের ও কনিক্যাল আকৃতির, গোড়ার দিকে বেশি পরিমাণে রেড-ভায়োলেট এন্থোসায়ানিন আছে ও বেশি লোমযুক্ত। অগ্রভাগ ছোট, এন্থোসায়ানিন এর বিস্তৃতি কম এবং কম লোমযুক্ত।
  • সাধারণ তাপমাত্রায় ৭০-৭৫ দিনে অঙ্কুর (স্প্রাউট) বের হয়।
  • জীবনকাল ৯০-৯৫ দিনে আলু পরিপক্কতা লাভ করে।
  • গড় ফলন হেক্টরপ্রতি ৪৬.৬১ (৩৭.৩৮-৬৭.৫১) টন। অন্য জাতের তুলনায় ৬৫ দিনে ফলন {২৭.১৩ (২২.৪০-৪০.৬৩) টন/হেক্টর}।
  • আগাম জাত হিসেবে জাতটি খুবই ভাল।

(২৪) বারি আলু-৭৫ (মন্টেকার্লো)

নেদারল্যান্ড থেকে সংগৃহীত মন্টেকার্লো জাতটি সংগ্রহ করে বাংলাদেশের আবহাওয়ায় চাষাবাদ উপযোগিতা যাচাই বাছাই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে উদ্ভাবিত ‘বারি আলু-৭৫ (মণ্টেকার্লো)’ জাত হিসেবে ২০১৭ সালে বাংলাদেশে চাষাবাদের জন্য অনুমোদিত হয়।

বারি আলু-৭৫ (মন্টেকার্লো)
বারি আলু-৭৫ (মন্টেকার্লো)
  • গাছ মধ্যম উচ্চতাসম্পন্ন ইন্টারমিডিয়েট টাইপ এবং গড়ে ৪-৭টি কান্ড থাকে।
  • গাছ কিছুটা খাড়া প্রকৃতির ও শাখা প্রশাখা খুবই কম।
  • কান্ড সবুজ মাঝারী ধরনের মোটা এবং এন্থোসায়ানিন এর বিস্তৃতি বেশি।
  • পাতা মাঝারী আকারের ও কম ঢেউ খেলানো।
  • পাতা মাঝারী সবুজ এবং মধ্য শিরায় এন্থোসায়ানিন এর বিস্তৃতি খুবই কম।
  • পত্রফলক মাঝারী ধরনের ও মাঝারী চওড়া এবং পত্রফলকের উপরের দিকের মসৃণতা মাঝারী। মধ্য শিরায় উপপত্রের সংখ্যা মাঝারী। শীর্ষের পত্রফলকে উপপত্রের সংখ্যা কম। পার্শ্বের পত্রফলকে মাঝারী আকারের কম সংখ্যক উপপত্র দেখা যায়।
  • আলু খাটো ডিম্বাকৃতি ও মাঝারী আকারের।
  • আলুর চামড়ার মসৃণতা মাঝারী ও রং লাল, শাঁসের রং সাদা।
  • চোখ অগভীর ও চোখ আলুতে সমভাবে বিন্যস্ত।
  • শুষ্ক পদার্থ ১৭.৮১(১৬.৩৭-১৯.০৭)%।
  • অঙ্কুর মাঝারী আকারের ও ব্রড-সিলিন্ড্রিক্যাল আকৃতির, গোড়ার দিকে বেশি পরিমাণে রেড-ভায়োলেট এন্থোসায়ানিন আছে ও খুব বেশি লোমযুক্ত।
  • অগ্রভাগ বড়, এন্থোসায়ানিন এর বিস্তৃতি মাঝারী এবং খুব বেশি লোমযুক্ত।
  • সাধারণ তাপমাত্রায় ৭০-৭৫ দিনে অঙ্কুর (স্প্রাউট) বের হয়।
  • জীবনকাল ৭০-৭৫দিনে আলু পরিপক্কতা লাভ করে।
  • গড় ফলন হেক্টরপ্রতি ৩৭.২৫ (২৩.৬২-৫৩.২৩) টন।
  • জাতটি সবচেয়ে কম সময়ে পরিপক্ক হয় এবং খাবার আলু হিসাবে ভাল।

(২৫) বারি আলু-৭৬ (কারুসো)

নেদারল্যান্ড থেকে সংগৃহীত কারুসো জাতটি সংগ্রহ করে বাংলাদেশের আবহাওয়ায় চাষাবাদ উপযোগিতা যাচাই বাছাই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে উদ্ভাবিত ‘বারি আলু-৭৬ (কারুসো)’ জাত হিসেবে ২০১৭ সালে বাংলাদেশে চাষাবাদের জন্য অনুমোদিত হয়।

বারি আলু-৭৬ (কারুসো)
বারি আলু-৭৬ (কারুসো)
  • গাছ মধ্যম উচ্চতাসম্পন্ন ইন্টারমিডিয়েট টাইপএবং গড়ে ৪-৭টি কান্ড থাকে।
  • গাছ কিছুটা খাড়া প্রকৃতির ও শাখা-প্রশাখা মাঝারী।
  • কান্ড সবুজ মাঝারী ধরনের মোটা এবং এন্থোসায়ানিন এর বিস্তৃতি খুবই কম।
  • পাতা মাঝারী আকারের ও কম ঢেউ খেলানো।
  • পাতা মাঝারী সবুজ এবং মধ্য শিরায় এন্থোসায়ানিন এর বিস্তৃতি খুবই কম।
  • পত্রফলক মাঝারী আকারের ও চওড়া মাঝারী এবং পত্রফলকের উপরের দিকের মসৃণতা মাঝারী। মধ্য শিরায় উপপত্রের সংখ্যা মাঝারী। শীর্ষের পত্রফলকে উপপত্রের সংখ্যা খুবই কম। পার্শ্বের পত্রফলকে মাঝারী আকারের খুবই কম সংখ্যক উপপত্র দেখা যায়।
  • আলু খাটো ডিম্বাকৃতি, গোলাকার ও মাঝারী আকারের।
  • আলুর চামড়ার মসৃণতা মাঝারী ও রং হলুদ, শাঁসের রং হালকা হলুদ।
  • চোখ গভীরতা মাঝারী ও চোখ আলুতে সমভাবে বিন্যস্ত নয়।
  • শুষ্ক পদার্থ ২০.৫৪ (১৮.৩৬-২২.৪০)%।
  • অঙ্কুর মাঝারী আকারের ও ব্রড-সিলিন্ড্রিক্যাল আকৃতির, গোড়ার দিকে কম পরিমাণে রেড-ভায়োলেট এন্থোসায়ানিন আছে ও কম লোমযুক্ত।
  • অগ্রভাগ মাঝারী, এন্থোসায়ানিন এর বিস্তৃতি কম এবং কম লোমযুক্ত।
  • সাধারণ তাপমাত্রায় ৭০-৭৫ দিনে অঙ্কুর (স্প্রাউট) বের হয়।
  • জীবনকাল ৯০-৯৫দিনে আলু পরিপক্কতা লাভ করে।
  • গড় ফলন হেক্টরপ্রতি ৩৫.৯৯ (২৭.৭৪-৪৪.৪০) টন।
  • জাতটি প্রক্রিয়াজাতকরণের উপযোগী।

(২৬) বারি আলু-৭৭ (সার্পো মিরা)

ডেনমার্ক থেকে সংগৃহীত সার্পো মিরা জাতটি সংগ্রহ করে বাংলাদেশের আবহাওয়ায় চাষাবাদ উপযোগিতা যাচাই বাছাই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে উদ্ভাবিত ‘বারি আলু-৭৭ (সার্পো মিরা)’ জাত হিসেবে ২০১৭ সালে বাংলাদেশে চাষাবাদের জন্য অনুমোদিত হয়।

বারি আলু-৭৭ (সার্পো মিরা)
বারি আলু-৭৭ (সার্পো মিরা)
  • গাছ মধ্যম উচ্চতাসম্পন্ন লিফি টাইপ এবং গড়ে ৪-৬টি কান্ড থাকে।
  • গাছ কিছুটা খাড়া প্রকৃতির ও শাখা প্রশাখা খুবই কম।
  • কান্ড সবুজ মাঝারী ধরনের মোটা এবং এন্থোসায়ানিন এর বিস্তৃতি বেশি।
  • পাতা মাঝারী আকারের ও কম ঢেউ খেলানো।
  • পাতা মাঝারী সবুজ এবং মধ্য শিরায় এন্থোসায়ানিন এর বিস্তৃতি মাঝারী।
  • পত্রফলক বড় আকারের ও চওড়া এবং পত্রফলকের উপরের দিকের মসৃণতা মাঝারী। মধ্য শিরায় উপপত্রের সংখ্যা মাঝারী। শীর্ষের পত্রফলকে উপপত্রের সংখ্যা খুবই কম। পার্শ্বের পত্রফলকে মাঝারী আকারের খুবই কম সংখ্যক উপপত্র দেখা যায়।
  • আলু লম্বা ডিম্বাকৃতি ও বড় আকারের।
  • আলুর চামড়া মসৃণ ও রং লাল, শাঁসের রং হালকা হলুদ।
  • চোখ অগভীর ও চোখ আলুতে সমভাবে বিন্যস্ত।
  • শুষ্ক পদার্থ ১৯.৭২ (১৭.৬৮-২০.৭৬)%।
  • অঙ্কুর মাঝারী আকারের ও ব্রড-সিলিন্ড্রিক্যাল আকৃতির, গোড়ার দিকে খুব বেশি পরিমাণে রেড-ভায়োলেট এন্থোসায়ানিন আছে ও কম লোমযুক্ত।
  • অগ্রভাগ মাঝারী, এন্থোসায়ানিন এর বিস্তৃতি বেশি এবং কম লোমযুক্ত।
  • সাধারণ তাপমাত্রায় ৭০-৭৫ দিনে অঙ্কুর (স্প্রাউট) বের হয়। জীবনকাল ৯০-৯৫ দিনে আলু পরিপক্কতা লাভ করে।
  • গড় ফলন হেক্টরপ্রতি ৩৩.৪০ (২৭.৯৫-৪২.৪৭) টন।
  • এ জাতটি নাবিধ্বসা রোগ প্রতিরোধী এবং খাবার আলু হিসাবে ভাল।

(২৭) বারি আলু-৭৮

আন্তর্জাতিক আলু কেন্দ্র, লিমা, পেরু থেকে জাতটি দেশে যাচাই বাছাই করে এর পরে ২০১৭ সলে অনুমোদিত হয়।

বারি আলু-৭৮
বারি আলু-৭৮
  • গাছ মধ্যম উচ্চতা সম্পন্ন ইন্টারমিডিয়েট টাইপ এবং গড়ে ৪/৬টি কান্ড থাকে।
  • কান্ড গাঢ় সবুজ এবং এন্থোসায়ানিন এর বিস্তৃতি নেই।
  • পাতা গাঢ় সবুজ এবং মাঝারি আকারের।
  • পাতা কম ঢেউ খেলানো এবং মধ্য শিরায় এন্থোসায়ানিন এর বিস্তৃতি হালকা/নেই।
  • আলু গোলাকার এবং মাঝারি আকারের।
  • আলুর রং লাল, চামড়া মসৃণ।
  • আলুর শাসের রং হলুদ।
  • চোখ হালকা গভীর। .
  • শুষ্ক পর্দাথ : ১৮.৭৫%।
  • অঙ্কুর মাঝারি ওভোয়েড, গোড়ার দিকে বেশি পরিমাণে রেড-ভায়োলেট এন্থোসায়ানিন আছে, গোড়ার দিক মাঝারি লোমযুক্ত, অগ্রভাগ মাঝারি।
  • সাধারণ তাপমাত্রায় ১০০-১০৫ দিনে অঙ্কুর (স্প্রাউট) বের হয়।
  • জীবন কাল ৮৫-৯০ দিন।
  • গড় ফলন হেক্টর প্রতি ৪৬.৩৮ (৩৩.৯৮-৬১.৩৫) টন।
  • জাতটি খাবার উপযোগী।

(২৮) বারি আলু-৭৯

আন্তর্জাতিক আলু কেন্দ্র, লিমা, পেরু থেকে সংগৃহীত জাতটি যাচাই বছাই করে ২০১৭ অনুমোদিত হয়।

বারি আলু-৭৯
বারি আলু-৭৯
  • গাছ মধ্যম উচ্চতাসম্পন্ন এবং গড়ে ৪/৬টি কান্ড থাকে।
  • কান্ড সবুজ, সবল এবং অধিক এন্থোসায়ানিন এর বিস্তৃতি আছে।
  • পাতা কম ঢেউ খেলানো এবং মধ্য শিরায় এন্থোসায়ানিন এর মধ্যম বিস্তৃতি আছে।
  • আলু লম্বাটে মধ্যম-বড় আকারের।
  • আলুর রং লাল, চামড়া হালকা অমসৃণ।
  • আলুর শাসের রং ক্রীম। চোখ অগভীর।
  • শুষ্ক পর্দাথ ১৮.৮৫%।
  • অঙ্কুর মাঝারি কনিক্যাল, গোড়ার দিক অধিক পরিমাণে রেড-ভায়োলেট এন্থোসায়ানিন আছে, গোড়ার দিক অধিক লোমযুক্ত, অগ্রভাগ মাঝারি।
  • অঙ্কুরোদগম সাধারণ তাপমাত্রায় ১০০- ১০৫ দিনে অঙ্কুর (স্প্রাউট) বের হয়।
  • জীবন কাল ৮৫-৯০ দিন।
  • গড় ফলন হেক্টর প্রতি ৪২.৯২ (৩৫.২৩-৫৪.৪৯) টন।
  • এ জাতটি খাবার উপযোগী।

(২৯) বারি আলু-৮০

বারি আলু-৮০
বারি আলু-৮০
  • গাছ মধ্যম উচ্চতাসম্পন্ন ইন্টারমিডিয়েট টাইপ এবং গড়ে ৪-৫ টি কান্ড থাকে।
  • গাছ কিছুটা খাড়া প্রকৃতির ও শাখা প্রশাখা কম।
  • কান্ড সবুজ মাঝারি ধরনের মোটা এবং এন্থোসায়ানিন এর বিস্তৃতি মাঝারি।
  • পাতা মাঝারি আকারের ও কম ঢেউ খেলানো।
  • পাতা মাঝারি সবুজ এবং মধ্য শিরায় এন্থোসায়ানিন এর বিস্তৃতি মাঝারি।
  • পত্রফলক মাঝারি আকারের চওড়া ও মাঝারি এবং পত্রফলকের উপরের দিকের মসৃণতা মাঝারি। মধ্য শিরায় উপপত্রের সংখ্যা মাঝারি। শীর্ষের পত্রফলকে উপপত্রের সংখ্যা কম। পার্শ্বের পত্রফলকে মাঝারি আকারের কম সংখ্যক উপপত্র দেখা যায়।
  • ৯০-৯৫ দিনে আলু পরিপক্কতা লাভ করে। আলু খাট ডিম্বাকৃতি, গোলাকার ও মাঝারি আকারের। আলুর চামড়ার মসৃণতা মাঝারি ও রং হলুদ, শাঁসের রং ক্রীম। চোখ অগভীর ও চোখ আলুতে সমভাবে বিন্যস্ত নয়। অঙ্কুর মাঝারি আকারের ও কনিক্যাল আকৃতির, গোড়ার দিকে বেশি পরিমাণে রেড-ভায়োলেট এন্থোসায়ানিন আছে ও বেশি লোমযুক্ত। অগ্রভাগ মাঝারি, এন্থোসায়ানিন এর বিস্তৃতি মাঝারি এবং কম লোমযুক্ত।
  • আলু খাট ডিম্বাকৃতি (গোলাকার) ও মাঝারি আকারের। আলুর চামড়ার মসৃণতা মাঝারি ও রং হলুদ, শাঁসের রং ক্রীম। চোখ অগভীর ও চোখ আলুতে সমভাবে বিন্যস্ত নয়। গড় ফলন হেক্টর প্রতি ৩৩.৯৫ (২১.৬২-৪৪.৯৮) টন। শুষ্ক পর্দাথ ১৮.০৬ ± ১%। এ জাতটি খাবার আলু হিসাবে উপযোগী।

(৩০) বারি আলু-৮১

বারি আলু-৮১
বারি আলু-৮১
  • গাছ মধ্যম উচ্চতাসম্পন্ন এবং গড়ে ৪/৬টি কান্ড থাকে।
  • কান্ড সবুজ এবং এন্থোসায়ানিন এর বিস্তৃতি নেই।
  • পাতা কম ঢেউ খেলানো এবং মধ্য শিরায় এন্থোসায়ানিন এর বিস্তৃতি খুবই কম। ৯০-৯৫ দিনে আলু পরিপক্কতা লাভ করে।
  • আলু খাট ডিম্বাকৃতি, গোলাকার মধ্যম আকারের।
  • আলুর রং হলুদ, চামড়া মসৃন।
  • আলুর শাসের রং হালকা হলুদ।
  • চোখ মধ্যম গভীর।
  • অঙ্কুর মাঝারি আকারের ও ওভোয়েড আকৃতির, গোড়ার দিকে খুব বেশি পরিমাণে রেড-ভায়োলেট এন্থোসায়ানিন আছে ও খুব বেশি লোমযুক্ত অগ্রভাগ মাঝারি ধরনের।
  • আলু খাট ডিম্বাকৃতি, গোলাকার মধ্যম আকারের।
  • আলুর রং হলুদ, চামড়া মসৃন।
  • আলুর শাঁসের রং হালকা হলুদ। চোখ মধ্যম গভীর।
  • গড় ফলন হেক্টর প্রতি ৪২.০৭ (৩৩.৩৮-৫৩.১৬) টন।
  • শুষ্ক পর্দাথ ২০.০৩ ± ১%।
  • এ জাতটি উচ্চ ফলনশীল, দ্রুত বর্ধনশীল, ভাইরাস রোগ সহনশীল এবং খাবার আলু হিসাবে উপযোগী।
See also  কন্দাল ফসল কী, কাকে বলে?

(৩১) বারি আলু-৮২

বারি আলু-৮২
বারি আলু-৮২
  • গাছ মধ্যম উচ্চতা সম্পন্ন ইন্টারমিডিয়েট টাইপ।
  • গাছ কিছুটা খাড়া প্রকৃতির ও শাখা প্রশাখা কম।
  • কান্ড সবুজ মাঝারি ধরনের মোটা এবং এন্থোসায়ানিন এর বিস্তৃতি খুবই বেশি।
  • পাতা মাঝারি আকারের ও কম ঢেউ খেলানো।
  • পাতা গাঢ় সবুজ এবংমধ্য শিরায় এন্থোসায়ানিন এর বিস্তৃতি খুবই বেশি।
  • পত্রফলক মাঝারি আকারের চওড়া ও মাঝারি ধরনের এবং পত্রফলকের উপরের দিক মসৃণ। মধ্য শিরায় উপপত্রের সংখ্যা মাঝারি। শীর্ষের পত্রফলকে উপপত্রের সংখ্যা কম। পার্শ্বের পত্রফলকে বড় আকারের মাঝারি সংখ্যক উপপত্র দেখা যায়।
  • ৮৫-৯০ দিনে আলু পরিপক্কতা লাভ করে।
  • আলু ডিম্বাকৃতি থেকে লাল ডিম্বাকৃতি ও মাঝারি আকারের।
  • আলুর চামড়া মসৃণ ও রং বেগুনী শাঁসের রং হলুদ।
  • চোখ অগভীর ও চোখ আলুতে সমভাবে বিন্যস্ত।
  • উচ্চ ফলনশীল {৪২.৪৯ (২৫.৭১-৫১.৬০) টন/হে:}, এবং শুষ্ক পদার্থ সমৃদ্ধ ২০.০৭ (১৭.৫৫-২৪.৮৫%)।
  • আলু ডিম্বাকৃতি থেকে লম্বা ডিম্বাকৃতি ও চামড়ার রং বেগুনী।
  • এ জাতটি খাবার আলু হিসাবে উপযোগী।

(৩২) বারি আলু-৮৩ (সিমেগা)

বারি আলু-৮৩ (সিমেগা)
বারি আলু-৮৩ (সিমেগা)
  • গাছ মধ্যম উচ্চতা সম্পন্ন ইন্টারমিডিয়েট টাইপ।
  • গাছ কিছুটা খাড়া প্রকৃতির ও শাখা প্রশাখা কম।
  • কান্ড সবুজ মাঝারি ধরনের মোটা এবং এন্থোসায়ানিন এর বিস্তৃতি কম।
  • পাতা মাঝারি আকারের ও কম ঢেউ খেলানো।
  • পাতা সবুজ এবং মধ্য শিরায় এন্থোসায়ানিন এর বিস্তৃতি নেই।
  • পত্রফলক মাঝারি আকারের চওড়া ও মাঝারি ধরনের এবং পত্রফলকের উপরের দিকের মসৃণতা মাঝারি ধরনের। মধ্য শিরায় উপপত্রের সংখ্যা বেশি। শীর্ষের পত্রফলকে উপপত্রের সংখ্যা মাঝারি। পার্শ্বের পত্রফলকে বড় আকারের মাঝারি সংখ্যক উপপত্র দেখা যায়।
  • ৯০-৯৫ দিনে আলু পরিপক্কতা লাভ করে।
  • আলু ডিম্বাকৃতি ও মাঝারি আকারের।
  • আলুর চামড়ার মসৃণতা মাঝারি ও রং হলুদ শাঁসের রং হালকা হলুদ।
  • চোখ অগভীর ও চোখ আলুতে সমভাবে বিন্যস্ত।
  • আগাম জাত (৬৫ দিনে গড় ফলন ৩০.৭৮ টন/হে:), উচ্চ ফলনশীল {৪৪.৬৩ (৩৮.১৮-৫০.৫২) টন/হে:}।
  • খেতে সুস্বাদু, আলু হলুদ চামড়ার ডিম্বাকৃতি, বড় আকারের আলুর পরিমাণ (৭০.০৫% >৪০মি.মি. এর বেশি) এবং সুপ্তিকাল বেশি (৭০-৭৫ দিন)।
  • জাতটি সাধারণ তাপমাত্রায় ২ মাস এর বেশি সময় সংরক্ষণ করা যায়।
  • শুষ্ক পর্দাথ- ১৮.৬৩ (১৬.৮৬-২০.০২)%।
  • এই জাতটি রপ্তানী উপযোগী।

(৩৩) বারি আলু-৮৪ (মেমফিস)

বারি আলু-৮৪ (মেমফিস)
বারি আলু-৮৪ (মেমফিস)
  • গাছ মধ্যম উচ্চতা সম্পন্ন ইন্টারমিডিয়েট টাইপ।
  • গাছ কিছুটা খাড়া প্রকৃতির ও শাখা প্রশাখা কম।
  • কান্ড সবুজ মাঝারি ধরনের মোটা এবং এন্থোসায়ানিন এর বিস্তৃতি মাঝারি।
  • পাতা মাঝারি আকারের ও কম ঢেউ খেলানো।
  • পাতা সবুজ এবং মধ্য শিরায় এন্থোসায়ানিন এর বিস্তৃতি মাঝারি।
  • পত্রফলক মাঝারি আকারের ও চওড়া ধরনের এবং পত্রফলকের উপরের দিকের মসৃণতা মাঝারি। মধ্য শিরায় উপপত্রের সংখ্যা বেশি। শীর্ষের পত্রফলকে উপপত্রের সংখ্যা মাঝারি। পার্শ্বের পত্রফলকে বড় আকারের মাঝারি সংখ্যক উপপত্র দেখা যায়।
  • ৯০-৯৫ দিনে আলু পরিপক্কতা লাভ করে।
  • আলু ডিম্বাকৃতি ও বড় আকারের।
  • আলুর চামড়া মসৃণ ও রং লাল শাঁসের রং হালকা হলুদ।
  • চোখ অগভীর ও চোখ আলু তেসমভাবে বিন্যস্ত।
  • উচ্চ ফলনশীল {৪৩.১৭ (৩১.৭২-৫২.৩৫) টন/হে:}, আলু লাল চামড়ার ডিম্বাকৃতি এবং রোগ ও পোকামাকড়ের প্রকোপ কম।
  • বড় আকারের আলুর পরিমাণ ৬০ শতাংশের বেশী এবং সুপ্তিকাল ৬০-৬৫ দিন থাকায় এই জাতটির রপ্তানী উপযোগীতা রয়েছে।
  • জাতটি সাধারণ তাপমাত্রায় ২ মাস সংরক্ষণ করা যায়।
  • শুষ্ক পর্দাথ- ১৮.৭২ (১৫.৯৭-২১.৬৮)%। এই জাতটি রপ্তানী উপযোগী।

(৩৪) বারি আলু-৮৫ (সেভেন ফোর সেভেন)

বারি আলু-৮৫ (সেভেন ফোর সেভেন)
বারি আলু-৮৫ (সেভেন ফোর সেভেন)
  • গাছ মধ্যম উচ্চতা সম্পন্ন ইন্টারমিডিয়েট টাইপ।
  • গাছ কিছুটা খাড়া প্রকৃতির ও শাখা প্রশাখা কম।
  • কান্ড সবুজ মাঝারি ধরনের মোটা এবং এন্থোসায়ানিন এর বিস্তৃতি খুবই কম।
  • পাতা মাঝারি আকারের ও খুবই কম ঢেউ খেলানো।
  • পাতা গাঢ় সবুজ এবং মধ্য শিরায় এন্থোসায়ানিন এর বিস্তৃতি নেই।
  • পত্রফলক মাঝারি আকারের চওড়া ও মাঝারি ধরনের এবং পত্রফলকের উপরের দিক মসৃণ। মধ্য শিরায় উপপত্রের সংখ্যা মাঝারি। শীর্ষের পত্রফলকে উপপত্রের সংখ্যা কম। পার্শ্বের পত্রফলকে মাঝারি আকারের কম সংখ্যক উপপত্র দেখাযায়।
  • ৯০-৯৫ দিনে আলু পরিপক্কতা লাভ করে।
  • আলু ডিম্বাকৃতি ও বড় আকারের।
  • আলুর চামড়া মসৃণ ও রং হলুদ শাঁসের রং সাদা।
  • চোখ অগভীর ও চোখ আলুতে সমভাবে বিন্যস্ত।
  • শুষ্ক পর্দাথ- ১৭.৮০ (১৪.৬৪-১৯.৭২)%।
  • আলু হলূদ রংয়ের ও ডিম্বাকৃতি।
  • আগাম জাত (৬৫ দিনে গড় ফলন ৩১.২০ টন/হে:), উচ্চ ফলনশীল {৪৬.১৫ (৩৮.৯৪-৫৪.৪৫) টন/হে:}।
  • এ জাতটি খাবার আলু হিসাবে উপযোগী।

(৩৫) বারি আলু-৮৬

বারি আলু-৮৬
বারি আলু-৮৬
  • গাছ মধ্যম উচ্চতাসম্পন্ন স্টেম টাইপ।
  • গাছ কিছুটা খাড়া প্রকৃতির ও শাখা প্রশাখা কম।
  • কান্ড সবুজ মাঝারি ধরনের মোটা এবং এন্থোসায়ানিন এর বিস্তৃতি বেশি।
  • পাতা মাঝারি আকারের ও কম ঢেউ খেলানো।
  • পাতা গাঢ় সবুজ এবং মধ্য শিরায় এন্থোসায়ানিন এর বিস্তৃতি বেশি।
  • পত্রফলক মাঝারি আকারের চওড়াও মাঝারি ধরনের এবং পত্রফলকের উপরের দিক মসৃণ। মধ্য শিরায় উপপত্রের সংখ্যা মাঝারি। শীর্ষের পত্রফলকে উপপত্রের সংখ্যা খুবই কম। পার্শ্বের পত্রফলকে মধ্যম আকারের মাঝারি সংখ্যক উপপত্র দেখা যায়।
  • ৯০-৯৫ দিনে আলু পরিপক্কতা লাভ করে।
  • আলু লম্বা ডিম্বাকৃতি ও মাঝারি আকারের।
  • আলুর চামড়া মসৃণ ও রং লাল শাঁসের রং হালকা হলুদ।
  • চোখ অগভীর ও চোখ আলুতে সমভাবে বিন্যস্ত।
  • আগাম জাত (৬৫ দিনে গড় ফলন ৩৩.৬৮ টন/হে:), উচ্চ ফলনশীল {৪৯.১৫ (৩৪.৮৪-৬০.৭২) টন/হে:}।
  • আলু লাল চামড়ার লম্বা ডিম্বাকৃতি বড় আকারের আলুর পরিমাণ (৬২.৯৮% >৪০ মি.মি. এর বেশি) এবং সুপ্তিকাল বেশি (৮০-৮৫ দিন)।
  • জাতটি সাধারণ তাপমাত্রায় ২ মাস এর বেশি সময় সংরক্ষণ করা যায়।
  • শুষ্ক পর্দাথ- ১৮.০৮ (১৭.০৯-১৮.৭৮)%।
  • এই জাতটি রপ্তানী উপযোগী।

(৩৬) বারি আলু-৮৭

বারি আলু-৮৭
বারি আলু-৮৭
  • গাছ মধ্যম উচ্চতা সম্পন্ন ইন্টারমিডিয়েট টাইপ।
  • গাছ কিছুটা খাড়া প্রকৃতির ও শাখা প্রশাখা কম।
  • কান্ড সবুজ মাঝারি ধরনের মোটা এবং এন্থোসায়ানিন এর বিস্তৃতি খুবই কম।
  • পাতা মাঝারি আকারের ও খুবই কম ঢেউ খেলানো।
  • পাতা গাঢ় সবুজ এবং মধ্য শিরায় এন্থোসায়ানিন এর বিস্তৃতি নেই বা খুবই কম।
  • পত্রফলক মাঝারি আকারের চওড়া ও মাঝারি ধরনের এবং পত্রফলকের উপরের দিকের মসৃণতা মাঝারি। মধ্য শিরায় উপপত্রের সংখ্যা বেশি। শীর্ষের পত্রফলকে উপপত্রের সংখ্যা খুবই কম। পার্শ্বের পত্রফলকে মাঝারি আকারের খুবই কম সংখ্যক উপপত্র দেখা যায়।
  • ৯০-৯৫ দিনে আলু পরিপক্কতা লাভ করে।
  • আলু লম্বা ডিম্বাকৃতি,ডিম্বাকৃতি ও মাঝারি আকারের।
  • আলুর চামড়ার মসৃণতা মাঝারি ও রং হলুদ শাঁসের রং হালকা হলুদ।
  • চোখ অগভীর ও চোখ আলুতে সমভাবে বিন্যস্ত।
  • উচ্চ ফলনশীল {৫৭.২৫ (৫২.৮৪-৬৩.২৬) টন/হে:}।
  • আলু হলুদ চামড়ার লম্বা ডিম্বাকৃতি, ডিম্বাকৃতি বড় আকারের আলুর পরিমাণ (৬২.৯৮% >৪০ মি.মি. এর বেশি) এবং সুপ্তিকাল বেশি (৭০-৮০ দিন)।
  • জাতটি সাধারণ তাপমাত্রায় ২ মাস এর বেশি সময় সংরক্ষণ করা যায়।
  • শুষ্ক পর্দাথ- ১৮.৯০ (১৭.৫৪-২০.৩৩)%।
  • এই জাতটি রপ্তানী উপযোগী।

(৩৭) বারি আলু-৮৮

বারি আলু-৮৮
বারি আলু-৮৮
  • গাছ মধ্যম উচ্চতা সম্পন্ন ইন্টারমিডিয়েট টাইপ।
  • গাছ কিছুটা খাড়া প্রকৃতির ও শাখা প্রশাখা কম।
  • কান্ড সবুজ মাঝারি ধরনের মোটা এবং এন্থোসায়ানিন এর বিস্তৃতি কম।
  • পাতা মাঝারি আকারের ও খুবই কম ঢেউ খেলানো।
  • পাতা মাঝারি ধরনের সবুজ এবং মধ্য শিরায় এন্থোসায়ানিন এর বিস্তৃতি কম।
  • পত্রফলক মাঝারি আকারের ও চওড়া ধরনের এবং পত্রফলকের উপরের দিকের মসৃণতা মাঝারি।মধ্য শিরায় উপপত্রের সংখ্যা মাঝারি। শীর্ষের পত্রফলকে উপপত্রের সংখ্যা খুবই কম। পার্শ্বের পত্রফলকে মাঝারিআকারের খুবই কম সংখ্যক উপপত্র দেখা যায়।
  • ৯০-৯৫ দিনে আলু পরিপক্কতা লাভ করে।
  • আলু লম্বা ডিম্বাকৃতি,ডিম্বাকৃতি ও মাঝারি আকারের।
  • আলুর চামড়ার মসৃণতা মাঝারি ও রং লাল শাঁসের রং হলুদ।
  • চোখ অগভীর ও চোখ আলুতে সমভাবে বিন্যস্ত।
  • আগাম জাত (৬৫ দিনে গড় ফলন ৩৬.৮৫ টন/হে:), উচ্চ ফলনশীল {৪৮.১৭ (৩২.২৭-৬২.০৯) টন/হে:}।
  • আলু লাল চামড়ার ও লম্বা ডিম্বাকৃতি এবং রোগ ও পোকামাকড়ের প্রকোপ কম।
  • শুষ্ক পর্দাথ- ১৯.৩০ (১৭.৬৩-২১.২৯)%।
  • এ জাতটি খাবার আলু হিসাবে উপযোগী।

(৩৮) বারি আলু-৮৯ (ফরটাস)

বারি আলু-৮৯ (ফরটাস)
বারি আলু-৮৯ (ফরটাস)
  • গাছ মধ্যম উচ্চতা সম্পন্ন ইন্টারমিডিয়েটটাইপ।
  • গাছ কিছুটা খাড়া প্রকৃতির ও শাখা প্রশাখা কম।
  • কান্ড সবুজ মাঝারি ধরনের মোটা এবং এন্থোসায়ানিন এর বিস্তৃতি খুবই কম।
  • পাতা মাঝারি আকারের ও কম ঢেউ খেলানো।
  • পাতা সবুজ এবং মধ্য শিরায় এন্থোসায়ানিন এর বিস্তৃতি নেই।
  • পত্রফলক মাঝারি আকারের চওড়া ও মাঝারি ধরনের এবং পত্রফলকের উপরের দিকের মসৃণতা মাঝারি ধরনের। মধ্য শিরায় উপপত্রের সংখ্যা খুবই কম। শীর্ষের পত্রফলকে উপপত্রের সংখ্যা খুবই কম। পার্শ্বের পত্রফলকে মাঝারি আকারের খুবই কম সংখ্যক উপপত্র দেখা যায়।
  • ৯০-৯৫ দিনে আলু পরিপক্কতা লাভ করে।
  • আলু ডিম্বাকৃতি ও মাঝারি আকারের।
  • আলুর চামড়ার মসৃণতা মাঝারি ও রং হলুদ,শাঁসের রং হালকা হলুদ।
  • চোখ অগভীর ও চোখ আলুতে সমভাবে বিন্যস্ত।
  • আগাম জাত (৬৫ দিনে গড় ফলন ৩০.৫৩ টন/হে:), উচ্চ ফলনশীল {৪২.৯৩ (৩৪.৮০-৫০.৬৩) টন/হে:}।
  • আলু হলুদ চামড়ার ডিম্বাকৃতি ও বড় আকারের আলুর পরিমাণ (৬৭.২৬% >৪০ মি.মি. এর বেশি) এবং সুপ্তিকাল বেশি (৭০-৭৫ দিন)।
  • জাতটি সাধারণ তাপমাত্রায় ২ মাস এর বেশি সময় সংরক্ষণ করা যায়।
  • শুষ্ক পর্দাথ- ১৮.৩৩ (১৭.৫৫-১৯.৫৮)%।
  • জাতটি রপ্তানী উপযোগী।

(৩৯) বারি আলু-৯০ (এলোয়েট)

বারি আলু-৯০ (এলোয়েট)
বারি আলু-৯০ (এলোয়েট)
  • গাছ মধ্যম উচ্চতা সম্পন্ন ইন্টারমিডিয়েট টাইপ।
  • গাছ কিছুটা খাড়া প্রকৃতির ও শাখা প্রশাখা কম।
  • কান্ড সবুজ মাঝারি ধরনের মোটা এবং এন্থোসায়ানিন এর বিস্তৃতি বেশি।
  • পাতা মাঝারি আকারের ও কম ঢেউ খেলানো।
  • পাতা সবুজ এবং মধ্য শিরায় এন্থোসায়ানিন এর বিস্তৃতি বেশি।
  • পত্রফলক মাঝারি আকারের ও চওড়া ধরনের এবং পত্র ফলকের উপরের দিকের মসৃণতা মাঝারি।মধ্য শিরায় উপপত্রেরসংখ্যা খুবই কম। শীর্ষের পত্রফলকে উপপত্রের সংখ্যা খুবই কম। পার্শ্বের পত্রফলকে মাঝারি আকারের খুবই কম সংখ্যক উপপত্র দেখা যায়।
  • ৯০-৯৫ দিনে আলু পরিপক্কতা লাভ করে।
  • আলু ডিম্বাকৃতি ও মাঝারি আকারের।
  • আলুর চামড়ার মসৃণতা মাঝারি ও রং লাল, শাঁসের রং হলুদ।
  • চোখ অগভীর ও চোখ আলুতে সমভাবে বিন্যস্ত।
  • উচ্চ ফলনশীল {৫০.২৪ (৪৪.০৩-৫৭.৩৩) টন/হে:}।
  • আলু লাল রংয়ের ডিম্বাকৃতির ও বড় আকারের আলুর পরিমাণ (৬০.৪১% >৪০ মি.মি. এর বেশি) এবং সুপ্তিকাল বেশি (৮০-৮৫ দিন)।
  • জাতটি সাধারণ তাপমাত্রায় ২ মাস এর বেশি সময় সংরক্ষণ করা যায়।
  • শুষ্ক পর্দাথ- ১৮.৪৯ (১৭.৫৫-১৯.১২)%।
  • এই জাতটি নাবীধ্বসা রোগ প্রতিরোধী।
  • জাতটির রপ্তানী উপযোগী।

(৪০) বারি আলু-৯১ (ক্যারোলাস)

বারি আলু-৯১ (ক্যারোলাস)
বারি আলু-৯১ (ক্যারোলাস)
  • গাছ মধ্যম উচ্চতা সম্পন্ন ইন্টারমিডিয়েট টাইপ।
  • গাছ কিছুটা খাড়া প্রকৃতির ও শাখা প্রশাখা কম।
  • কান্ড সবুজ মাঝারি ধরনের মোটা এবং এন্থোসায়ানিন এর বিস্তৃতি কম।
  • পাতা মাঝারি আকারের ও কম ঢেউ খেলানো।
  • পাতা মাঝারি সবুজ এবং মধ্য শিরায় এন্থোসায়ানিন এর বিস্তৃতি নেই।
  • পত্রফলক মাঝারি আকারের চওড়া ও মাঝারি ধরনের এবং পত্রফলকের উপরের দিকের মসৃণতা মাঝারি।
  • মধ্য শিরায় উপপত্রের সংখ্যা খুবই কম। শীর্ষের পত্রফলকে উপপত্রের সংখ্যা খুবই কম। পার্শ্বের পত্রফলকে মাঝারি আকারের কম সংখ্যক উপপত্র দেখা যায়।
  • ৯০-৯৫ দিনে আলু পরিপক্কতা লাভ করে।
  • আলু খাট ডিম্বাকৃতি থেকে ও ডিম্বাকৃতি মাঝারি আকারের।
  • আলুর চামড়ার মসৃণতা মাঝারি ও রং হলুদ (লাল রং এর শেড আছে) শাঁসের রং হলুদ।
  • চোখ অগভীর ও চোখ আলুতে সমভাবে বিন্যস্ত।
  • আলু খাট ডিম্বাকৃতি থেকে ডিম্বাকৃতি ও হলুদ চামড়ার (লাল রংয়ের শেড আছে), সুপ্তিকাল বেশি (৭০-৭৫ দিন)।
  • জাতটি সাধারণ তাপমাত্রায় ২ মাস এর বেশি সময় সংরক্ষণ করা যায়।
  • উচ্চ ফলনশীল {৩৭.৭৪ (৩৪.৯৫-৪১.০৫)} টন/হে:। শুষ্ক পর্দাথ- ১৮.৮০ (১৮.১০-১৯.৯৩)%।
  • জাতটি নাবীধ্বসা রোগ প্রতিরোধী।

[সূত্র: বিএআরআই]

Leave a Reply

nv-author-image

inbangla.net/krisi

Everything related to animal and plants in the Bangla language!View Author posts

You cannot copy content of this page