বর্তমানে কোয়েল পালন অত্যন্ত লাভজনক একটি ব্যবসা। হাঁস-মুরগির পরিপূরক হিসেবে কোয়েল পাখি বেশ জনপ্রিয়। এই পাখিটির মাংস খুবই সুস্বাদু এবং ডিমও খুব উপাদেয়। ফলে এটি প্রাণিজ আমিষের চাহিদা বেশ ভালোভাবে মেটায়।
সাধারণভাবে একটি পূর্ণাঙ্গ বয়সের কোয়েল দিনে ২০ থেকে ২৫ গ্রাম পর্যন্ত খাবার গ্রহণ করতে পারে। মাত্র ৬ সপ্তাহে বা ৪২ দিনে কোয়েল পাখি ডিম এবং মাংস প্রদানের জন্য দৈহিকভাবে উপযোগী হয়।
স্বল্প জায়গা ও স্বল্প পুঁজিতে কোয়েল পালন করা যায়। উদাহারণ হিসেবে বলা যায়, ১টি মুরগির জায়গায় ৮টি কোয়েল পালন করা সম্ভব। ফলে প্রান্তিক চাষীদের কিংবা যারা শখের বসে খামার করে, তাদের কাছে কোয়েল পালনও দিন দিন বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। এখানে আমরা কোয়েল পাখির খাবার তালিকা এবং কোয়েল পাখি পালন পদ্ধতি জানব।
এ পাঠটি শেষ অবধি অধ্যয়ন করলে আপনি- কোয়েল পাখি পালন ও জাপানি কোয়েলের বাচ্চা ফোটানো সম্পর্কে জানতে পারবেন। কোয়েল পাখির বাসস্থান সম্পর্কে ধারণা পাবেন। বিভিন্ন বয়সের জাপানি কোয়েলের কোয়েল পাখির খাবার তালিকা তৈরি করতে পারবেন। কোয়েল পাখির খাবার ও পানির ব্যবস্থাপনা এবং কোয়েল পাখি পালনে আলোর ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে অবগত হতে পারবেন।
(১) কোয়েল পাখি পালন
জাপানি কোয়েল পোল্ট্রি শিল্পের নতুন সদস্য। বাণিজ্যিক জাপানি কোয়েলের অনেকগুলো জাত ও উপজাত রয়েছে, যেমন- ফারাও, ব্রিটিশ রেঞ্জ, ইংলিশ হোয়াইট, ম্যানচুরিয়ান গোল্ডেন, টুক্সেডো ও ব্রাউন কোয়েল।
মুরগির পরে পোল্ট্রি শিল্পে আরও যেসব পোল্ট্রি গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত হয়, তাদের মধ্যে কোয়েল পাখি পালন, হাঁস, রাজহাঁস ও কবুতর পালন অন্যতম। পোল্ট্রি শিল্পে তুলনামূলকভাবে জাপানি কোয়েল বর্তমানে বিকল্প পোল্ট্রি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে।
জাত ও উপজাতভেদে কয়েল পাখির বিভিন্ন জাত ও উপজাতগুলোর পালকের রং, ওজন, আকার, আকৃতি, ডিম পাড়ার হার, ডিমের ওজন, বেঁচে থাকার হার ইত্যাদিতে পার্থক্য থাকলেও ডিম ও মাংস উৎপাদন ক্ষমতা প্রায় একই।
(২) কোয়েল পাখির বাচ্চা ফোটানো
জাপানি কোয়েল পালনের প্রথম ধাপই হলো ডিম থেকে বাচ্চা ফোটানো।
- বাচ্চা ফোটানোর লক্ষ্যে ডিম উৎপাদনের জন্য প্যারেন্ট স্টকের বয়স ১০-৩০ সপ্তাহের মধ্যে হওয়া ভালো।
- উর্বর ডিম ফোটানোর জন্য স্ত্রীঃপুরুষ অনুপাত ১ঃ২ হওয়া প্রয়োজন।
- কোয়েলের ডিম অত্যন্ত পাতলা খোসাবিশিষ্ট হওয়ায় সাবধানে সংগ্রহ করতে হবে।
- ডিমের ওজন ৯-১১ গ্রাম হলে ভালো।
- মুরগির ডিমের মতোই প্রাকৃতিক ও কৃত্রিম পদ্ধতিতে কোয়েলের ডিম ফোটানো যায়।
- জাপানি কোয়েলের ডিম গড়ে ১৭ দিনে ফোটে।
(৩) কোয়েল পাখির বাচ্চা লালন পালন
জাপানি কোয়েলের প্রতিটি বাচ্চার ওজন হয় ৭-৮ গ্রাম।
- ৪-৫ সপ্তাহ পর্যন্ত কোয়েলের বাচ্চাগুলোকে লিটারে রেখে মুরগির বাচ্চার মতো তাপ প্রদান করতে হবে যাকে ব্রুডিং বলে।
- ঘরটিকে সব সময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও জীবাণুমুক্ত রাখতে হবে।
- ব্রুডারের ভিতরের অর্থ্যাৎ চিকগার্ডের মধ্যে প্রতি বাচ্চার জন্য ৪ সপ্তাহ পর্যন্ত ১২৫-১৪০ বর্গ সেমি জায়গা প্রয়োজন।
- চিকগার্ডের মধ্যে পযার্প্ত বিশুদ্ধ পানি ও খাবারের ব্যবস্থা রাখতে হবে। ৪-৫ সপ্তাহ বয়স পর্যন্ত ট্রেতে খাদ্য সরবরাহ করতে হবে।
কোয়েল পালনে ব্রুডারের নিচে আদর্শ তাপমাত্রা হলো-
বয়স | তাপমাত্রা (সেলসিয়াস) |
০-৭ দিন | ৩৫ সে. |
৮-১৪ দিন | ৩২.২০ সে. |
১৫-২১ দিন | ২৯.৫০ সে. |
২২-২৮ দিন | ২৬.৫০ সে. |
(৪) কোয়েল পাখির বাসস্থান
জাপানি কোয়েল মেঝে থেকে খাঁচায় পালন অধিকতর ভালো।
- কোয়েলের বাসস্থানটি এমনভাবে তৈরি করতে হবে যাতে ঐ ঘরে পর্যপ্ত পরিমাণে আলো-বাতাস প্রবেশ করতে পারে।
- ৫০টি কোয়েল পালনের জন্য ১২০ সেমি দৈর্ঘ্য, ৬০ সেমি প্রস্থ ও ৫ সেমি উচ্চতার একটি খাঁচাই যথেষ্ট।
- খাঁচার মেঝেটি তারের জাল দিয়ে তৈরি হতে হবে।
- খাঁচার মেঝের জালের ফাঁক হবে ৪ মিমি ৪ মিমি।
গবেষণায় দেখা গেছে, কোয়েলকে ১২ মাস খাঁচায় এবং মেঝেতে পালনে যথাক্রমে ১৩৫.৩ গ্রাম এবং ১৪০.৩ গ্রাম দৈহিক ওজন হয় এবং মাসিক ডিম উৎপাদন বাড়ে যথাক্রমে ৬০% এবং ৫৮%।
(৫) কোয়েল পাখির খাবার ও পানির ব্যবস্থাপনা
জাপানি কোয়েলের স্বাস্থ্য রক্ষা, দৈহিক বৃদ্ধি, ডিম ও মাংস উৎপাদনের জন্য সুষম কোয়েল পাখির খাবার প্রয়োজন।
- ০-৩ সপ্তাহ বয়সের পাখির জন্য খাদ্যে আমিষের প্রয়োজন শতকরা ২৭%, ৪-৫ সপ্তাহে ২৪% এবং ৬ সপ্তাহ থেকে বাকি সময়ের জন্য ২২% প্রয়োজন।
- সাধারণত একটি পূর্ণ বয়ষ্ক কোয়েল প্রতিদিন ২০-২৫ গ্রাম খাদ্য গ্রহণ করে থাকে।
- প্রতিটি বাচ্চার জন্য ১ মাস পর্যন্ত ১ মিমি পানির জায়গা দিতে হবে। খোলা পানি দেয়া যাবে না। এতে বাচ্চা সহজেই পানিতে পড়ে যাবে এবং শরীর ঠান্ডা হয়ে মারাও যেতে পারে।
- কোয়েল পাখির খাবার ও পানির পাত্র মুরগির খামারে ব্যবহৃত আকারে একটু ছোট হলে ভাল হয়। তবে কোয়েল খুব ঘন ঘন পানি পান করে। তাই কোয়েলের খাচায় কয়েকটি স্থানে পানির ব্যবস্থা খাকতে হবে। তবে লক্ষ্য রাখতে হবে পানির পাত্রগুলো যেন খাঁচার সাথে শক্ত করে আটকানো থাকে। যাতে পানির পাত্র উপচে বা উল্টে পড়ে কোয়েলের গা ভিজে না যায়।
ক) প্রারম্ভিক (স্টারটার) (০-৩ সপ্তাহ) বয়সের জাপানি কোয়েল পাখির খাবার তালিকা বা রেশন
খাদ্য উপাদান (%) | পরিমাণ (%) সূত্র-১ | পরিমাণ (%) সূত্র-২ |
১. গম ভাঙ্গা | ৫০.০০ | ৫০.০০ |
২. চাউলের মিহি কুঁড়া | ০৭.০০ | ০৬.০০ |
৩. তিলের খৈল | ১৫.০০ | ২৩.০০ |
৪. শুটকি মাছের গুঁড়া | ২০.০০ | ১৮.০০ |
৫. ঝিনুকের গুঁড়া | ০২.০০ | ০২.৪০ |
৬. মাছের তেল | ০১.০০ | – |
৭. লবণ | ০০.২৫ | ০০.৩০ |
৮. ভিটামিন-মিনারেল প্রিমিক্স | ০০.২৫ | ০০.৩০ |
খ) বৃদ্ধির (গ্রোয়ার) (৪-৫ সপ্তাহ) বয়সের জাপানি কোয়েল পাখির খাবার তালিকা বা রেশন
খাদ্য উপাদান (%) | পরিমাণ (%) সূত্র-১ | পরিমাণ (%) সূত্র-২ |
১. গম ভাঙ্গা | ৫৩.০০ | ৫৩.০০ |
২. চাউলের মিহি কুঁড়া | ০৯.০০ | ০৮.০০ |
৩. তিলের খৈল | ১৫.০০ | ২৩.০০ |
৪. শুটকি মাছের গুঁড়া | ১৮.০০ | ১৫.০০ |
৫. ঝিনুকের গুঁড়া | ০৩.৫০ | ০৩.৪০ |
৬. মাছের তেল | ০১.০০ | – |
৭. লবণ | ০০.২৫ | ০০.৩০ |
৮. ভিটামিন-মিনারেল প্রিমিক্স | ০০.২৫ | ০০.৩০ |
গ) লেয়ার রেশন (৬ সপ্তাহ) বয়সের জাপানি কোয়েল পাখির খাবার তালিকা বা রেশন
খাদ্য উপাদান | পরিমাণ (%) |
১. গম ভাঙ্গা | ৫০.০০ |
২. চাউলের মিহি কুঁড়া | ০৯.০০ |
৩. তিলের খৈল | ২৩.০০ |
৪. শুটকি মাছের গুঁড়া | ১২.০০ |
৫. ঝিনুকের গুঁড়া | ০৫.০০ |
৬. মাছের তেল | – |
৭. লবণ | ০০.৪০ |
৮. ভিটামিন-মিনারেল প্রিমিক্স | ০০.৩০ |
ঘ) কোয়েল পাখির আদর্শ খাবার বা রেশন
খাদ্য উপাদান | ০-৩ সপ্তাহ পর্যন্ত (%) | ৪র্থ সপ্তাহ-শেষ ডিম দেয়া পর্যন্ত (%) |
১. গম/ভুট্টা ভাঙ্গা | ৪৮.০০ | ৫০.০০ |
২. চালের কুঁড়া | ৮.০০ | ৮.০০ |
৩. তিলের খৈল | ২২.০০ | ২০.০০ |
৪. প্রোটিন কনসেনট্রেট | ৯.০০ | ৮.০০ |
৫. সয়াবিন মিল | ১০.০০ | ১০.০০ |
৬. ঝিনুকের গুঁড়া | ২.৫০ | ৩.৫০ |
৭. লবণ | ০.৫০ | ০.৫০ |
মোট | ১০০.০০ | ১০০.০০ |
ঙ) কোয়েল পাখির খাবার গ্রহনের আদর্শ গাইড লাইন
বয়স | খাদ্যের পরিমাণ/কোয়েল/দিন |
১ সপ্তাহ | ৩-৪ গ্রাম |
২য় সপ্তাহ | ৭-৯ গ্রাম |
৩য় সপ্তাহ | ১১-১৪ গ্রাম |
৪র্থ সপ্তাহ | ১৫-১৮ গ্রাম |
৫ম সপ্তাহ | ১৮-২০ গ্রাম |
৬ষ্ঠ সপ্তাহ হতে শেষ ডিম দেয়া পর্যন্ত | ২০-২৪ গ্রাম |
(৬) কোয়েল পাখি পালনে আলোর ব্যবস্থাপনা
বয়স | প্রয়োজনীয় আলোক ঘন্টা |
৪র্থ সপ্তাহ | ১২ ঘন্টা |
৫ম সপ্তাহ | ১৩ ঘন্টা |
৬ষ্ঠ সপ্তাহ | ১৪ ঘন্টা |
৬ষ্ঠ সপ্তাহ হতে শেষ ডিম দেয়া পর্যন্ত | ১৬ ঘন্টা |
(৭) কোয়েল পাখির দানাদার খাবার তৈরিকরণ
এই অংশটি আপনি মনোযোগের সাথে অধ্যয়ন করলে নিজ হাতে জাপানি কোয়েলের আদর্শ রেশন বা খাদ্যতালিকা তৈরি করতে পারবেন।
ক) কোয়েল পাখির আদর্শ খাবার তালিকা
খাদ্য উপাদান | ০-৩ সপ্তাহ পর্যন্ত (%) | ৪র্থ সপ্তাহ- শেষ ডিম দেয়া পর্যন্ত (%) |
১. গম/ভুট্টা ভাঙ্গা | ৪৮.০০ | ৫০.০০ |
২. চালের কুঁড়া | ৮.০০ | ৮.০০ |
৩. তিলের খৈল | ২২.০০ | ২০.০০ |
৪. প্রোটিন কনসেনট্রেট | ৯.০০ | ৮.০০ |
৫. সয়াবিন মিল | ১০.০০ | ১০.০০ |
৬. ঝিনুকের গুঁড়া | ২.৫০ | ৩.৫০ |
৭. লবণ | ০.৫০ | ০.৫০ |
মোট | ১০০.০০ | ১০০.০০ |
খ) বিভিন্ন বয়সের কোলের পাখির খাবার তালিকা
খাদ্য উপাদান | ফরমুলা-১: প্রারম্ভিক (স্টারটার) (০-৩ সপ্তাহ) | ফরমুলা-২: প্রারম্ভিক (স্টারটার) (০-৩ সপ্তাহ) |
১. গম ভাঙ্গা | ৫০.০০ % | ৫০.০০ % |
২. চাউলের মিহি কুঁড়া | ০৭.০০ % | ০৬.০০ % |
৩. তিলের খৈল | ১৫.০০ % | ২৩.০০ % |
৪. শুটকি মাছের গুড়া | ২০.০০ % | ১৮.০০ % |
৫. ঝিনুকের গুড়া | ০২.০০ % | ০২.৪০ % |
৬. মাছের তেল | ০১.০০ % | – |
৭. লবণ | ০০.২৫ % | ০০.৩০ % |
৮. ভিটামিন-মিনারেল প্রিমিক্স | ০০.২৫ | ০০.৩০ |
গ) বিভিন্ন গ্রোয়ার বা বৃদ্ধি পর্যায়ের কোলের পাখির খাবার তালিকা
খাদ্য উপাদান | ফরমুলা-১: বৃদ্ধি (গ্রোয়ার) (৪-৫ সপ্তাহ) | ফরমুলা-২: বৃদ্ধি (গ্রোয়ার) (৪-৫ সপ্তাহ) |
১. গম ভাঙ্গা | ৫৩.০০ % | ৫০.০০ % |
২. চাউলের মিহি কুঁড়া | ০৯.০০ % | ০৮.০০ % |
৩. তিলের খৈল | ১৫.০০ % | ২৩.০০ % |
৪. শুটকি মাছের গুড়া | ১৮.০০ % | ১৫.০০ % |
৫. ঝিনুকের গুড়া | ০৩.৫০ % | ০৩.৪০ % |
৬. মাছের তেল | ০১.০০ % | – |
৭. লবণ | ০০.২৫ % | ০০.৩০ % |
৮. ভিটামিন-মিনারেল প্রিমিক্স | ০০.২৫ | ০০.৩০ |
ঘ) বিভিন্ন লেয়ার বা ডিম পাড়া কোলের পাখির খাবার তালিকা
খাদ্য উপাদান | লেয়ার রেশন (৬ সপ্তাহ) |
১. গম ভাঙ্গা | ৫০.০০ % |
২. চাউলের মিহি কুঁড়া | ০৯.০০ % |
৩. তিলের খৈল | ২৩.০০ % |
৪. শুটকি মাছের গুড়া | ১২.০০ % |
৫. ঝিনুকের গুড়া | ০৫.০০ % |
৬. মাছের তেল | – |
৭. লবণ | ০০.৪০ % |
৮. ভিটামিন-মিনারেল প্রিমিক্স | ০০.৩০ % |
কোয়েল একটি সৌখিন পাখি বর্তমানে এর মাংস এবং ডিম খুব জনপ্রিয়। কোয়েলের বাচ্চা ফোটানো, বাচ্চা লালন পালন, খাদ্য এবং পানি ব্যবস্থাপনা রেশন তৈরি করা এবং আলোক ব্যবস্থাপনা খুবই গুরুত্বপূর্ন কিছু ধাপ।
উপরোক্ত আলোচনাতে আমরা কোয়েল পাখির খাবার তালিকা এবং কোয়েল পাখি পালন পদ্ধতি সম্পর্কে জানলাম।
সাধারণভাবে হাস মুরগির যে খাবার সরবরাহ করা হয়ে থাকে তার মধ্যেই এই ধরনের আমিষ এবং ক্যালোরি বিদ্যমান। সুতরাং হাস মুরগির জন্য যে খাবার আনা হয় তার থেকেও খাবার প্রদান করে কোয়েল পালন করা যায়। তাই আমাদের বাংলাদেশে বর্তমানে বাজারের ব্রয়লার মুরগির খাদ্য এবং পশুখাদ্য হিসেবে মিক্সার সাধারনত কোয়েল পাখির খাবার হিসেবে দেওয়া হয়ে থাকে।
[সূত্র: ওপেন স্কুল]