বেগুনের ঢলে পড়ে যায়, এই রোগের লক্ষণ ও প্রতিরোধ ব্যবস্থা নিম্নরূপ- লক্ষণ: Ralstonia solanacearum নামক ব্যাকটেরিয়া দ্বারা এ রোগ হয়ে থাকে। যেকোন বয়সের গাছে এই রোগের আক্রমণ হতে পারে। আক্রান্ত গাছ হঠাৎ ঢলে পড়ে অর্থাৎ সকালে সুস্থ ও বিকালে ঢলে পড়ে। ২-৩ দিন পরে গাছ ধীরে ধীরে শুকিয়ে যায়। প্রাথমিক অবস্থায় গাছRead more
বেগুনের ঢলে পড়ে যায়, এই রোগের লক্ষণ ও প্রতিরোধ ব্যবস্থা নিম্নরূপ-
লক্ষণ:
- Ralstonia solanacearum নামক ব্যাকটেরিয়া দ্বারা এ রোগ হয়ে থাকে।
- যেকোন বয়সের গাছে এই রোগের আক্রমণ হতে পারে।
- আক্রান্ত গাছ হঠাৎ ঢলে পড়ে অর্থাৎ সকালে সুস্থ ও বিকালে ঢলে পড়ে। ২-৩ দিন পরে গাছ ধীরে ধীরে শুকিয়ে যায়।
- প্রাথমিক অবস্থায় গাছের শিকড় আক্রান্ত হয়। ফলে জীবাণু গাছকে মাটি থেকে পানি গ্রহণ ও সঞ্চালনে বাধা প্রদান করে এবং গাছ ঢলে পড়ে মারা যায়।
- মাঝে মাঝে আক্রান্ত গাছের নিচের পাতার শিরা ঝলসে যেতে দেখা যায়।
- আক্রান্ত ডাল/কাণ্ড কেটে পরিষ্কার পানিতে রাখলে সাদা সুতার মতো মাইসেলিয়াম ডুবানো প্রান্ত থেকে বের হয়।
প্রতিরোধ:
- আক্রান্ত গাছ তুলে মাটিতে পুঁতে ফেলতে হবে।
- আক্রান্ত জমিতে সোলানেসি পরিবারের (বেগুন, টমেটো, আলু, মরিচ ইত্যাদি) ২-৩ বছর চাষ না করা
- জমি তৈরির সময় দানাদার কীটনাশক ( ফুরাডান/কার্বোফুরান) ৩ কেজি/একর মাটির সাথে মিশিয়ে দিতে হবে।
- চারা রোপণের ২০-২৫ দিন আগে ব্লিচিং পাউডার ২.৬ কেজি/বিঘা শেষ চাষে ব্যবহার করতে হবে।
- আক্রান্ত গাছে কপার অক্সিক্লোরাইড ( সানভিট/কুপ্রাভিট ) ৪ গ্রাম/লিটার পানি অথবা বর্দোমিকচার ( ১০০ গ্রাম তুঁতে ও ১০০ গ্রাম পাথুরে চুন ১০ লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে।
- ৭-১০ লিটার পানিতে ১ গ্রাম স্ট্রেপ্টোমাইসিন/প্লাটোমাইসিন মিশিয়ে তাতে চারা ১৫-২০ মিনিট ডুবিতে রাখলে উপকার পাওয়া যায়।
রং হলো এক ধরনের রাসায়নিক পদার্থ। পেঁপের বর্ণ হলুদে রুপান্তর বলতে-পেঁপের মধ্যে জৈব-রাসায়নিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে হলূদ বর্ণধারী নতুন যৌগের সৃষ্টিকে বোঝায়। প্রাকৃতিকভাবেই উদ্ভিদ কান্ডের মুকুলে ইনডোল অ্যাসিটিক এসিড উৎপন্ন হয়,যা থেকে এক পর্যায়ে ইথিলিন গ্যাস উৎপন্ন হয় এবং এই গ্যাসের প্রভাবে পেঁপের জৈব-রাসRead more
রং হলো এক ধরনের রাসায়নিক পদার্থ। পেঁপের বর্ণ হলুদে রুপান্তর বলতে-পেঁপের মধ্যে জৈব-রাসায়নিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে হলূদ বর্ণধারী নতুন যৌগের সৃষ্টিকে বোঝায়।
প্রাকৃতিকভাবেই উদ্ভিদ কান্ডের মুকুলে ইনডোল অ্যাসিটিক এসিড উৎপন্ন হয়,যা থেকে এক পর্যায়ে ইথিলিন গ্যাস উৎপন্ন হয় এবং এই গ্যাসের প্রভাবে পেঁপের জৈব-রাসায়নিক পদার্থগুলো পরিবর্তিত হয় এবং হলুদ বর্ণ ধারণ করে।মূলত এটি একটি জৈব রাসায়নিক প্রক্রিয়া। এ কারণে পেঁপে পাকলে হলুদ হয়।
See less