কৃষি (পশু ও পাখি)

শামুক ধ্বংস করার পদ্ধতি হলো: ০.৫% কপার সালফেট খাল, বিল, ডোবা, নালা, হাওর, পুকুরের পানিতে প্রয়োগ করার মাধ্যমে শামুক ধ্বংস করা যায়।

গরুর শাল দুধের উপকারিতাঃ

নিচে গরুর শাল দুধের ৯টি উপকারিতা দেওয়া হলো-

1. শালদুধের রঙ হলুদ এবং এই দুধ আঠালো (Viscous) হয়।
2. গরম করলে কলস্ট্রাম জমাট বেধে যায়।
3. স্বাভাবিক দুধের তুলনায় শালদুধে ৩-৫ গুণ বেশি আমিষ থাকে।
4. এই আমিষের অধিকাংশই গ্লোবিউলিন (Globulin) নামক আমিষ যা রোগপ্রতিরোধী অ্যান্টিবডিসমৃদ্ধ (Antibody)।
5. নবজাত বাচ্চার রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা সৃষ্টি হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত শালদুধ এদেরকে রোগের কবল থেকে রক্ষা করে।
6. স্বাভাবিক দুধের থেকে শালদুধে ৫-১৫ গুণ বেশি ভিটামিন-এ থাকে।
7. বাচ্চার স্বাভাবিক স্বাস্থ্যরক্ষা ও দৈহিক বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় অন্যান্য ভিটামিন ও খণিজপদার্থগুলোও এই দুধে যথেষ্ট পরিমাণে থাকে।
8. শালদুধ কোষ্ঠ পরিষ্কারক (laxative), তাই নবজাত বাচ্চার পরিপাকতন্তে যে হলুদ বর্ণের বিপাকজাত মল জমে থাকে তা বের করে দিয়ে খাদ্য অন্তঃ কে পরিষ্কার করে।
9. নবজাত বাচ্চা কোনো কারণে মাতৃহারা হলে সাধারণ দুধের সঙ্গে ডিমের সাদা অংশ বা অ্যালবুমেন (Albumen), এক চামচ কড লিভার তেল (Cod liver oil) ও এক চামচ পানি মিশিয়ে বিকল্প ব কৃত্রিম কলস্ট্রাম তৈরি করে পান করানো যায়।

পশমের পৃষ্ঠতল খাঁজকাটা; এগুলো কোঁকড়ানো বা ঢেউ খেলানো ও অত্যন্ত স্থিতিস্থাপক। পশমের অভ্যন্তর ভাগে বহু ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কোষ রয়েছে। পক্ষান্তরে লোমের পৃষ্ঠতল মসৃণ; এগুলো কোঁকড়ানো নয় এবং স্থিতিস্থাপকও নয়।

ছাগলের বাসস্থান, ফুসফুসের কৃমি, আমাদের খাদ্য দেয়ার ব্যবস্থাপনা, আবহাওয়া পরিবর্তন, বাসস্থানে এ্যামোনিয়া গ্যাস, ছাগলের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকা, ইত্যাদি বিষয়ে লক্ষ্য রাখতে  হবে।

ছাগলের উপযুক্ত বাসস্থান ছাগল সাধারণত পরিষ্কার শুষ্ক, দুর্গন্ধমুক্ত উষ্ণ, পর্যাপ্ত আলো ও বায়ু চলাচলকারী পরিবেশ বেশি পছন্দ করে। অপরিষ্কার, স্যাঁতস্যঁতে, বদ্ধ, অন্ধকার ও পুঁতিগন্ধময় পরিবেশে ছাগল বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়। যেমন- নিউমোনিয়া, একথাইমা, পিপিআর, ডায়রিয়া, চর্মরোগ, উকুন ইত্যাদি, অপর দিকে ছাগলের উৎপাদন কমে যায়।

সঠিক ভাবে কৃমি মুক্ত করতে হবে ফুসফুসের কৃমি মুক্ত রাখতে চেষ্টা করবেন, কোন গ্রুপের কৃমি নাশক ফুসফুসের কৃমি দমন করে এমন কৃমি নাশক ঔষধ ব্যবহার করতে হবে। কৃমি নাশক ঔষধ ব্যবহার করার আগে, ঔষধের নির্দেশনা পড়তে হবে মনোযোগ সহকারে।

ছাগলের বাসস্থানে এ্যামোনিয়া গ্যাস তৈরি না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। তাহলে অনেকটাই ঠান্ডা কাশি মুক্ত রাখা যাবে, শিতের সময় অয়েল মিক্স ইউজ করতে পারেন, মাঝে মধ্যে প্রোবায়োটিক দিতে পারেন, ভিটামিন সি ও জিংক দিতে পারেন।

উপরের প্রতিটি বিষয়ে নজর দিতে হবে তাহলে ছাগলকে ঠান্ডা মুক্ত রাখা সম্ভব হবে। কোন ছাগল কোন রোগে আক্রান্ত হলে অবশ্যই একজন ডিভিএম চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধ উত্তম।