Home/বাংলা ব্যাকরণ
Sign Up to our social questions and Answers Engine to ask questions, answer people’s questions, and connect with other people.
Login to our social questions & Answers Engine to ask questions answer people’s questions & connect with other people.
আপনার পাসওয়ার্ড ভুলেগেছেন? তাহলে আপনার ইমেইল এড্রেসটি লিখুন।প্রথমত, একটি কনফার্মেশন লিঙ্ক সহ ইমেইল যাবে উক্ত লিঙ্কে ক্লিক করে কনফার্ম করতে হবে।দ্বিতীয়ত, আরও একটা মেইল যাবে, যেখানে আপনার নতুন পাসওয়ার্ড উল্লেখ করা থাকবে, সেই পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে আপনি লগিন করতে পারবেন।(বিঃদ্রঃ আপনার ইনবক্সে মেইল না পৌঁছালে স্প্যাম ফোল্ডার চেক করুন)
Please briefly explain why you feel this question should be reported.
Please briefly explain why you feel this answer should be reported.
Please briefly explain why you feel this user should be reported.
কাকে বাংলা ভাষার রক্ষাকর্তা বলা হয়?
ইখতিয়ার উদ্দিন মুহম্মদ বখতিয়ার খিলজিকে বাংলা ভাষার রক্ষাকর্তা বলা হয়। হাজার বছর আগে বাঙ্গালি জাতির মুখের ভাষা ‘বাংলা’কে কেড়ে নিয়েছিল দক্ষিণ ভারত থেকে আগত সেন রাজারা। সেন রাজাদের হিন্দু পণ্ডিতরা নির্দেশ জারি করেছিল, ‘যারা বাংলা ভাষা বলবে ও শুনবে তারা রৌরব নামক নরকে যাবে।’ ওই সময় তুর্কি বংশোদ্ভূRead more
ইখতিয়ার উদ্দিন মুহম্মদ বখতিয়ার খিলজিকে বাংলা ভাষার রক্ষাকর্তা বলা হয়।
হাজার বছর আগে বাঙ্গালি জাতির মুখের ভাষা ‘বাংলা’কে কেড়ে নিয়েছিল দক্ষিণ ভারত থেকে আগত সেন রাজারা। সেন রাজাদের হিন্দু পণ্ডিতরা নির্দেশ জারি করেছিল, ‘যারা বাংলা ভাষা বলবে ও শুনবে তারা রৌরব নামক নরকে যাবে।’ ওই সময় তুর্কি বংশোদ্ভূত ইখতিয়ার উদ্দিন মুহম্মদ বখতিয়ার খিলজি নির্যাতিত বাঙালিদের মুক্ত করতে এগিয়ে আসেন এবং ১২০৪ খ্রিষ্টাব্দে মাত্র ১৮ জন ঘোড়সওয়ারি নিয়ে সেন রাজাকে পরাজিত করে বাংলাকে স্বাধীন করেন। বক্তারা বলেন, ইখতিয়ার উদ্দিন মুহম্মদ বখতিয়ার খিলজির বাংলা বিজয়ের মাধ্যম সেই দিন শুধু ভূমির বিজয় হয়নি, সঙ্গে মুক্ত হয়েছিল বাঙ্গালিদের মুখের ভাষা ‘বাংলা’।
মধ্যযুগে মুসলিম শাসকদের রাজকীয় পৃষ্ঠপোষকতায় বাংলা ভাষার যে সাহিত্যচর্চা শুরু হয়, তার মাধ্যমে বাংলা ভাষা একটি পরিপূর্ণ ভাষা হিসেবে আত্মপ্রকাশের যোগ্যতা অর্জন করে।
বাংলা ভাষাকে কলুষিত করার চেষ্টা যুগে যুগে আরও হয়। ১৮০০ সনে ব্রিটিশরা কলকাতায় ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ প্রতিষ্ঠা করে বাংলা ভাষার আরবি ও ফারসি শব্দ বাদ দিয়ে সংস্কৃত শব্দ প্রবেশের উদ্দেশ্যে সাহিত্যচর্চা শুরু করে। তারা দেখাতে চায়—বাংলা ভাষার সঙ্গে মুসলমানদের কোনো সম্পর্ক নেই।
মুসলিমদের হেয় প্রতিপন্ন করতে প্রচার করা হয়, বাংলা ভাষায় প্রথম কুরআন মাজিদ অনুবাদ নাকি গিরিশ চন্দ্র সেন করেছেন। অথচ ১৮৮৬ খ্রিষ্টাব্দে গিরিশ চন্দ্র সেনের অনুবাদের বহু আগে ১৮০৮ খ্রিষ্টাব্দে বাংলা ভাষায় কুরআন মাজিদের আংশিক অনুবাদ করেন মাওলানা আমিরুদ্দিন বসুনিয়া। এরপর ১৮৩৬ খ্রিষ্টাব্দে মৌলবি নাঈমুদ্দিন পূরো কুরআনের বাংলা অনুবাদ সম্পন্ন করেন। অথচ এ ইতিহাস প্রচার করা হয় না।
[সূত্র: খন্দকার কামরুল হুদা, স্বাধীনতা সংগ্রাম ও শেখ মুজিব, ১৯৯৫, পৃ. ৩২, বাংলাপিডিয়া]
See lessঅক্ষর কাকে বলে?
অক্ষর কাকে বলে: অক্ষর বলতে বর্ণ বা হরফকে বুঝায়। তবে প্রকৃত অর্থে অক্ষর ও বর্ণ পরস্পরের প্রতিশব্দ বা সমার্থক শব্দ নয়। ইংরেজিতে যাকে Syllable বলে আমরা জানি, তাই অক্ষর। যেমন – ইংরেজি Incident শব্দে “In-ci-de-nt” এ চারটি সিলেবল আছে। এগুলোই হলো অক্ষর। তবে আলাদাভাবে ” I-n-c-i-d-e-n-t” এগুলো অক্ষর নয়। এগুলRead more
অক্ষর কাকে বলে: অক্ষর বলতে বর্ণ বা হরফকে বুঝায়। তবে প্রকৃত অর্থে অক্ষর ও বর্ণ পরস্পরের প্রতিশব্দ বা সমার্থক শব্দ নয়। ইংরেজিতে যাকে Syllable বলে আমরা জানি, তাই অক্ষর। যেমন – ইংরেজি Incident শব্দে “In-ci-de-nt” এ চারটি সিলেবল আছে। এগুলোই হলো অক্ষর। তবে আলাদাভাবে ” I-n-c-i-d-e-n-t” এগুলো অক্ষর নয়। এগুলো বর্ণ বা হরফ। তেমনি বাংলাতে বন্ধন শব্দের বন্ + ধন্ এ দুটি অক্ষর।
ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্ এর মতে, “কোন শব্দে যখন যে ধ্বনিসমষ্টি এক সময়ে একত্রে উচ্চারিত হয়, তাহাকে অক্ষর বলে।”
মুহম্মদ আব্দুল হাই এর মতে, “নিঃশ্বাসের স্বল্পতম প্রয়াস একই বক্ষঃস্পন্দনের ফলে যে ধ্বনি বা ধ্বনিগুচ্ছ একেবারে উচ্চারিত হয়, তাকেই সিলেবল বা অক্ষর বলে।”
শ্রী অমূল্যধন মুখোপাধ্যায়ের মতে, “বাগযন্ত্রের স্বল্পতম প্রচেষ্টায় উচ্চারিত ধ্বনি বা ধ্বনিসমষ্টিকেই অক্ষর বলে।”
See lessঅনুকরণ ও অনুসরণ এর মধ্যে মৌলিক কোনো পার্থক্য আছে কি?
অনেক ক্ষেত্রে ‘অনুসরণ’ ও ‘অনুকরণ’ শব্দ দুটিকে সমার্থক হিসেবে ব্যবহার করা যায়। তবে শব্দ দুটির বিশদ ব্যবহারে কিছুটা পার্থ্যক্য রয়েছে। অনুকরণ হচ্ছে ‘অনুরূপ-করণ’। সাধারণত কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান যে রকম কাজ করে, ঠিক একই রকম কাজ করাই হচ্ছে অনুকরণ। অর্থাৎ, ‘নকল’ বা ‘সদৃশীকরণ’ অর্থে ‘অনুকরণ’ শব্দটি ব্যবহRead more
অনেক ক্ষেত্রে ‘অনুসরণ’ ও ‘অনুকরণ’ শব্দ দুটিকে সমার্থক হিসেবে ব্যবহার করা যায়। তবে শব্দ দুটির বিশদ ব্যবহারে কিছুটা পার্থ্যক্য রয়েছে।
অনুকরণ হচ্ছে ‘অনুরূপ-করণ’। সাধারণত কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান যে রকম কাজ করে, ঠিক একই রকম কাজ করাই হচ্ছে অনুকরণ।
অর্থাৎ, ‘নকল’ বা ‘সদৃশীকরণ’ অর্থে ‘অনুকরণ’ শব্দটি ব্যবহার করা হয়। অনুকরণ করা ভালো নয়। এটি নেতিবাচকভাবে দেখা হয়।
পরীক্ষার হলে কারও খাতা দেখে অবিকল বা প্রায় অবিকল লেখা অনুকরণের পর্যায়ে পড়ে। আবার, কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান যে চিন্তা-চেতনা নিয়ে কাজ করে, সেই চিন্তা-চেতনা অনুকরণ করাই হচ্ছে ‘অনুসরণ’।
অনুসরণ, শিক্ষক-শিক্ষার্থীর সম্পর্ক দিয়েও কিছুটা ব্যাখ্যা করা যায়। ‘অনুগমন’ অর্থে ‘অনুসরণ’ শব্দটি ব্যবহার করা হয়।
অনুসরণ, চিন্তার সঙ্গে নতুন চিন্তা যুক্ত করে। তাই এটি ইতিবাচক। উত্তরটি ভাল লাগলে অবশ্যই ভোট করবেন। ধন্যবাদ।
See less