বাংলাদেশের বাজারে কিছু ভারতীয় পণ্য ও প্রতিষ্ঠানের তালিকা- প্রতিষ্ঠান: কিংফিশার এয়ারটেল এয়ার ইন্ডিয়া জেট এয়ারওয়েজ প্রসাধনী: লেকমে হিমালয়া অটোমোবাইল: বাজাজ টাটা মাহিন্দ্রা হিরো মারুতী জীবন-যাপন: টাইটান এপোলো গ্রুপ তাজ গ্রুপ গোদরেজ সামগ্রী সিনথল প্যারাসুট (মারিকো গ্রুপ) খাবার: কিসান বারিস্তা কোযRead more
বাংলাদেশের বাজারে কিছু ভারতীয় পণ্য ও প্রতিষ্ঠানের তালিকা-
প্রতিষ্ঠান:
- কিংফিশার
- এয়ারটেল
- এয়ার ইন্ডিয়া
- জেট এয়ারওয়েজ
প্রসাধনী:
- লেকমে
- হিমালয়া
অটোমোবাইল:
- বাজাজ
- টাটা
- মাহিন্দ্রা
- হিরো
- মারুতী
জীবন-যাপন:
- টাইটান
- এপোলো গ্রুপ
- তাজ গ্রুপ
- গোদরেজ সামগ্রী
- সিনথল
- প্যারাসুট (মারিকো গ্রুপ)
খাবার:
- কিসান
- বারিস্তা
- কোয়ালিটি
- ব্রিটানিয়া
- ডাবর
উপরোক্ত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের একাধিক পণ্য জীবন-যাপনের নানা ক্ষেত্রে ব্যবহার হয়ে থাকে, তাই একাধিক পণ্য উৎপাদনকারী কিছু প্রতিষ্ঠানের নাম সরাসরি দেওয়া হলো, আলাদা আলাদা ভাবে পণ্যগুলোর নাম উল্লেখ না করে।
ভারতীয় বাজারে বাংলাদেশের কিছু শক্তিশালী পণ্য উত্পাদনকারী সংস্থা ও প্রতিষ্ঠান-
- প্রাণ
- কেয়া
- জিএমজি এয়ারলাইনস
- ইউনাইটেড এয়ারলাইনস
- রিজেন্ট এয়ারলাইনস
- বেক্সিমকো
- নাভানা
- স্কয়ার
- গ্রামীন
- রহিম-আফরোজ
- আড়ং
- একমে
- ইনসেপটা
- প্রাইড
- ওয়ালটন
প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য।
See less
সফল ব্যবসায়ী হওয়ার জন্য আপনাকে পরামর্শ দেয়ার মতো বিজ্ঞ আমি এখনো হয়ে উঠিনি। বই পড়ে, পডকাস্ট শুনে, ব্লগ পড়ে, অনলাইন কোর্স করে, ইউটিউবে লেকচার দেখে আমি যা শিখেছি তাই কেবল ভাগাভাগি করতে পারি। ১। পড়ার ও শেখার মানসিকতা তৈরি করতে হবে। এটাই সবথেকে বেশি দরকার। আগে শেখার মানসিকতা তৈরি করতে হবে। তারপর প্রচুর পRead more
সফল ব্যবসায়ী হওয়ার জন্য আপনাকে পরামর্শ দেয়ার মতো বিজ্ঞ আমি এখনো হয়ে উঠিনি। বই পড়ে, পডকাস্ট শুনে, ব্লগ পড়ে, অনলাইন কোর্স করে, ইউটিউবে লেকচার দেখে আমি যা শিখেছি তাই কেবল ভাগাভাগি করতে পারি।
১। পড়ার ও শেখার মানসিকতা তৈরি করতে হবে।
এটাই সবথেকে বেশি দরকার। আগে শেখার মানসিকতা তৈরি করতে হবে। তারপর প্রচুর পরিমাণে পড়ুন। আমাদের একরকম ধারণা থাকে, গ্রাজুয়েশন শেষ মানে পড়াও শেষ। এরপর আমরা চাকরি বা ব্যবসা, যাই করি না কেন, কেউই আর পড়তে চাই নf। লাইব্রেরির পথ ভুলে বসি।
কিন্তু আরেকটু পড়লে দু-একটা স্কিল বাড়ালে যে আমরা চাকরিতে একটা প্রমোশন পেতে পারি বা ব্যবসায় আরেকটু লাভ করতে বা ব্যবসাটা বড় করতে পারি, সেটা একবার ভাবতেও চায় নে।
পড়ার অভ্যাস তৈরি করুন। শুধু পড়লেই হবে না, যা পড়বেন তার থেকে শিখতে হবে। আপনার আগ্রহের বিষয়ের উপর-
২। শেখা বিষয়গুলো কাজে লাগান।
আপনি কতটা জানেন সেটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে- জ্ঞান কতটা কাজে লাগাচ্ছেন,কি অ্যাকশান নিচ্ছেন।
সারাদিন বই পড়েই যাচ্ছেন, সেমিনার থেকে সেমিনারে ঘুরে বেড়াচ্ছেন, ইউটিউবে মোটিভেশনাল ভিডিও দেখতে দেখতে মাথা খারাপ করে ফেলছেন অথচ একটাও স্টেপ নিচ্ছেন না, তাহলে ফলাফল কিন্তু যেই লাউ সেই কদু। আপনি যেই মক্কেল ছিলেন, সেই মক্কেলই রয়ে যাবেন।
নিজের মাইন্ড সেটআপ করে নিন, এক ঘণ্টা যা পড়বেন, পরের তিন ঘণ্টা তার উপর অনেক অ্যাকশান নিবেন।
৩। ভ্যালু দিতে শিখুন।
আপনার ফলের দোকান আছে। ক্রেতা এসে আপনাকে টাকা দিচ্ছে আর আপনি ফল দিচ্ছেন।
আপনাকে ক্রেতা কেন টাকা দিচ্ছে?
আপনি তাকে ফল দিচ্ছেন বলে?
একদমই না। ক্রেতা আপনাকে টাকা দিচ্ছে, কারণ আপনি তাকে ভ্যালু দিচ্ছেন। ফলটা খেয়ে ক্রেতা যতটা উপকার পাবে, সেটাই আপনি তাকে ভ্যালু হিসেবে দিচ্ছেন।
জিম রন বলেছিলেন, “আমরা টাকা পায়, অপরকে ভ্যালু দেয়ার জন্য”।
আপনি স্কুল শিক্ষক হলে, পড়ানোর মাধ্যমে ভ্যালু দিচ্ছেন, আপনার মাসিক আয় ১৫ হাজার টাকা হলে—আপনি ১৫ হাজার টাকার ভ্যালু দিচ্ছেন। আমরা যে যাই করি না কেন, অপরকে যে ভ্যালু দিবো, তার বিনিময়ে আমরা টাকা পাবো।
অপরকে ভ্যালু দিতে শিখুন। কিকরে আরো বেশি ভ্যালু দিতে পারেন তা খুঁজে বের করুন। কোটিপতি হলে চাইলে, কোটি টাকার কোনো সমস্যা সমাধান করুন, কোটি টাকার ভ্যালু দিন।
যত বেশি ভ্যালু, তত বেশি অর্থ। আরো সুন্দর করে বললে, যত বেশি ভ্যালু, তত বেশি সফলতা।
৪। নিজের পিছনে বিনিয়োগ করুন।
“আপনার সেরা বিনিয়োগটা হচ্ছে আপনার নিজের উপর বিনিয়োগ” বলেছেন ওয়ারেন্ট বাফেট।
সফল হতে হলে আগে নিজের উপর বিনিয়োগ করতে শিখতে হবে।
নিজের স্বাস্থের উপর খরচ করুন। স্বাস্থ্যবান হওয়ার জন্য যা যা করা দরকার করুন, জিমে যান, পুষ্টিকর খাবার খান, প্রশিক্ষক রাখুন।
নিজের জ্ঞান বাড়াতে বই কিনুন (আশেপাশে লাইব্রেরী থাকলে, একটা কার্ড করে নিতে পারেন), সেমিনারে যান, অনলাইন কোর্স করুন, ভালো ভালো ব্লগে সাবস্ক্রাইব করুন।
সম্পর্ক ঠিক রাখতে পরিবার, বন্ধুদের সাথে নিয়মিত কিছু সময় কাটান, আত্মীয়স্বজনদের খোঁজ খবর রাখুন, নতুন নতুন মানুষের সাথে মিশুন।
বিনিয়োগ শব্দটা শুনেই আবার ভাববেন না, খুব খরচা করতে হবে। ইন্টারনেটের এই যুগে ফ্রী ম্যাটেরিয়ালসের সৎব্যবহার করেই অনেক দূর আগাইতে পারবেন।
৫। মেন্টর।
আপনি কার থেকে শিখছেন সেটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
আপনার সফল হতে এক বছর লাগবে নাকি দশ বছর লাগবে, তা নির্ধারণ করে দেয় আপনাকে কে মেন্টরিং করছে।
“অল গ্রেট পিপল ওয়্যার গ্রেট ফলোয়ার” অর্থ্যাৎ আগে ফলোয়ার হতে হবে। আপনার কর্মক্ষেত্রে যাকে সফল মনে করেন, যার মতো হতে চান, তাকে মেন্টর করে নিন (এতো বড় সফল ব্যক্তি আপনাকে মেন্টরিং করবে কিনা, এই নিয়ে ভেবে সময় নষ্ট করবেন না। ভয় না করে তাকে গিয়ে বলে ফেলুন। সফল ব্যাক্তিরা অন্যকে শেখানোর মানসিকতা রাখে, আপনি বললেই হয়তো দেখবেন লোকটা আপনাকে শেখাতে রাজী হবে)।
তার প্রতিটা স্টেপ অনুসরণ করতে থাকুন, একদিন আপনিও তার মতো সফল হয়ে উঠবেন (একজন ভালো মেন্টর চাইবে আপনি তাকেও ছাড়িয়ে যান, আপনাকে সেভাবেই শেখাবে)।
See less