বিজ্ঞানের ভাষায়, পদার্থ মানেই যাহার অবস্থান, ভর ও ওজন আছে এবং যাহা কিছু না কিছু জায়গা দখল করে। পদার্থ দৃশ্যমান এবং অদৃশ্যমান দুটোই হতে পারে। পদার্থের ক্ষুদ্রতম অংশ খালি চোখেতো দূরের কথা শক্তিশালী অনুবীক্ষণ যন্ত্রের সাহায্যেও ভালভাবে দৃশ্যমান নয়। এমন অনেক কিছুই পদার্থ হিসেবে প্রমাণিত সত্য। কিন্তু অপদRead more
বিজ্ঞানের ভাষায়, পদার্থ মানেই যাহার অবস্থান, ভর ও ওজন আছে এবং যাহা কিছু না কিছু জায়গা দখল করে। পদার্থ দৃশ্যমান এবং অদৃশ্যমান দুটোই হতে পারে। পদার্থের ক্ষুদ্রতম অংশ খালি চোখেতো দূরের কথা শক্তিশালী অনুবীক্ষণ যন্ত্রের সাহায্যেও ভালভাবে দৃশ্যমান নয়। এমন অনেক কিছুই পদার্থ হিসেবে প্রমাণিত সত্য।
কিন্তু অপদার্থ মানে কি?
এর যদি কোন নির্দিষ্ট সংজ্ঞা খুঁজতে যান, তাহলে কিন্তু আপনাকে কেউ তেমন সঠিক ভাবে বলতে পারবে না।
অথচ বাক্য বিন্যাসের মারপ্যাঁচে আমরা সহজেই অপদার্থের উদাহরণ টানতে পারি। অপদার্থ বানাতে পারি। আমার আয় কম। ঘুষ খেতে পারিনা তাই আমি অপদার্থ। আমার গাড়ী নেই বাড়ী নেই তাই প্রবাহমান সংসারের দৃষ্টিকোণ থেকে আমি অপদার্থ। ছেলেটা ভাল রেজাল্ট করতে পারলো না, বাবা মায়ের চোখে ছেলেটা অপদার্থ। মেয়ে বিয়ে দিল অথচ জামাই ঠিক মত শাড়ী গয়না দিতে পারে না, জামাইটা একটা অপদার্থ। কাজের ছেলেটা বা বুয়াটা ঠিক মত কাজ সামলাতে পারে না, তাই তারাও অপদার্থ। সরকার দেশ চালাতে পারেনা তাই সরকার একটা অপদার্থ। আরও অনেক অনেক অপদার্থকে আমরা অনায়াসে চিহ্নিত করতে পারি। উদাহরণ টানতে পারি। কিন্তু কথা হলো তারা অপদার্থ কেন? তাদের দোষটা কোথায়? কিসের ভিত্তিতে তারা অপদার্থ এর সঠিক ব্যাখা কে দেবে?
আসল কথা হলো, আমরা আমাদের পারিপার্শিক ও পারষ্পারিক অবস্থানের ভিত্তিতে সমাজের যে চেহারাটা দেখছি এবং আমাদের চোখের সামনে প্রতিনিয়ত যা ঘটছে এবং যে পরিবর্তনগুলো অহরহ ঘটে যাচ্ছে তাতে করে আমরা নিজেদের মনের মধ্যে একটা কাল্পনিক অবস্থান সূচক বা স্টান্ডার্ড ইনডেক্স তৈরী করে নিয়েছি, যার ভিত্তিতে আমরা কথায় কথায় অপদার্থ বলি। আর এটাই হলো আমাদের পদার্থ হওয়া না হওয়ার মাপকাঠি।
See less
শহরের রাস্তায় ট্রাফিক লাইট যে ক্রম অনুসারে জ্বলে তা হলো- লাল > হলুদ >সবুজ > হলুদ > লাল। রাস্তার মোড়ে মোড়ে ট্রাফিক বাতির সংকেত। লাল বাতি জ্বলতে দেখে গাড়িগুলো থামে। হলুদ বাতি দেখলে অপেক্ষা করে। আল জ্বলন্ত সবুজ বাতি দেখে অবাধে এগিয়ে চলে। লাল আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য সবচেয়ে বেশি। তাই এটা অনেক দূর থRead more
শহরের রাস্তায় ট্রাফিক লাইট যে ক্রম অনুসারে জ্বলে তা হলো- লাল > হলুদ >সবুজ > হলুদ > লাল।
রাস্তার মোড়ে মোড়ে ট্রাফিক বাতির সংকেত।
লাল আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য সবচেয়ে বেশি। তাই এটা অনেক দূর থেকেও দেখা যায়। সেই বিবেচনায় লাল অন্যান্য রঙের তুলনায় এগিয়ে। হলুদ রঙের আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য লালের চেয়ে কিছুটা কম, তবে সবুজের মতো এতটা কম নয়, সে কারণেই এটি বেছে নেওয়া হয়েছে।
See less