Sign Up to our social questions and Answers Engine to ask questions, answer people’s questions, and connect with other people.
Login to our social questions & Answers Engine to ask questions answer people’s questions & connect with other people.
আপনার পাসওয়ার্ড ভুলেগেছেন? তাহলে আপনার ইমেইল এড্রেসটি লিখুন।প্রথমত, একটি কনফার্মেশন লিঙ্ক সহ ইমেইল যাবে উক্ত লিঙ্কে ক্লিক করে কনফার্ম করতে হবে।দ্বিতীয়ত, আরও একটা মেইল যাবে, যেখানে আপনার নতুন পাসওয়ার্ড উল্লেখ করা থাকবে, সেই পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে আপনি লগিন করতে পারবেন।(বিঃদ্রঃ আপনার ইনবক্সে মেইল না পৌঁছালে স্প্যাম ফোল্ডার চেক করুন।)
Please briefly explain why you feel this question should be reported.
Please briefly explain why you feel this answer should be reported.
Please briefly explain why you feel this user should be reported.
ফ্যান আস্তে ঘুরলে যে বিল আসে, জোরে ঘুরলেও কি সেই একই বিল আসে!?
আপনি যদি ইলেকট্রনিক রেগুলেটর ব্যবহার করেন তাহলে ফ্যান আস্তে ঘুরলে বিদ্যুৎ খরচ কম হবে এবং জোরে ঘুরলে বিদ্যুৎ খরচ বেশি হবে, এতে বিদ্যুৎ বিল কম বেশি হবে। তবে যদি রেজিস্ট্রার টাইপ রেগুলেটর ব্যবহার করেন তাহলে বিদ্যুৎ বিল সর্বদায় একই হবে।
আপনি যদি ইলেকট্রনিক রেগুলেটর ব্যবহার করেন তাহলে ফ্যান আস্তে ঘুরলে বিদ্যুৎ খরচ কম হবে এবং জোরে ঘুরলে বিদ্যুৎ খরচ বেশি হবে, এতে বিদ্যুৎ বিল কম বেশি হবে। তবে যদি রেজিস্ট্রার টাইপ রেগুলেটর ব্যবহার করেন তাহলে বিদ্যুৎ বিল সর্বদায় একই হবে।
See lessকুরআনের প্রথম বাংলা অনুবাদক আসলে কে?
কুরআনের প্রথম বাংলা অনুবাদক আসলে কে: সর্বপ্রথম বাংলা ভাষায় কুরআন শরীফের আংশিক অনুবাদ করেন মাওলানা আমীরুদ্দীন বসুনিয়া ১৮০৮ সালে। এরপর বাংলা ভাষায় কুরআন শরীফের পূর্ণাঙ্গ অনুবাদ করেন মৌলভী নাঈমুদ্দীন ১৮৩৬ সালে। গিরিশ চন্দ্র সেন শুধু উক্ত অনুবাদকে পুস্তক আকারে সন্নিবেশ করেছে, গিরিশ চন্দ্র হচ্ছে প্রকাRead more
কুরআনের প্রথম বাংলা অনুবাদক আসলে কে: সর্বপ্রথম বাংলা ভাষায় কুরআন শরীফের আংশিক অনুবাদ করেন মাওলানা আমীরুদ্দীন বসুনিয়া ১৮০৮ সালে। এরপর বাংলা ভাষায় কুরআন শরীফের পূর্ণাঙ্গ অনুবাদ করেন মৌলভী নাঈমুদ্দীন ১৮৩৬ সালে। গিরিশ চন্দ্র সেন শুধু উক্ত অনুবাদকে পুস্তক আকারে সন্নিবেশ করেছে, গিরিশ চন্দ্র হচ্ছে প্রকাশক। তাও অনেক পরে, ১৮৮৬ সালে।
সুতরাং কুরআন শরীফের প্রথম বাংলা অনুবাদক গিরিশ চন্দ্র নয়, বরং মৌলভী নাঈমুদ্দীনই পূর্ণাঙ্গ কুরআন শরীফের প্রথম বাংলা অনুবাদক। আর মাওলানা আমীরুদ্দীন বসুনিয়া হলেন বাংলা ভাষায় প্রথম কুরআন শরীফের আংশিক অনুবাদক।
গিরিশ চন্দ্র সেনের জন্ম ১৮৩৫ সালে এবং মৃত্যু ১৯১০ সালে। গিরিশ চন্দ্রের জন্মেরও আগে অর্থাৎ ১৮০৮ সালে কুরআন শরীফের বাংলায় অনুবাদের কাজ শুরু করেন মাওলানা আমীর উদ্দীন বসুনিয়া। এরপর গিরিশ চন্দ্র সেনের জন্মের একবছর পরই অর্থাৎ ১৮৩৬ সনে মৌলভী নাঈমুদ্দীন পূর্ণাঙ্গ কুরআন শরীফের বাংলা অনুবাদ সম্পন্ন করেন। আরবি জানেনা, আরবি ব্যাকরণ জানেনা এমন ব্যাক্তি কুরআন অনুবাদ করেছে এমন প্রচার মুর্খতা ছাড়া আর কিছুই নয়।
বাংলা ভাষাভাষীদের মধ্যে ব্যাপকভাবে প্রচলিত আছে যে, গিরীশ চন্দ্র সেন আল কুরআনের প্রথম বাংলা অনুবাদক। এ প্রচারণার কিছু কারণ ছিল।
বৃটিশ আমলে এদেশে ব্রাহ্মধর্মের একটা জোয়ার এসেছিল। গোঁড়া হিন্দু গিরীশ চন্দ্র সেন এক সময় হিন্দু ধর্ম ত্যাগ করে ব্রহ্মধর্ম গ্রহণ করে। ব্রাহ্মধর্ম এ দেশে ছিল একটি নতুন ধর্মমত। তাই এ ধর্মমত আপামর জনসাধারণের মধ্যে প্রচারের জন্য গিরীশ চন্দ্র নিজে উদ্যোগী হল। কিন্তু অর্থকড়ির তো প্রয়োজন। সেটা আসবে কোত্থেকে!? সে ফারসী ভাষায় পন্ডিত ছিল। মুসলমানদের পকেট থেকে টাকা বের করার জন্য বেশ কিছু ইসলামী বই রচনা করল এবং সেই সাথে পবিত্র আল কুরআনের প্রকাশ করল প্রকাশক হয়ে। মুসলমানরা এ বই কিনলোও প্রচুর। ফলে বাংলা ভাষাভাষী যারাই কুরআন শরীফের বঙ্গানুবাদ হাতে পেতে চাইলো তাদের হাতে পৌঁছে গেল তার অনূদিত কুরআন শরীফ। এ ব্যাপারে তাঁকে ব্রাহ্মসমাজ হিন্দু ব্যক্তিবর্গ এমন কি বৃটিশরাও যথেষ্ট সহযোগিতা করেছে। ফলে মানুষ মনে করেছে পবিত্র কুরআন শরীফের প্রথম বঙ্গানুবাদকারী হচ্ছেন গিরীশ চন্দ্র সেন । আসলে পবিত্র কুরআনের প্রথম বঙ্গানুবাদকারী যে মৌলবী মোহাম্মদ নঈমউদ্দীন সে কথা অল্প কিছু লোক জানলেও ব্যাপকভাবে প্রচার করার সুযোগ আসেনি।
গিরীশ চন্দ্র কুরআনের অনুবাদ বিক্রি করে যে অর্থ লাভ করত তা সে ব্যয় করতো ব্রহ্মধর্ম প্রচার কাজে। ফলে ব্রাহ্মধর্ম প্রচারের মিশনের সাথে কুরআন বিক্রয়ের একটা গভীর সম্পর্ক ছিল।
মৌলবী মোহাম্মদ নঈম উদ্দীন ছিলেন একজন মুসলমান। তিনি স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে আল কুরআনের বঙ্গানুবাদ করেছিলেন। তা প্রচারের জন্য গিরীশ চন্দ্র সেনের মতো কোনো মিশন ছিল না । যার কারণে তার প্রচার প্রসার ছিল সীমিত। এমনি করেই আল কুরআনের প্রথম বঙ্গানুবাদকারী হয়েও মৌলবী মোহাম্মদ নঈমউদ্দীন, গিরীশ চন্দ্র সেনের মতো প্রচার পেতে পারেন নাই।
See lessকাকে বাংলা ভাষার রক্ষাকর্তা বলা হয়?
ইখতিয়ার উদ্দিন মুহম্মদ বখতিয়ার খিলজিকে বাংলা ভাষার রক্ষাকর্তা বলা হয়। হাজার বছর আগে বাঙ্গালি জাতির মুখের ভাষা ‘বাংলা’কে কেড়ে নিয়েছিল দক্ষিণ ভারত থেকে আগত সেন রাজারা। সেন রাজাদের হিন্দু পণ্ডিতরা নির্দেশ জারি করেছিল, ‘যারা বাংলা ভাষা বলবে ও শুনবে তারা রৌরব নামক নরকে যাবে।’ ওই সময় তুর্কি বংশোদ্ভূRead more
ইখতিয়ার উদ্দিন মুহম্মদ বখতিয়ার খিলজিকে বাংলা ভাষার রক্ষাকর্তা বলা হয়।
হাজার বছর আগে বাঙ্গালি জাতির মুখের ভাষা ‘বাংলা’কে কেড়ে নিয়েছিল দক্ষিণ ভারত থেকে আগত সেন রাজারা। সেন রাজাদের হিন্দু পণ্ডিতরা নির্দেশ জারি করেছিল, ‘যারা বাংলা ভাষা বলবে ও শুনবে তারা রৌরব নামক নরকে যাবে।’ ওই সময় তুর্কি বংশোদ্ভূত ইখতিয়ার উদ্দিন মুহম্মদ বখতিয়ার খিলজি নির্যাতিত বাঙালিদের মুক্ত করতে এগিয়ে আসেন এবং ১২০৪ খ্রিষ্টাব্দে মাত্র ১৮ জন ঘোড়সওয়ারি নিয়ে সেন রাজাকে পরাজিত করে বাংলাকে স্বাধীন করেন। বক্তারা বলেন, ইখতিয়ার উদ্দিন মুহম্মদ বখতিয়ার খিলজির বাংলা বিজয়ের মাধ্যম সেই দিন শুধু ভূমির বিজয় হয়নি, সঙ্গে মুক্ত হয়েছিল বাঙ্গালিদের মুখের ভাষা ‘বাংলা’।
মধ্যযুগে মুসলিম শাসকদের রাজকীয় পৃষ্ঠপোষকতায় বাংলা ভাষার যে সাহিত্যচর্চা শুরু হয়, তার মাধ্যমে বাংলা ভাষা একটি পরিপূর্ণ ভাষা হিসেবে আত্মপ্রকাশের যোগ্যতা অর্জন করে।
বাংলা ভাষাকে কলুষিত করার চেষ্টা যুগে যুগে আরও হয়। ১৮০০ সনে ব্রিটিশরা কলকাতায় ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ প্রতিষ্ঠা করে বাংলা ভাষার আরবি ও ফারসি শব্দ বাদ দিয়ে সংস্কৃত শব্দ প্রবেশের উদ্দেশ্যে সাহিত্যচর্চা শুরু করে। তারা দেখাতে চায়—বাংলা ভাষার সঙ্গে মুসলমানদের কোনো সম্পর্ক নেই।
মুসলিমদের হেয় প্রতিপন্ন করতে প্রচার করা হয়, বাংলা ভাষায় প্রথম কুরআন মাজিদ অনুবাদ নাকি গিরিশ চন্দ্র সেন করেছেন। অথচ ১৮৮৬ খ্রিষ্টাব্দে গিরিশ চন্দ্র সেনের অনুবাদের বহু আগে ১৮০৮ খ্রিষ্টাব্দে বাংলা ভাষায় কুরআন মাজিদের আংশিক অনুবাদ করেন মাওলানা আমিরুদ্দিন বসুনিয়া। এরপর ১৮৩৬ খ্রিষ্টাব্দে মৌলবি নাঈমুদ্দিন পূরো কুরআনের বাংলা অনুবাদ সম্পন্ন করেন। অথচ এ ইতিহাস প্রচার করা হয় না।
[সূত্র: খন্দকার কামরুল হুদা, স্বাধীনতা সংগ্রাম ও শেখ মুজিব, ১৯৯৫, পৃ. ৩২, বাংলাপিডিয়া]
See lessইমাম আবু দাউদ (র) কবে ও কোথায় জন্ম গ্রহণ করেন?
নাম-সুলায়মান, উপাধি-আবূ দাউদ, পুরো নাম- সুলায়মান ইবনে আশআছ সিজিস্তানী। তাঁর জন্মভূমিকান্দাহারের নিকটবর্তী সিজিস্তান। তিনি ২০২ হিজরিতে জন্মগ্রহণ করেন। শিক্ষা ও হাদিস অনুসন্ধানার্থে ইমাম আবু দাউদ (র) বহু দেশ সফর করেন। ইরাক, খোরাসান, সিরিয়া, হিজাজ, মিসর ও আরবের অন্যান্য দেশের মুহাদ্দিসগণের নিকট তিনিRead more
নাম-সুলায়মান, উপাধি-আবূ দাউদ, পুরো নাম- সুলায়মান ইবনে আশআছ সিজিস্তানী। তাঁর জন্মভূমিকান্দাহারের নিকটবর্তী সিজিস্তান। তিনি ২০২ হিজরিতে জন্মগ্রহণ করেন। শিক্ষা ও হাদিস অনুসন্ধানার্থে ইমাম আবু দাউদ
(র) বহু দেশ সফর করেন। ইরাক, খোরাসান, সিরিয়া, হিজাজ, মিসর ও আরবের অন্যান্য দেশের মুহাদ্দিসগণের নিকট তিনি হাদিস শুনেছেন। তিনি ইমাম বুখারী (র)-এর সমসাময়িক। তাঁর প্রসিদ্ধ উস্তাদ হলেন- ইমাম আহমাদ ইবনে হাম্বল (র), ইবনে মুঈন (র), উসমান ইবনে আবূ শাইবা (র), কুতাইবা (র), কানাবী (র) ও তায়ালুসী (র) প্রমুখ। ইমাম আবু দাউদ (র) তাঁর উস্তাদগণের থেকে পাঁচ লাখ হাদিস লিখেন। ইমাম তিরমিযি (র), ইমাম নাসায়ি (র) ও ইমাম আহ্মাদ ইবনে খিলাল (র) তাঁর নিকট হাদিস শুনেছেন। তাঁর পুত্র আব্দুল্লাহ লু’লুভী ইবনুল আরাবি এবং ইবনে ওয়াসা (র) প্রমুখ তাঁর মশহুর শিষ্য।
ইমাম আবূ দাউদ (র) ছিলেন উঁচুস্তরের হাদিসের হাফিয। ইবাদাত, আত্মশুদ্ধি ও ফাত্ওয়ার অলংকার দ্বারা তাঁর জীবন ছিল সুসজ্জিত। বহুবার বাগদাদ এসেছিলেন। বসরায় তিনি স্থায়িভাবে বসবাস করতেন। ১৫ শাওয়াল ২৭৫ হিজরিতে তিনি ইন্তেকাল করেন। তাঁর প্রসিদ্ধ কিতাব হলো সুনানে আবু দাউদ ও মারাসীল।
See lessইমাম ইবনে মাজাহ (র) কবে ও কোথায় জন্ম গ্রহণ করেন?
নাম-মুহাম্মাদ, উপনাম-আবূ আব্দুল্লাহ, পুরো নাম- মুহাম্মাদ ইবনে ইয়াযিদ ইবনে আব্দুল্লাহ ইবনে মাজাহ আল-কাযভীনী। দাইলাম এলাকার কাযভীন তাঁর বাসভূমি। তাঁর জন্ম ২০৯ হিজরিতে। হাদিস সন্ধানের অদম্য আগ্রহে তিনি ইরাক, বসরা, কুফা, বাগদাদ, সিরিয়া, মিসর ও হিজায যান এবং অসংখ্য হাদিস লিখেন। তিনি হাদিসের ইমাম এবং বিRead more
নাম-মুহাম্মাদ, উপনাম-আবূ আব্দুল্লাহ, পুরো নাম- মুহাম্মাদ ইবনে ইয়াযিদ ইবনে আব্দুল্লাহ ইবনে মাজাহ আল-কাযভীনী। দাইলাম এলাকার কাযভীন তাঁর বাসভূমি। তাঁর জন্ম ২০৯ হিজরিতে। হাদিস সন্ধানের অদম্য আগ্রহে তিনি ইরাক, বসরা, কুফা, বাগদাদ, সিরিয়া, মিসর ও হিজায যান এবং অসংখ্য হাদিস লিখেন। তিনি হাদিসের ইমাম এবং বিখ্যাত হাফিয ছিলেন। জাব্বরাহ ইবনুল মুগাল্লিস (র) প্রমুখ থেকে তিনি হাদিস শ্রবণ করেছেন। তাঁর শিষ্যদের মধ্যে আবুল হাসান কাত্তান (র) ও ঈসা ইবনে আবহার (র) প্রমুখ প্রসিদ্ধ।
তাঁর গুরুত্বপূর্ণ লেখা হলো সুনানে ইবনে মাজাহ, যা সিহাহ সিত্তাহর অন্তর্ভুক্ত। এ কিতাবটির ব্যাপক চর্চা হচ্ছে। এ কিতাবটি বিশ্বের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সমানভাবে সমাদৃতও হয়েছে। তিনি ২৭৩ হিজরির ২২ রমযান ইন্তেকাল করেন।
হাদিস বিজ্ঞানের আরো দু’জন মহামনীষী হলেন- ইমাম নাসায়ি ও ইমাম ইবনে মাজাহ (র)। তাঁদের দু’জনের সংকলিত দু’খানি গ্রন্থ ও সিহাহ সিত্তার উন্তর্ভুক্ত।
See lessঅ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কী? অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় করার উপায় কী?
নিজের ক্যারিয়ার গড়ে তোলার জন্য যারা অনলাইনে জব কিংবা ফ্রি-ল্যান্সিং করে আয় করতে চান তাদের জন্য অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং একটি অন্যতম মাধ্যম। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় করা মোটামুটি সহজই বলা চলে। তাহলে আমরা প্রথমেই জেনে নেই- (১) অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কি? একজন অ্যাফিলিয়েটর হিসেবে আপনার কাজ হচ্ছেRead more
নিজের ক্যারিয়ার গড়ে তোলার জন্য যারা অনলাইনে জব কিংবা ফ্রি-ল্যান্সিং করে আয় করতে চান তাদের জন্য অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং একটি অন্যতম মাধ্যম। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় করা মোটামুটি সহজই বলা চলে।
তাহলে আমরা প্রথমেই জেনে নেই-
(১) অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কি?
একজন অ্যাফিলিয়েটর হিসেবে আপনার কাজ হচ্ছে কোন একটা নির্দিষ্ট প্রোডাক্ট বা ওয়েবসাইট লিংক প্রমোট করা। অর্থাৎ আপনি যখন কোন সংস্থার বা কোম্পানির প্রোডাক্ট প্রচার করেন তখন কেউ যদি আপনার অ্যাফিলিয়েট লিংক এ ক্লিক করে বা এর মাধ্যমে কোন প্রোডাক্ট ক্রয় করে, তখন প্রত্যেকটি ক্লিক বা ক্রয়ের জন্য অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার হিসেবে আপনি নির্দিষ্ট পরিমাণ কমিশন পাবেন। অর্থাৎ, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং থেকে আপনি আয় করতে পারবেন। এটিই হচ্ছে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং।
(২) অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর সুবিধা
▣ অ্যাফিলিয়েটর হওয়ার জন্য কোন টাকা খরচ করতে হয় না। ফ্রিতেই একজন অ্যাফিলিয়েটর হিসেবে আপনি নিজেকে দাঁড় করাতে পারবেন।
▣ পর্যাপ্ত আয় করা যায়।
▣ আপনাকে নিজের পণ্য তৈরি করতে এবং তালিকা ম্যানেজ করতে হবে না।
▣ আপনি নিজেই নিজের মালিক। আপনি আপনার ইচ্ছে অনুযায়ী যেকোনো সময় কাজ করতে পারেন। এর জন্য নির্ধারিত কোন সময় নেই। আপনি চাইলে যতদিন খুশি ছুটি কাটাতে পারেন।
▣ আপনি আপনার পছন্দ অনুযায়ী প্রোডাক্ট প্রচার করতে পারবেন।
▣ কম খরচেই শুরু করা যায় ।এর জন্য অল্প বিনিয়োগ দরকার।
▣ কোনো ঝুঁকি নেই।
▣ যেকোনো জায়গায় বসে আপনি কাজ করতে পারবেন৷
▣ এটি ব্লগার, ফ্রিল্যান্সার, ব্যাচেলর, ও ব্যবসায়ীদের জন্য আদর্শ। পুরুষ এবং মহিলা উভয়ই এটি সহজেই করতে পারে ইত্যাদি।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং থেকে আয় করতে আপনাকে অত্যন্ত পরিশ্রমী ও কৌশলী হতে হবে। আপনার প্রতিটা পোস্টেই যদি বারবার লিংক দেন, তবে ভিজিটররা, আপনার বন্ধু এবং পরিবারের সদস্যারা অবশ্যই বিরক্ত হবে। তাই, সবকিছুর মধ্যে একটা ব্যালেন্স রেখে কাজ করতে হবে।
(৩) অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং থেকে আয় করার কৌশল
ওয়েবসাইট বা ব্লগ থেকে আয় করার জন্য অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের জনপ্রিয়তা দিন দিন বেড়েই চলছে। নিজের ক্যারিয়ার গড়ে তোলার জন্য অনেকেই এখন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর উপর আগ্রহী।
খুব সহজেই কীভাবে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং থেকে আয় করা যায় তার উপায়/কৌশলগুলো নিয়ে নিচে আলোচনা করা হলো।
ক) অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এ প্রবেশ করুন
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং থেকে আয় করতে চাইলে প্রথমেই আপনাকে এই মার্কেটে প্রবেশ করতে হবে। এর জন্য আপনাকে যা যা করতে হবে তা নিচে সংক্ষেপে আলোচনা করা হয়েছে।
i) বিজনেস মডেল সিলেক্ট করুন
দুই ধরনের বিজনেস মডেল আছে। যথা-
1. রিসোর্স সাইট এবং
2. রিভিউ সাইট।
আপনি যে প্রোডাক্ট বা সার্ভিস নিয়ে কাজ করতে চান, তার সাথে আপনি কতটা পরিচিত তার ওপর নির্ভর করে আপনাকে মডেল নির্বাচন করতে হবে।
▣ ব্যবসায়ীর ওয়েবসাইট, ব্যানার, অ্যাডভারটাইজমেন্ট ইত্যাদি রিসোর্স সাইটের অ্যাফিলিয়েট লিংকে দেওয়া থাকে। কাস্টমার বা ক্রেতাদের ওয়েবসাইটের প্রতি আগ্রহ বাড়ানোর জন্য এই বিজনেস মডেলটিকে সবসময় আপডেট রাখতে হয় এবং ভালো কনটেন্ট পোস্ট করতে হয়।
▣ রিভিউ সাইটে বিভিন্ন প্রোডাক্ট বা সার্ভিসের রিভিউ দেয়া থাকে। প্রতিটা প্রোডাক্ট বা সার্ভিসে রিভিউর লিংক বা ব্যানার যুক্ত থাকে।যাতে সেখান থেকে ওয়েবসাইটে খুব সহজেই কাস্টমার আসতে পারে। এই মডেলের একটা বিশেষ গুণ হচ্ছে এটাকে সচরাচর আপডেট করার প্রয়োজন পড়ে না।
ii) ওয়েবসাইট তৈরি করুন
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার হিসেবে কাজ করার জন্য আপনার নিজস্ব একটা প্ল্যাটফর্ম প্রয়োজন (যেমন- নিজস্ব ওয়েবসাইট বা ব্লগ) যেখানে আপনি আপনার ইচ্ছে মত প্রোডাক্ট বা সার্ভিসের লিংক পোস্ট এবং অ্যাডভারটাইজ করতে পারবেন। আপনার যদি একটি নিজস্ব ওয়েবসাইট বা ব্লগ থেকে থাকে তাহলে সেই প্ল্যাটফর্মকে কাজে লাগিয়ে অ্যফিলিয়েট মার্কেটার হিসেবে আপনি অতিরিক্ত আয় শুরু করতে পারেন। যদি না থাকে তাহলে এটি তৈরি করে নিতে হবে।
▣ ব্লগ এর অন্যতম সুবিধা হচ্ছে এটা ফ্রি অপারেট করা যায়। যেখানে কিছু কিছু ওয়েবসাইট ফি নিয়ে থাকে। GoDaddy.com এবং Hostgator জাতীয় সাইটগুলো স্বল্প মূল্য রাখে।
▣ একজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার হিসেবে কোন কোম্পানিতে জয়েন করতে চাইলে যারা অনলাইন মার্কেটিংয়ে বিশেষজ্ঞ সেসব কোম্পানি সিলেক্ট করা উচিত । যেমন- MoreNiche. এ কোম্পানিগুলো অ্যাফিলিয়েট মার্কেটারদের সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে নিজের প্রোডাক্ট বা সার্ভিসের অ্যাডভারটাইজ করার প্ল্যাটফর্ম তৈরি করতে সহায়তা করে।
▣ আপনার নিজস্ব ওয়েবসাইট না থাকলেও এমন অনেক ওয়েবসাইট আপনি পাবেন যেগুলো আপনাকে পে-পার-ক্লিক (PPC) হিসেবে কমিশন দিবে। এক্ষেত্রে আপনি প্রোডাক্টের এড লিংক নিজের ফেসবুকে পোস্ট করতে পারবেন। কেউ যদি সেই লিঙ্কে ক্লিক করে বা ক্লিক করে প্রোডাক্ট ক্রয় করে তার ওপর ভিত্তি করে আপনাকে নির্দিষ্ট কমিশন দেয়া হবে।যেমন- Associate Programs, Affiliates Directory, E-commerce Guide এবং Link Share অ্যাফিলিয়েট নেটওয়ার্কগুলো এ ধরনের সুযোগ সুবিধা দিয়ে থাকে।
iii) লিংক অ্যাডের জন্য সঠিক স্থান সিলেক্ট করুন
প্রায় ক্ষেত্রেই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটাররাই একটা নির্দিষ্ট স্থান বা বিশেষ সীমানা সিলেক্ট করে নেয়। যেখানে প্রাোডাক্ট বা সার্ভিসের এড দিয়ে আয় করা যায়।
▣ এমন জায়গা সিলেক্ট করবেন না যেখানে আপনি নিজেকে যথেষ্ট অভিজ্ঞ বলে মনে করেন না।তাই জায়গা সিলেক্ট করার ক্ষেত্রে এমন জায়গা সিলেক্ট করবেন যেটাতে আপনার যথেষ্ট আগ্রহ আছে।
▣ শুরু থেকেই দায়িত্ববান হওয়াটা খুব জরুরি। তাই জায়গা সিলেক্টের ক্ষেত্রে এমনটা সিলেক্ট করা উচিত যেখানে স্বাচ্ছন্দ্যে অনেক সময় কাজ করা যায়।
iv) প্রোডাক্ট বা সার্ভিস চয়েজ করে নিন
জায়গা সিলেক্ট করার পরেই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং থেকে আয় করার জন্য আপনাকে আপনার ইচ্ছে অনুযায়ী প্রোডাক্ট বা সার্ভিস সিলেক্ট করে নিতে হবে।
▣ Commission Junction কোম্পানি নতুনদের জন্য একটা ভালো প্ল্যাটফর্ম হতে পারে। কারণ এটি ঐতিহ্যবাহী প্রোডাক্ট বা সার্বিসের অ্যাডভারটাইজমেন্টে আগ্রহী।
▣ মার্কেটাররা যদি ডিজিটাল যেমন- ই-বুক, সফটওয়্যার প্রভৃতি কনটেন্টের প্রতি আগ্রহী হয় তবে তাদের উল্লিখিত কোম্পানি গুলো সিলেক্ট করে উচিত যেমন- Amazon Clickbank E-junkie এবং PayDotCom ইত্যাদি।
▣ পে-পার- ক্লিক মার্কেটিংয়ের জন্য উপযোগী হচ্ছে “Google Adsense”.অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং থেকে আয় করার জন্য পে-পার-ক্লিকে কম কমিশন পাওয়া যায়। এর একটি সুবিধা হচ্ছে , এখানে খুব একটা অ্যাকটিভ অ্যাফিলিয়েট হবার দরকার নেই।
v) অ্যাফিলিয়েটর খুঁজে নিন এবং তাদের সাথে কাজ করুন
আরো অভিজ্ঞ প্রাপ্ত হওয়ার জন্য অ্যাফিলিয়েটদের সাথে যোগাযোগ করুন। আপনার ক্যারিয়ার দাঁড় করাতে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
অ্যাফিলিয়েটদের সাথে নিম্নোক্ত উপায়ে যোগাযোগ করতে পারেন-
▣ ই-মেইলের মাধ্যমে বা বিভিন্ন ব্লগার অথবা অনলাইন মার্কেটারদের সাথে যোগাযোগ করে একে অপরের প্রোডাক্টের অ্যাডভারটাইজ দিতে পারেন।
▣ সফল অ্যাফিলিয়েটদের সাথে যেগাযোগের জন্য বিভিন্ন ফোরাম বা যৌথ যোগাযোগ অথবা অ্যাফিলিয়েট নেটওয়ার্ক (যেমন: Clickbank, Commission Junction ইত্যাদি) ব্যবহার করতে পারেন।
vi) অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামে ট্রাফিক ড্রাইভ করান
যখন আপনি একটি জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম দাঁড় করাবেন এবং বিভিন্ন নিরাপদ অ্যাফিলিয়েটদের সাথে কাজ করবেন তখন অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামে ট্রাফিক ড্রাইভ করানোর দরকার পড়বে। অনেকগুলো পদ্ধতি রয়েছে। এর মাঝে সবচেয়ে সহজ ও সফল একটি হচ্ছে, ভালো কোন একটা ব্লগ পোস্ট বা ওয়েব আর্টিকেল লিখে সাবসক্রাইবারদেরকে অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামে ইনভাইট করা।
এছাড়াও আছে-
▣ বিভিন্ন ওয়েবসাইটে ফ্রি কনটেস্টের ব্যবস্থা করা।
▣ ভাইরাল মার্কেটিং ব্যবহার করা।
▣ এর মাঝেই অনেক ট্রাফিক ড্রাইভ করা কোন ফ্রি লিংক ওয়েবসাইটে সিকিউর করা।
খ) বিজনেস ডেভলপ করা
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং থেকে ভালো আয় করতে হলে অবশ্যই ধীরে ধীরে আপনার বিজনেস ডেভলপ করতে হবে। অ্যাফিলিয়েট বিজনেসকে ভালভাবে ডেভেলপ করার জন্য নিম্নের কাজগুলো করতে পারেন-
i) নিজে স্টাডি করুন এবং অন্যান্য অ্যাফিলিয়েটদের থেকে শিখুন
একজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার হিসেবে যে কোন অনলাইন কমিউনিটি বা ফোরামে জয়েন করে আপনার অভিজ্ঞতা বাড়াতে পারেন এই অনলাইন রিসোর্সগুলোতে সম্পূর্ণ ফ্রি জয়েন করা যায়।
কয়েকটি ফ্রি রিসোর্স হলো-
▣ Digital Point
▣ aBestWeb
▣ Warrior Forum
ii) সম্পর্ক স্থাপন করুন
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং থেকে আয় করতে বা সাফল্য লাভ করার জন্য ধৈর্যের সাথে প্রচুর কাজ করতে হয়। মার্কেটারকে অবশ্যই অন্যান্য অ্যাফিলিয়েটদের সাথে একটা সুসম্পর্ক গড়ে তুলতে হয়।
▣ একেক জনের কাজের ধরন একেক রকমের হয়। তাছাড়া প্রত্যেকের সাথে যোগাযোগ রাখার মাধ্যমও ভিন্ন ভিন্ন। আপনার অ্যাফিলিয়েট পার্টনার যে ধরনের যোগাযোগ ব্যবস্থা পছন্দ করে সে সম্পর্কে আগে জেনে নিন। তারপর সকলের পছন্দের উপর প্রাধান্য দেওয়া আপনার দায়িত্বের মধ্যে পড়ে।
▣ আপনার অ্যাফিলিয়েটের কী প্রয়োজন এবং আপনার কাছ থেকে তাঁরা কী আশা করে সেগুলো আগে জানুন।
▣ আপনার পরিচিত অ্যাফিলিয়েটরা যেভাবে তাদের ওয়েবসাইট এবং সার্ভিসের উন্নতি করছে তা নিয়ে রিসার্চ করুন।
▣ আপনার প্ল্যাটফর্মটার উন্নতি করতে তাদের কাছে পরামর্শ চান।
iii) আপনার টার্গেটেড ট্রাফিক আকর্ষণ করুন
অর্থোপার্জনের মূল কাজ হ’ল লোকজনকে আপনার অ্যাফিলিয়েট সংস্থাগুলির লিঙ্কগুলিতে ক্লিক করার জন্য চাপ দেওয়া। অর্থাৎ, আপনাকে দর্শকদের আকর্ষণ করতে হবে।এজন্য কেবল নিজের ওয়েবসাইট ভিজিট করানোই যথেষ্ট নয়। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং থেকে আয় তখনি হবে যখন কেউ আপনার অ্যাফিলিয়েট লিংকে ক্লিক করবে বা ক্লিক করে প্রোডাক্ট ক্রয় করবে।
এর জন্য চারটা পদ্ধতি রয়েছে। যথা-
1. পেইড অ্যাডভারটাইজিং
2. ফ্রি অ্যাডভারটাইজিং
3. আর্টিকেল মার্কেটিং
4. ই-মেইল মার্কেটিং
▣ পেইড অ্যাডভারটাইজিং: এখানে অ্যাড কপি, গ্রাফিক্স এবং উচ্চমানের ক্লিকযোগ্য লিংকের মিশ্রণ প্রয়োজন। Google’s AdSense এক্ষেত্রে কার্যকর।
▣ ফ্রি অ্যাডভারটাইজিং: Craigslist অথবা US Free Ads এর মত ফ্রি ওয়েবসাইটে লিংক এবং অ্যাডভারটাইজমেন্টে ফ্রি আয় করা যায়। এখানে যেকেউ আপনার লিংকে ক্লিক করলে দুজনই অর্থাৎ, আপনি এবং আপনার ওয়েবসাইট ( যেমন – Craigslist) উভয় ক্ষেত্রেই কমিশন যোগ হবে।
▣ আর্টিকেল মার্কেটিং: আর্টিকেল পাবলিশের জন্য অনেক মার্কেটাররা Ezine Articles এর মতো ওয়েবসাইট ব্যবহার করে। এখানে একটা আলাদা ‘resource box’ থাকে। অন্যান্য ব্লগার বা ওয়েবসাইট এই আর্টিকেল পুনরায় পাবলিশ করলে যে মার্কেটার সর্বপ্রথম এটি পাবলিশ করেছিল সার্চ ইঞ্জিনে তার র্যাঙ্কিং হবে ওপরে।
▣ ই-মেইল মার্কেটিং: ই-মেইল মার্কেটিং এর জন্য, অ্যাফিলিয়েট ব্যবসায়ীরা ওয়েবসাইট ভিজিটরের জন্য একটি ইমেল সাবস্ক্রিপশন অপশন রাখে। এ অপশন থেকে মার্কেটার ভিজিটরদের নাম এবং ই-মেইল অ্যাড্রেস পায়। মার্কেটার এবং ভিজিটরের মধ্যে সুসম্পর্ক গড়ে তুলতে এটি সাহায্য করে।
iv) একটা পে-পার-ক্লিক (PPC) অ্যাড লিখুন
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং থেকে আয় করার জন্য পে-পার-ক্লিক সবচেয়ে সহজ উপায়। এটি একটি ব্যবসায়ীক চুক্তি। এর মাধ্যমে আপনি ব্যবসায়ীর ওয়েবসাইটে যে ক্রেতাদের পাঠাবেন তারা সেখান থেকে ক্রয় করুক বা না করুক আপনি সেখান থেকে কমিশন পাবেন।
একটা ভালো পে-পার-ক্লিক অ্যাডে যা রাখবেন-
▣ ভোক্তারা সচরাচর যেসব সমস্যার মুখোমুখি হয় সেসব সমস্যা এড করুন এবং সেটার সমাধানের বিষয়ে নজর রাখুন অথবা আপনার প্রোডাক্টের লাভজনক দিক উল্লেখ করুন।
▣ এমন কি-ওয়ার্ড ব্যবহার করুন যা ট্রাফিক ড্রাইভ করতে সাহায্য করে।
▣ এমন ভাবে পাবলিশ করুন ভোক্তা যেন নিজ থেকেই আপনার লিংকে ক্লিক করে।
v) সংখ্যার চেয়ে গুণগত মানের দিকে বেশি লক্ষ্য করুন
বেশি সংখ্যক অ্যাফিলিয়েট থাকলেই যে আপনি বেশি আয় করবেন এরকম ভাবার কোন কারণ নেই । অধিকাংশ বিশেষজ্ঞদের মতে, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ে সফল হওয়ার চাবিকাঠি হচ্ছে সঠিক অ্যাফিলিয়েটদেরকে দিয়ে প্ল্যাটফর্ম দাঁড় করানো। ওয়েবসাইট ছোট বা বড় যায় হোক না কেন, অ্যাফিলিয়েটদের সাথে সুসম্পর্ক রাখাটাই হচ্ছে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
গ) আপনি কী আশা করছেন সেটা জানুন
আপনি যদি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং থেকে আয় করতে চান তাহলে প্রথমেই আপনাকে আপনার টার্গেট সেট করে নিতে হবে। অর্থাৎ আপনি কী কী আশা করেন, কি করবেন , কিভাবে কাজ করবেন ইত্যাদি ঠিক করে নিতে হবে। এক্ষেত্রে আপনি কী কী করতে পারেন নিম্নে তা নিয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করা হল-
i) বেশি পরিশ্রমী হতে আশা করুন
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ে এসে অনেকেই এক লাফে খুব দ্রুত ধনী হবার আশা করে। কিন্তু ইনকাম করা খুব সহজ নয়। বিশেষ করে প্রথম দিকে এখানে অনেক পরিশ্রমের প্রয়োজন।অনেক মার্কেটাররা সপ্তাহের ৭ দিনই দৈনিক ১২ ঘণ্টা করে পরিশ্রম ।
সবসময় খেয়াল রাখবেন, এই ক্ষেত্রটা অনেক বেশি প্রতিযোগিতামূলক এবং অনেক মার্কেটিং কোম্পানি নিজেদের মার্কেটার দিয়েই নিজেদের কোম্পানি ম্যানেজ করে।এজন্য আপনাকে অধিক পরিশ্রমী হতে হবে।
ii) এটা কীভাবে কাজ করে জানুন
একজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটারের নিজস্ব আলাদা অ্যাফিলিয়েট লিংক থাকে। এটা কাস্টমারদের ওপর কোন প্রভাব ফেলে না। এতে করে নির্ধারিত প্রোডাক্ট রেটও চেঞ্জ হয় না। কেউ যদি ওই লিংকে ক্লিক করে কোন প্রোডাক্ট ক্রয় করে তখন অ্যাফিলিয়েট সেই ক্রয়ের উপর নির্ধারিত কিছু অংশ কমিশন পাবে। অ্যাফিলিয়েটর হিসেবে আপনি কী পরিমাণ ইনকাম করতে পারবেন তা ওই প্রোডাক্টের দাম এবং কমিশন পার্সেন্টেজের ওপর নির্ভর করবে।
iii) আপনার ডেমোগ্রাফি বুঝুন
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার হিসেবে অবশ্যই আপনার একটা টার্গেট ডেমোগ্রাফি থাকবে। আপনার প্রোডাক্ট বিজ্ঞাপন এমন ভাবে দিতে হবে যেন টার্গেট ডেমোগ্রাফি সংখ্যক ভিজিটর এড দেখেই আপনার ওয়েবসাইটটি ভিজিট করে বাধ্য হয় ।
মূল কথা হচ্ছে, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং থেকে আয় করতে হলে আপনাকে হতে হবে অদিক পরিশ্রমী এবং ধৈর্যশীল। এখানে একটা ভালো প্ল্যাটফর্ম তৈরি করতে হলে অনেক সময়ের প্রয়োজন। টার্গেট অনুযায়ী অধিক পরিশ্রম এবং কৌশল অনুযায়ী কাজ করলে আপনি খুব সহজেই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং থেকে আয় করতে পারবেন।
আজ এখানেই শেষ করছি। আমার উত্তরটি পড়ে ভালো লাগলে বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না কিন্তু। আর অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং সম্পর্কে কোন কিছু জানার বা মন্তব্য থাকলে অবশ্যই কমেন্ট বক্সে জানাবেন।
See lessঅ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এ সফল হওয়ার কিছু উপায় বলবেন কি?
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এ সবাই সফল হতে চায়। অনলাইন থেকে খুব দ্রুত ও সহজে ইনকাম করার মাধ্যম হিসেবে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এখন সকলের কাছেই বেশ জনপ্রিয় হয়ে উড়েছে। সফল অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার হতে অনেকেই দইন্টারনেটের বিভিন্ন আর্টিকেল এবং টিউটোরিয়াল দেখে থাকেন। বর্তমানে অনেক ওয়েবমাস্টার তাদের ওয়েবাসাইটকেRead more
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এ সবাই সফল হতে চায়। অনলাইন থেকে খুব দ্রুত ও সহজে ইনকাম করার মাধ্যম হিসেবে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এখন সকলের কাছেই বেশ জনপ্রিয় হয়ে উড়েছে। সফল অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার হতে অনেকেই দইন্টারনেটের বিভিন্ন আর্টিকেল এবং টিউটোরিয়াল দেখে থাকেন।
বর্তমানে অনেক ওয়েবমাস্টার তাদের ওয়েবাসাইটকে শুধুমাত্র পে-পার ক্লিক (PPC) প্রোগ্রামের মধ্যে স্থির না রেখে ওয়েবসাইটে আসা ভিজিটরদের কাজে লাগিয়ে নতুন কোন পদ্ধতিতে আয় করতে আগ্রহী হচ্ছেন। এজন্যই তারা ধীরে ধীরে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর দিকে ঝুঁকে পড়ছে।
মূলত অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হচ্ছে অন্যর প্রোডাক্ট প্রমোট করার মাধ্যমে সেগুলিকে বিক্রয় করা চেষ্টা করা এবং যখন এ লিঙ্কের মাধ্যমে কোন প্রোডাক্ট বিক্রয় হবে তার বিনিময়ে নির্দিষ্ট পরিমাণ কমিশন গ্রহণ করার প্রক্রিয়া।
এক্ষত্রে আপনাকে কোন প্রোডাক্ট কেনা বা বেচার ঝামেলায় পড়তে হয় না। এমনকি নিজস্ব ই-কমার্স ওয়েবসাইট বানানোরও প্রয়োজন পড়ে না। আপনার ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ভিজিটরদের প্রোডাক্ট সম্পর্কে এমন ধারণা প্রদান করতে হবে, যাতে তারা দেখেই পণ্যটি ক্রয় করতে আগ্রহী হয়।
যদি কোন ভিজিটর আপনার ওয়েবসাইটে থাকা লিংকে ক্লিক করে কোন প্রোডাক্ট ক্রয় করে, তাহলে আপনি সেই প্রোডাক্টের জন্য নির্ধারিত অংশ কমিশন পাবেন।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এমন একটি কমিশন বেজড রেফারেল সিস্টেম যেখানে আপনাকে কোন ওয়েবসাইটের অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামে যুক্ত হতে হয় এবং বিক্রয়ের সংখার উপর ভিত্তি করে পার্সেন্টেজ গ্রহণ করতে হয়। অন্যানো সকল পেশার মতোই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এ সফল হতে চাইলে আপনাকে অনেক পরিশ্রম করতে হবে।অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের জন্য অর্থ বিনিয়োগ করাও অত্যন্ত জরুরী। এছাড়া এফিলিয়েট মার্কেটিং সম্পর্কে ধারণা থাকতে হবে।
সফল অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার হওয়ার উপায়
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এ সফল হতে হলে কিছু উপায় অবলম্বন করতে হবে। আজ আমি এ সম্পর্কে কিছু ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করব। নিম্নে কিছু উপায় দেওয়া হলো-
▣ আপনার কাজকে ভালোবাসুন;
▣ আপনার প্রমোট করা প্রোডাক্ট সম্পর্কে জানুন;
▣ আপনার লক্ষ্যে স্থির থাকুন;
▣ প্ল্যান ঠিক করুন;
▣ উপযুক্ত নিশ সিলেক্ট করুন;
▣ আপনার ওয়েবসাইট মার্কেটিংকে এ গুরুত্ব দিন;
▣ ভিজিটরকে বুঝতে শিখুন;
▣ এক্টিভ থাকুন ও লেগে থাকুন; ইত্যাদি।
১. আপনার কাজকে ভালবাসুন
আমার মতে, এটাকে প্রথমে রাখা উচিত। আপনি যা করেন তা যদি না ভালোবাসেন তবে আপনি কখনই সফল হতে পারবেন না। যদি আপনি কেবল অর্থের জন্য এটি করে থাকেন, তবে আপনার এবং মার্কেটিং কোম্পানির কোনও কর্মচারীর মধ্যে কোনও পার্থক্য নেই, যিনি তার চাকরিতে নরকের মতো উদাস হয়ে তাকে ঘৃণা করেন।
তবুও তিনি এটি চালিয়ে যাচ্ছেন যেহেতু এটি দিয়ে তার জীবন চলে।
এফিলিয়েট মার্কেটিং এ, আপনি যা করছেন তা ভালবাসা জরুরি।
অন্যথায়, আপনি নতুন আইডিয়া এবং মার্কেটিং অ্যাঙ্গেলগুলোর সাথে আসতে পারবেন না, এফিলিয়েট মার্কেটার হিসাবে সাফল্যের জন্য প্রয়োজনীয়।
২. আপনার প্রমোট করা প্রোডাক্ট সম্পর্কে জানুন
ভিজিটরদের জন্য একটি সংস্থান হিসাবে আপনার ওয়েবসাইট দেখুন। আপনি যে প্রোডাক্ট বা সার্ভিসগুলো সরবরাহ করছেন সেগুলি এবং সেইসাথে আপনার টার্গেট করা সম্পর্কে জানতে হবে। সময় নিয়ে আপনি আপনার ওয়েবসাইটের জন্য এমন প্রোডাক্ট তৈরি করতে পারেন যা আপনার বিশ্বাসযোগ্যতা তৈরি করে। সেই বিশ্বাসযোগ্যতা আস্থা তৈরি করে। যদি আপনার ভিজিটর আপনার উপর আস্থা না রাখে তবে সম্ভবত তারা আপনার স্টোরহাউস থেকে কিনবে না।
৩. আপনার লক্ষ্যে স্থির থাকুন
আপনি যে লক্ষে কাজ করছেন তা থেকে কখনো পিছিয়ে যাবেন না। কাজ করতে গেলে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে এতে করে সেটা বাদ দিলে হবে না। কারণ ব্যর্থতা কখনো সাফল্যের পথে বাধা দেয় না। ব্যর্থতাই আপনাকে সফল করে তোলে।
সুতরাং হাল ছেড়ে দেওয়ার পরিবর্তে, আবার নতুন করে উঠে পড়ুন এবং আপনি কোথায় ভুল করেছেন তা নির্ধারণ করার চেষ্টা করুন এবং নিজেকে সংশোধন করুন।
৪. প্ল্যান ঠিক করুন
কোন কিছু সম্পর্কে আগে থেকে প্লেন করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।আপনি কী কী করতে চান সুগিলোর একটি তালিকা তৈরি করে ফেলুন (যেমন- আপনি কোন ব্যবসা চালাতে চান, কীভাবে চালাতে চান, সেই ব্যবসাতে কী কী দরকার,কী কী প্রোডাক্ট প্রয়োজন, কোন কাজে ব্যর্থ হলে কী করতে হবে ইত্যাদি)। এই পরিকল্পনাগুলো আগে থেকে করা থাকলে আপনার কাজ করতে অসুবিধা হবে না। যা অ্যাফিলিয়েট মার্সকেটিং এ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পান করে এবং আপনি খুব সহজেই সফল হতে পারবেন।
৫. অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর জন্য উপযুক্ত নিশ সিলেক্ট করুন
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ে নিশ এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান যা আপনার সাফল্যের দায়ভার গ্রহণ করে। নিশ এমন একটি বিষয় যা নিয়ে আপনি কাজ করতে আগ্রহী। যেমন, আপনি যদি দেখেন কোন ওয়েবসাইটে শুধুমাত্র কম্পিউটার সম্পর্কেই আর্টিকেল/ব্লগ রয়েছে এবং সেখানে বিভিন্ন কম্পিউটার সম্পর্কে রিভিউ করা হচ্ছে, তাহলে উক্ত ওয়েবসাইট কম্পিউটার নিশ নিয়ে কাজ করে, এটা সহজেই বুঝা যায়।
আমার মতে, একসাথে সব নিয়ে কাজ করার চাইতে কোন একটি বা দুটি নির্দিষ্ট নিশ নিয়ে কাজ করলে সবচেয়ে বেশি সফল হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এজন্য আপনাকে অবশ্যই একটি উপযুক্ত নিশ সিলেক্ট করতে হবে এবং তার জন্য উপযোগী ভিজিটরদের টার্গেট করে কাজ করতে হবে।
নিশ সিলেক্ট করার পর আপনাকে প্রথমে নিশ সম্পর্কিত বিভিন্ন প্রোডাক্ট এবং সেবা সম্পর্কিত বিষয় সম্পর্কে ভিজিটরদের জানাতে হবে।
৬. আপনার ওয়েবসাইটের মার্কেটিংকে গুরুত্ব দিন
অন্যান্য প্রোডাক্টের মত আপনার যদি ভিজিটরের প্রয়োজন হয়, তবে আপনাকে সেটি প্রচার করতে হবে। সার্চ ইঞ্জিন এবং বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়াতে আপনার উপস্থিতি সম্পর্কে সবাইকে জানাতে হবে। কখনোই ট্রাফিক ভিত্তিক কোন প্রোডাক্ট বা সেবা ক্রয় না করাই ভালো। কারণ – ২ লক্ষ সাধারণ ভিজিটরের চাইতে, আপনার নিশ সম্পর্কিত ২ হাজার ভিজিটর অনেক বেশি লাভজনক।
এজন্য সার্চ ইঞ্জিন থেকে আসা ট্রাফিক সবচেয়ে বেশি উপযুক্ত বলে মনে করা হয়। কারণ, এখান থেকে শুধুমাত্র সেইসব ভিজিটরই আপনার ওয়েবসাইটে আসে, যারা উক্ত প্রোডাক্ট ক্রয় করতে বা সে সম্পর্কে জানতে আগ্রহী।
এ কারণে ওয়েবসাইটের প্রচারণার জন্য অবশ্যই আপনাকে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন বা এসইও এর প্রতি অধিক গুরুত্ব দিতে হবে। আপনার ওয়েবসাইটটি সার্চে উপস্থিত থাকার অর্থই হচ্ছে আপনার প্রোডাক্টের রিভিউ সম্পর্কে মানুষ জানতে আগ্রহী।
৭. ভিজিটরদের বুঝতে শিখুন
বেশিরভাগ সফল অ্যাফিলিয়েট মার্কেটাররা তাদের ভিজিটরদের সাথে কথা বলেন। আপনার যদি একটি ব্লগ থাকে তবে কমেন্ট করার অনুমতি দিন। এটি আপনাকে আপনার ভিজিটরদের সাথে কথোপকথনের সুযোগ দেবে। হ্যাঁ, আপনার স্প্যাম ফিল্টার করতে হবে, তবে আপনি যদি বেশিরভাগ কমেন্টকারীকে রিপ্লাই দেন এবং কথোপকথন শুরু করেন, তারা কথোপকথন চালিয়ে ফিরে আসবে।
একটি ব্লগ পোস্ট শেষে প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করুন। “অন্যান্য কোন বিষয়গুলি অন্তর্ভুক্ত করা উচিত?” “আপনি কি এই বিষয়ে আরও তথ্য চান?” “আপনার মতামত আমাদের বলুন!” এই কলগুলি অ্যাকশন থেকে সম্প্রদায়ের মিথস্ক্রিয়াকে উৎসাহিত করবে। রিপ্লাই দেওয়ার সময়, যেখানেই সম্ভব কমেন্টারদের নাম ব্যবহার করুন।এতে করে তাদের সাথে ভালো সম্পর্ক গড়ে উঠবে। তারা আপনার সাইটে বারবার আসতে উৎসাহিত হবে।
তাছাড়া, আপনি যদি আপনার ভিজিটরদের ভুল প্রোডাক্ট সম্পর্কে ধারণা দেন, তাহলে এটি ব্যর্থতা ছাড়া আর কিছুই বয়ে আনবে না। আপনাকে অবশ্যই আপনার ভিজিটর সম্পর্কে ধারণা রাখতে হবে। যেমন- আপনার ব্লগের ভিজিটররা কোন প্রকৃতির, তারা কি জানতে চায় ইত্যাদি বিষয়গুলো বুঝতে পারলেই আপনি তাদের চাহিদা অনুযায়ী বিভিন্ন প্রোডাক্টের রিভিউ আপনার ওয়েবসাইটে দিতে পারবেন। এজন্যই উপরে নিশকে এতটা গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
বিভিন্ন সাইটের অ্যাফিলিয়েশন নেওয়ার ব্যাপারে ওয়েবমাস্টাররা ভিন্ন ভিন্ন মত দিয়ে থাকেন। তবে ইন্টারনেটে থাকা বড় বড় কোম্পানী, যেমন-
▣ Clickbank;
▣ ShareaSale;
▣ Amazon Aassociation;
▣ Commission Junction;
▣ eBay ইত্যাদি।
এসব বড় বড় সেরা অ্যাফিলিয়েট কোম্পানির সঙ্গে যুক্ত হয়ে কাজ করাটাই সবচেয়ে বেশি উপযুক্ত বলে আমি মনে করি।
উপরে দেওয়া যে কোম্পানীর অ্যাফিলিয়েশন নিয়েই আপনি কাজ করেন না কেন, মোটামুটি সব কোম্পানীর কাজের ধরণ প্রায় একই । তবে ভিজিটরের কাছে এদের মধ্য কোন কোম্পানীর গ্রহণযোগ্যতা বেশি, সেটা বুঝে নিয়েই আপনাকে অ্যাফিলিয়েশন নিতে হবে।
যদি এমন কোন ওয়েবসাইটের অ্যাফিলিয়েশন নেন, যেখান থেকে ভিজিটররা প্রোডাক্ট কিনতে আগ্রহী নন সেক্ষেত্রে আপনার ওয়েবসাইটটি কোন কাজেই আসবে না।
শুধু সফল অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার হওয়ার উপায় জানলেই হবে না, এগুলো জানার পরে তা নিয়ে কাজ করাই হচ্ছে বড় ব্যাপার । শুধু শুধু বসে থেকেই কেউ সফল অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার হতে পারে না। এর জন্য বিনিয়োগ, পর্যাপ্ত মেধা এবং কঠোর পরিশ্রম ৩টিই অধিক প্রয়োজন হয়।
৮. এক্টিভ থাকুন ও লেগে থাকুন
অনেক সময় সার্চ ইঞ্জিনে ওয়েবসাইটকে র্যাংক করাতে অনেক সময়ের প্রয়োজন হয়। এরকম সময়ে ধৈর্য রাখার মানসিক প্রস্তুতি নিয়ে তারপরেই এফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করা উচিত। এছাড়া শুরু করার আগে এফিলিয়েট মার্কেটিং এর সফল কিছু ওয়েবসাইট ঘুরে দেখে, জানার চেষ্টা করা উচিৃত, যে কেন তারা সফল, তাদের সফলতার পিছনে কিসের ভূমিকা সবচেয়ে বেশি ইত্যাদি। তাহলে আপনার মাথায় একটা আইডি আসবে, স্ট্র্যাটেজি জানা যাবে এবং সফল হওয়ার সহজ হবে।
তাহলে আজ এখানেই শেষ করছি। কীভাবে সফল অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার হওয়া যায় আশা করি সে সম্পর্কে কিছুটা হলেও বুঝতে পেরেছেন। এ বিষয়ে যদি কোন মন্তব্য থাকে তবে অবশ্যই কমেন্ট বক্সে জানাতে ভুলবেন না। আমি যথাসাধ্য উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব। ধন্যবাদ।
See lessঅর্থনীতি কাকে বলে?
অর্থনীতি কাকে বলে: অর্থনীতি হলো এমন একটি সামাজিক বিজ্ঞান যা মানুষের আয়, ব্যয়,কর্মসংস্থান, কল্যাণ এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নের লক্ষ্যে অসীম অভাব ও বিকল্প ব্যবহার উপযোগী সীমিত সম্পদের মাঝে সমন্বয় সাধন করে। অর্থনীতিবিদ বাবার এর মতে, “Economics can briefly defined as the study of it administration of scarce rRead more
অর্থনীতি কাকে বলে: অর্থনীতি হলো এমন একটি সামাজিক বিজ্ঞান যা মানুষের আয়, ব্যয়,কর্মসংস্থান, কল্যাণ এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নের লক্ষ্যে অসীম অভাব ও বিকল্প ব্যবহার উপযোগী সীমিত সম্পদের মাঝে সমন্বয় সাধন করে।
অর্থনীতিবিদ বাবার এর মতে, “Economics can briefly defined as the study of it administration of scarce resources and determinations of employment and income.” অর্থাৎ, স্বল্প উপকরণসমূহের বিতরণ, কর্মসংস্থান, ও আয়ের নির্ধারকসমূহের আলোচনায় হলো অর্থনীতি।
অর্থনীতিবিদ Samuelson & Norfhaus এর মতে, “কীভাবে মানুষ ও সমাজ অর্থ দ্বারা ও অর্থ ব্যতীত দুস্পাপ্য সম্পদকে বিভিন্ন উৎপাদন কাজে নিয়োগের জন্য নির্বাচন করে এবং সমাজ ও জনসাধারণ বর্তমান ও ভবিষ্যতের ভোগের নিমিত্তে বন্টন করে তার আলোচনাই হলো অর্থনীতির বিষয়বস্তু।”
অর্থনীতিবিদ জন স্টুয়ার্ডমিল এর মতে, “Economics is the science which traces the laws of such of the phenomena of society as arise from the combined operations of mankind for the production of wealth, in so far as those phenomena are not modified by the pursuit of any ohter object.”
আধুনিক অর্থনীতিবিদ Prof. A.C. Cairncross বলেন, “অর্থনীতি এমন একটি সামাজিক বিজ্ঞান, যা মানুষ কীভাবে বিনিয়মের মাধ্যমে তাদের অভাবের সাথে দুষ্প্রাপ্যতার সমন্বয় সাধন করার চেষ্টা করে তা আলোচনা করে।”
অ্যাডাম স্মিথ তার Wealth of Nation গ্রন্থে বলেন, “অর্থনীতি হলো এমন একটি বিজ্ঞান যা জাতিসমূহের সম্পদের প্রকৃতি ও কারণ সম্পর্কে অনুসন্ধান করে।”
অধ্যাপক এল রবিন্স বলেন, “অর্থনীতি মানুষের অভাব ও বিকল্প ব্যবহারযোগ্য সীমিত সম্পদের সম্পর্ক বিষয়ক মানব আচরণ নিয়ে আলোচনা করে।”
অধ্যাপক মার্শালের মতে, “Economics is the study of mankind in the ordinary business of life.”
উত্তরটি ভালো লাগলে অবশ্যই কমেন্ট ও শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ।
See lessঅনলাইনে জিআরই প্রিপারেশনের জন্য সেরা কয়েকটি ওয়েবসাইটের নাম জানেতে চাই?
কারো জীবনে সবচেয়ে কার্যকর এবং গুরুত্বপূর্ণ বিনিয়োগ হল শিক্ষা। প্রয়োজনের সময়, এটি আপনাকে কেবলমাত্র বৌদ্ধিকভাবেই নয়, আর্থিকভাবেও আপনাকে সাহায্য করে।আপনি যখন ইনঞ্জিনিয়ারিং, ব্যবসা, আইন বা অন্য কোনও গ্রেড স্কুলের জন্য আবেদন করার পরিকল্পনা করছেন তখন জিআরই পরীক্ষা আপনাকে সাহায্য করতে পারে। আপনি কোন স্কRead more
কারো জীবনে সবচেয়ে কার্যকর এবং গুরুত্বপূর্ণ বিনিয়োগ হল শিক্ষা। প্রয়োজনের সময়, এটি আপনাকে কেবলমাত্র বৌদ্ধিকভাবেই নয়, আর্থিকভাবেও আপনাকে সাহায্য করে।আপনি যখন ইনঞ্জিনিয়ারিং, ব্যবসা, আইন বা অন্য কোনও গ্রেড স্কুলের জন্য আবেদন করার পরিকল্পনা করছেন তখন জিআরই পরীক্ষা আপনাকে সাহায্য করতে পারে।
আপনি কোন স্কুলে ভর্তি হতে চান, তার জন্য কেমন স্কোর প্রয়োজন এগুলো দেখে আপনি সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন।
যেহেতু আপনি আপনার পছন্দের স্কুলের জন্য কোন সেকশনে কেমন স্কোর দরকার তা দেখে আবেদন করতে পারবেন, সেহেতু আপনার পরীক্ষার প্রস্তুতি নেওয়া অনেকাংশেই আপনার জন্য সহজ হয়ে যাবে।
বর্তমানে জিআরই পরীক্ষার আগ্রহীদের জন্য বিভিন্ন ওয়েবসাইট এবং কোর্স চালু রয়েছে, যেগুলো আপনাকে জিআরই পরীক্ষার ভাল প্রস্তুতি জন্য সার্বিকভাবে সাহায্য করবে। তবে অধিক ওয়েবসাইটের জন্য কোন ওয়েবসাইটটি একজন নতুন আগ্রহীর জন্য ভাল, তা নির্বাচন করতে অনেক সময় বিভ্রান্তিতে পড়তে হয়।
জিআরই প্রস্তুতির জন্য আপনাকে কয়েকটি সাহায্যকারী ওয়েবসাইটের নাম বলার আগে, প্রথমে পরীক্ষাটি কী তা জেনে নেওয়া যাক।
জিআরই পরীক্ষা কী?
জিআরই (GRE: Graduate Record Examination) পরীক্ষায় একজন প্রার্থীর Mathematics, Writing এবং Vocabulary’ এর দক্ষতা যাচাই করা হয়। যারা স্নাতক প্রোগ্রামগুলোতে ভর্তি খুঁজছেন (Admission to graduate programs) বা এমবিএ (MBA) বা পিএইচডি (Ph.D) করার পরিকল্পনা করছেন, তাদের জন্য এটি সর্বাধিক গৃহীত একটি পরীক্ষা।
জিআরই পরীক্ষা দুটি ধরণের হয়। যথা-
১.জিআরই জেনারেল টেস্ট (GRE General Test) এবং
২. জিআরই সাবজেক্ট টেস্ট (GRE Subject Test)।
জিআরই জেনারেল টেস্টটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য দেশে এমএস (MS) কোর্সে ভর্তির সন্ধানকারী শিক্ষার্থীরা করে থাকে। এই নির্দিষ্ট পরীক্ষায় একজন প্রার্থীকে তার Verbal reasoning, Analytical writing এবং quantitative ability বিশ্লেষণ করা হয়।
জিআরই সাবজেক্ট টেস্ট নামটি-ই এটি সম্পর্কে ইঙ্গিত দেয়। এতে মূলত পরীক্ষার্থীদের একটি নির্দিষ্ট বিষয়ে তাদের যোগ্যতা বিশ্লেষণ করা হয়। বিশেষভাবে বিশেষায়িত কোন নির্দিষ্ট কোর্সে ভর্তির সন্ধানীদের এই টেস্ট নেওয়া হয়।
বিশ্বজুড়ে হাজার হাজার বিশ্ববিদ্যালয় এবং স্কুলগুলি জিআরই জেনারেল টেস্টের স্কোর এর উপর ভিত্তি করে বিদেশী শিক্ষার্থী ভর্তি নেয়। বিদেশের নামী-দামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য জিআরই একটি গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা।
অনলাইন প্রস্তুতির জন্য সেরা ১০ টি ওয়েবসাইট
আমরা জিআরই প্রস্তুতি এবং প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রে প্রার্থীরা মানসম্মত প্রস্তুতি নিতে পারে এমন সেরা ১০ টি ওয়েবসাইটের একটি তালিকা তৈরি করেছি। এই ওয়েবসাইটগুলে কেবলমাত্র একটি অনলাইন প্রস্তুতি প্ল্যাটফর্ম সরবরাহ করে না, এগুলো সারাবিশ্বে সকল প্রার্থীরা জিআরই প্রস্তুতিতে সার্বিকভাবে সাহায্য করে থাকে।
1. Greenlight Test Prep
জিআরই প্রস্তুতির জন্য একটি বিস্তৃত ওয়েবসাইট হল Greenlight Test Orep. এই সাইটে প্রায় 500 টি ভিডিও রয়েছে, যেগুলো পরীক্ষার্থীকে প্রস্তুতি নিতে সাহায্য করে। এটি প্রার্থীদের শেখার এবং দক্ষতা বাড়ানোর জন্য বেশ কয়েকটি অনুশীলন মূলক প্রশ্ন সরবরাহ করে। ওয়েবসাইটটি জিআরই prep club থেকে 5 star রেটিং প্রাপ্ত এবং এটি এর সদস্যদের সুবিধার্থে মানসম্মত সার্বিক অধ্যয়ন পরিকল্পনা সরবরাহ করে।
প্রধান সুবিধা সমূহ:
• এটি পরীক্ষার প্রস্তুতির কৌশল থেকে শুরু করে quantitative comparisons, algebra, analytical writing, reading comprehension সহ আরও অনেক কিছুর জন্য বিনামূল্যে (free) এবং অর্থ প্রদান (paid) উভয়ের মাধ্যনেই ভাল সংখ্যক ভিডিও সরবরাহ করে।
• এটি জিআরই প্রার্থীদের প্রস্তুতির প্রয়োজনীয় কৌশল এবং প্রয়োজনীয় অধ্যয়নের টিপস সরবরাহ করে।
• শিক্ষার্থীরা ইমেলের মাধ্যমে জিআরই প্রশ্ন পেয়ে থাকে।
• এখানে বিনামূল্যে বা টাকা দিয়ে উভয় পদ্ধতিতে আপনি প্রেক্টিস টেস্টে অংশ নিতে পারবেন।
• শিক্ষার্থীরা তাদের প্রশিক্ষকের কাছ থেকে প্রাইভেট টিউটরিং চয়ন করারও বিকল্প পদ্ধতি রয়েছে।
• আপনি প্রস্তুতির জন্য অতিরিক্ত প্রেক্টিস প্রশ্ন এবং আর্টিকেলগুলোতে ঢুকার অনুমতি পাবেন।
• আপনার জিআরই টেস্টে ভাল প্রস্তুতির জন্য এখানে 31+ ঘন্টারও বেশি ভিডিও টিউটোরিয়াল রয়েছে।
মূল্য: 49 থেকে 1450 পর্যন্ত।
2.kaplan
এই ওয়েবসাইটে জিআরই প্রার্থীদের প্রস্তুতির নেওয়ার জন্য প্রচুর পরিষেবা রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে online tutoring, self-paced preparation, unlimited preparation সহ আরো অনেক পরিষেবা। শুধুমাত্র এসকল পরিষেবা-ই নয়, এসব পরিষেবার পাশাপাশি এটি আপনাকে জিআরই স্কোর বাড়ানোর জন্য প্রস্তুতিমূলক কৌশলও সরবরাহ করে।
প্রধান সুবিধা সমূহ:
• এটি বিনামূল্যে অসংখ্যক প্রেক্টিস এবং ইভেন্ট সরবরাহ করে।
• এটিতে অনলাইনে জিআরই প্রস্তুতির নির্দেশিকা এবং প্রেক্টিসের জন্য 180+ ঘন্টারও বেশি সময়ের ভিডিও টিউটোরিয়াল রয়েছে।
• আপনি 5000+ এরও বেশি প্রেক্টিস প্রশ্নাবলীর সাথে প্রশ্নব্যাঙ্কের অ্যাক্সেস পাবেন।
• আপনি বিষয়, দক্ষতা এবং প্রশ্নসংখ্যা নির্বাচন করে আপনার প্রেক্টিস কুইজগুলো নিজের মতো করে তৈরি করতে পারেন।
• কোর্স বাদেও আপনি অভিজ্ঞ পরামর্শদাতাদের কাছ থেকে অনলাইন টিউটরিং বেছে নিতে পারবেন।
মূল্য: 449 থেকে শুরু।
3. Manhattan Prep
যদি আপনি ইতিমধ্যে পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি শুরু করে থাকেন এবং আপনার দক্ষতা এবং প্রস্তুতিকে আরো বাড়িয়ে তুলতে চান তবে এটি আপনার জন্য সেরা ওয়েবসাইটগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি। Manhattan Prep ওয়েবসাইট বিনামূল্যে ক্লাস, ব্লগ, অফিসিয়াল গাইড ট্র্যাকার, প্রেক্টিস পরীক্ষা এবং আরও অনেক কিছুর পরিষেবাদি সরবরাহ করে। আপনার পরীক্ষার ভাল স্কোরের কৌশল সম্পর্কে আপনি একটি প্রস্তুতিমূলক গাইডলাইন পাবেন।
প্রধান সুবিধা সমূহ:
• এখানে আপনি নিজে নিজে বা কোন ভাল প্রশিক্ষকের সাহায্যেও জিআরই প্রস্তুতি নিতে পারবেন।
• আপনি সাবজেক্ট-স্পেসিফিকেশন, প্রেক্টিস এবং আরও অনেক কিছু পরিষেবা নিয়ে তৈরি একটি সম্পূর্ণ কোর্স পাবেন।
• এর একটি বৃহৎ ফেসবুক কমিউনিটি রয়েছে, যেখানে আপনি প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের সাথে যোগাযোগ করতে পারবেন।
• যেকোন জায়গা থেকে প্রস্তুতির জন্য আপনি এর মোবাইল অ্যাপটিও ডাউনলোড করতে পারেন।
মূল্যঃ 559 থেকে শুরু।
4. Princeton Review
জিআরই প্রশিক্ষণের জন্য সেরা 10 টি ওয়েবসাইটের তালিকার মধ্যে অন্যতম আরেকটি ওয়েবসাইট হলো Princeton Review, আপনি এখানে নিজের মতো করে প্রস্তুতি নিতে পারেন অথবা প্রশিক্ষণের জন্য শ্রেণীকক্ষও বেছে নিতে পারেন। আপনি ভিডিও নির্দেশনা, কোর্স ডেমো, ফ্ল্যাশকার্ডস (flashcards), মোবাইল অ্যাপ সহ আরো অসংখ্য পরিষেবা পাবেন। আপনি যদি কোর্সে সন্তুষ্ট না হন তবে এটি আপনার টাকা-ফেরতের গ্যারান্টিও দেয়।
প্রধান সুবিধা সমূহ:
• এই ওয়েবসাইটে সম্পূর্ণ প্রস্তুতির জন্য প্রেক্টিস পরীক্ষার প্রশ্নগুলো প্রকৃত জিআরই পরীক্ষার উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়।
• আপনার বিষয়ভিত্তিক স্কোর রিপোর্টের ভিত্তিতে আপনি আপনার প্রস্তুতির পরিকল্পনা করতে পারবেন।
• চূড়ান্ত কোর্সে 8 টি প্রেক্টিস পরীক্ষা, 3500+ প্রেক্টিস প্রশ্নাবলী এবং 470+ অনলাইন প্রস্তুতি সামগ্রী রয়েছে। এটি আপনার পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতির জন্য 180+ ঘন্টা ভিডিও টিউটোরিয়াল সরবরাহ করে থাকে।।
• আপনি বিনামূল্য অসংখ্য পরিষেবা এবং অনলাইন প্রেক্টিস পরীক্ষা পাবেন।
মূল্য: 499 (ডিসকাউন্ট রয়েছে)।
5. examPAL
এই ওয়েবসাইটের সেরা বৈশিষ্ট্যটি হল এটি আপনাকে real-time feedback সরবরাহ করে যাতে আপনি আপনার প্রস্তুতির উন্নতি করতে পারেন। এটি একটি অত্যন্ত সংগঠিত জিআরই প্রস্তুতির ওয়েবসাইট যেখানে আপনি আপনার মতো করে এবং আপনার সুবিধার্থে পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিতে পারবেন।
প্রধান সুবিধা সমূহ:
• এটি আপনাকে কম সময়ে জটিল প্রশ্ন সমাধানের কৌশল এবং পদ্ধতিগুলো শিখতে সহায়তা করবে।
• আপনার প্রয়োজনীয়তা অনুসারে আপনি কোর্সটি আপনার মতো করে সাজাতে পারবেন।
• এখানের ভিডিওগুলো আনলিমিটেড এবং সিরিয়ালি সুন্দরভাবে সাজানো আছে। আপনি আপনার প্রস্তুতি সম্পর্কে real-time feedback পাবেন।
• কোর্সগুলো আপনি সাশ্রয়ী ক্রয় করতে পারবেন।
• এতে আপনি ইমেল বা লাইভ চ্যাটের মাধ্যমে আপনার সমস্যা সমাধান করতে পারবেন।
• আপনার কোর্সটি ভাল না লাগলে, এটি 30 দিনের মধ্যে টাকা ফেরতের গ্যারান্টি দেয়।
মূল্য: 279 (ডিসকাউন্ট রয়েছে)।
6. Magoosh
জিআরই প্রশিক্ষণের জন্য সেরা ওয়েবসাইট সম্পর্কে কথা বলার সময় Magoosh ওয়েবসাইট সম্পর্কে বলতে ভুলতে পারি না। এটি সর্বাধিক ব্যবহার-বান্ধব ওয়েবসাইট যা আপনাকে পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য সর্বোচ্চ সহায়তা করবে। এটিতে প্রতিটি বিষয়ের উপর নজর দেওয়া হয়েছে যা সময়ে সময়ে প্রতিনিয়ত আপডেট করা হয়। এছাড়াও, আপনি একটি সাপ্তাহিক স্টাডি পরিকল্পনা পাবেন এখানে এবং নিজে নিজে অধ্যয়নের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত ওয়েবসাইটগুলোর মধ্যে এটি অন্যতম একটি।
প্রধান সুবিধা সমূহ:
• এটি প্রার্থীদের জন্য প্রায় 250 টি lessons, 1200+ প্রশ্ন এবং ভিডিও ব্যাখ্যা সরবরাহ করে।
• এটি প্রার্থীর পরীক্ষার প্রস্তুতি সম্পর্কে অবগত করতে টেক্সট মেসেজ পাঠায়।
• প্রেক্টিস পরীক্ষাগুলো প্রার্থীকে আসল জিআরই পরীক্ষার একটি অভিজ্ঞতা দেয়।
• এটি 7 দিনের মধ্য টাকা ফেরতের গ্যারান্টি দেয়।
• কোর্সটি সাশ্রয়ী মূল্যে পাওয়া যায়।
মূল্য: 149 (ডিসকাউন্ট রয়েছে)
7. ETS
আপনি যদি কম খরচে জিআরই প্রস্তুতির জন্য বিভিন্ন পরিষেবা প্রদান এমন সেরা ওয়েবসাইটের সন্ধান করেন, তবে ETS আপনার পক্ষে সঠিক পছন্দ। আপনি এই সাইটে বিনামূল্যে পরীক্ষার প্রস্তুতির কৌশল পাবেন এবং যদি আপনি আরো বেশি কিছু চান তাহলে অর্থ প্রদানের মাধ্যমে আরো অধিক পরিষেবা গ্রহণ করতে পারবেন। এখানের সমস্ত কোর্স-ই বিশেষজ্ঞদের দ্বারা ডিজাইন করা হয়েছে এবং প্রায় ছয় সপ্তাহ সময় লাগে একটি পূর্ণাঙ্গ কোর্স শেষ হতে।
প্রধান সুবিধা সমূহ:
• এটি পরীক্ষার জন্য কীভাবে আবেদন করতে হবে এবং কীভাবে প্রস্তুতি নেওয়া যায় সে সম্পর্কে বিস্তারিত গাইডলাইন সরবরাহ করে।
• কুইজ, ভিডিও সহ অধ্যয়নের উপাদানগুলো এতে খবুই আকর্ষনীয়ভাবে সাজানো আছে।
• এটি আগ্রহীদের তাদের নিজেদের স্তর পরীক্ষা করার জন্য বিভিন্ন প্রেক্টিস পরীক্ষার সরবরাহ করে।
• আপনি বিনামূল্যে অধ্যয়নের উপাদান বা টাকা দিয়েও কোর্স বেছে নিতে পারেন।
মূল্য: ফ্রি।
8. The Economist
জিআরই প্রস্তুতির আকর্ষনীয় টিউটোরিয়াল, লাইভ সাপোর্ট, দক্ষ টিউটর সাপোর্ট সহ অসংখ্য উন্নত মানের পরিষেবার জন্য The Economist ওয়েবসাইট সেরা। এটি আপনাকে ভাল জিআরই স্কোর করার গ্যারান্টি দিবে।
প্রধান সুবিধা সমূহ:
• এটি 5000 টিরও বেশি প্রেক্টিস প্রশ্ন সরবরাহ করে।
• আপনার প্রয়োজন অনুসারে আপনি কোর্সটি কাস্টমাইজ করতে পারেন।
• এটি এমন এক উন্নত প্রযুক্তি মাধ্যমে তৈরি করা, যা আপনার একাডেমিক দুর্বলতা এবং দক্ষতার সাথে খাপ খায়।
মূল্য: 200 থেকে 476 (ডিসকাউন্ট রয়েছে)।
9. PrepScholar GRE Prep
এটি এমন একটি ওয়েবসাইট যা আপনাকে কেবল পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত করতে সহায়তা করে না, তার পাশাপাশি আপনাকে পরীক্ষার প্রতিটি বিষয়ে দক্ষতা অর্জনে সাহায্য করবে। PrepScholar Prep জিআরই প্রস্তুতির জন্য উচ্চাকাঙ্ক্ষী প্রার্থীদের সেরা প্রস্তুতির ওয়েবসাইটগুলোর মধ্যে একটি। প্রদত্ত কোর্সগুলো কিনে নেওয়া ছাড়াও, আপনি বিনামূল্যে প্রস্তুতির উপাদান এবং ই-বুকগুলো বেছে নিতে পারবেন।
প্রধান সুবিধা সমূহ:
• এটি আপনাকে আপনার দক্ষ এবং দুর্বলতাগুলো সনাক্ত করে আপনার পরীক্ষার প্রস্তুতি অধিক ভাল করতে সহায়তা করে।
• আপনি 72+ ইন্টারেক্টিভ ভিডিও, 2017 অভিযোজিত প্রশ্ন, 300+ প্রেক্টিস প্রশ্ন, প্রেক্টিস পরীক্ষা এবং আরও অনেক কিছু সুবিধা পাবেন।
• আপনি ইন্টারেক্টিভ পাঠ, কুইজ এবং প্রেক্টিস পরীক্ষাযর অ্যাক্সেস পাবেন।
• আপনি জিআরই পরীক্ষায় ভাল স্কোর করার মতো কিছু উপায়/কৌশল শিখতে পারবেন।
মূল্য: 345 (ডিসকাউন্ট রয়েছে)।
10. GREedge
GREedge হল ব্যক্তিগত প্রশিক্ষক এবং শেখার জন্য উন্নত প্ল্যাটফর্ম উভয়ের একটি শক্তিশালী সমন্বয়। এর উন্নত প্রযুক্তিগত সুবিধা প্রার্থীদের জিআরইয়ের জন্য ভালভাবে প্রস্তুত করতে সহায়তা করে এবং স্কোর বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে।
প্রধান সুবিধা সমূহ:
• এখানে আপনি জিআরই প্রস্তুতির জন্য ব্যক্তিগত প্রশিক্ষক পাবেন।
• এটিতে আপনার জিআরই সম্পর্কে ‘সন্দেহ জিজ্ঞাসা করুন’ নামক একটি বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যেখানে আপনি প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করে আপনার সন্দেহগুলো পরিষ্কার করতে পারবেন।
• এটি বিভিন্ন বিষয়ে 3000+ এরও বেশি প্রশ্ন সরবরাহ করে।
• বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে একের পর এক প্রতিক্রিয়া মেসেজ পাবেন যা আপনাকে আপনার জিআরই প্রস্তুতির উন্নতি করতে সহায়তা করবে।
মূল্য: 13,000 থেকে 15,000 রুপি।
উপসংহার
সেরা ওয়েবসাইটটি বাছাই করার জন্য প্রথমে পরীক্ষার্থীদের আসন্ন জিআরই পরীক্ষার জন্য কী কী সহায়তা প্রয়োজন তা বিশ্লেষণ করতে হবে। আপনি যদি নিজে নিজে প্রস্তুতি নিতে পছন্দ করেন, তবে নিজে নিজে প্রস্তুতি নেওয়া যায় এমন বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন ওয়েবসাইটটি নির্বাচন করুন। তবে অবশ্যই, আপনার অনলাইন জিআরই প্রশিক্ষণের জন্য যে টাকা খরচ করতে হবে তার দিকেও খেয়াল রাখতে হবে। অবশেষে, সংক্ষিপ্ত তালিকাভুক্ত ওয়েবসাইটগুলোর পূর্ববর্তী প্রার্থীদের রিভিউগুলো ভালভাবে পড়ে দেখেন এবং আপনার জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত ওয়েবসাইটটি আপনি নির্বাচন করুন।
See lessঅনলাইনে জন্ম নিবন্ধন যাচাই ও সংশোধন করার নিয়ম কি?
জন্ম নিবন্ধন আমাদের সকলের কাছেই একটি পরিচিত শব্দ। প্রত্যেকেই আমরা কোনো না কোনো ভাবে জন্ম নিবন্ধন নিয়ে কোনো না কোনো ভাবে ছোটো বড় ঝামেলায় জড়িয়ে থাকি। যেমন জন্ম সনদ সঠিক কিনা যাচাই করা,সংশোধন করা ইত্যাদি। অজ্ঞাতর কারনে অনেক জটিলতায় পড়তে হয় আমাদের। বর্তমানে যে কেউ নিজেই অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন যাচাRead more
জন্ম নিবন্ধন আমাদের সকলের কাছেই একটি পরিচিত শব্দ। প্রত্যেকেই আমরা কোনো না কোনো ভাবে জন্ম নিবন্ধন নিয়ে কোনো না কোনো ভাবে ছোটো বড় ঝামেলায় জড়িয়ে থাকি। যেমন জন্ম সনদ সঠিক কিনা যাচাই করা,সংশোধন করা ইত্যাদি। অজ্ঞাতর কারনে অনেক জটিলতায় পড়তে হয় আমাদের।
বর্তমানে যে কেউ নিজেই অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন যাচাই করতে পারবেন। তাতে করে জন্ম নিবন্ধন সনদটি সঠিক কিনা যাচাই করা যাবে। কিন্তু যাচাই করার নিয়ম কানুন অনেকেই জানেন না যার ফলে ভোগান্তিতে পড়তে হয়।তাই আজকে আমরা আপনাদের জন্য সহজ ভাবে জন্ম নিবন্ধন সংশোধন,যাচাই প্রক্রিয়া আলোচনা করবো।
জন্ম নিবন্ধন অনলাইন যাচাই
জন্ম নিবন্ধন যাচাই করার জন্য আপনার উক্ত সনদের জন্ম নিবন্ধন নাম্বার ও জন্ম তারিখ জানতে হবে।
যদি আপনার বা অন্য কারও জন্ম নিবন্ধন যাচাই করতে চান তাহলে ভিজিট করুন-
https://bdris.gov.bd/br/search
• সাইটে ভিজিট করলে যে পেজ আসবে সেখানে জন্ম নিবন্ধন নম্বরের ঘরে জন্ম সনদ নম্বর প্রবেশ করান।
• পরবর্তী নিচের ঘরে ক্যালেন্ডার থেকে জন্ম তারিখ সিলেক্ট করে দিন।
• এরপর অনুসন্ধানে ক্লিক করুন। কিছুক্ষণের মাঝেই আপনার সামনে জন্ম নিবন্ধনের সকল তথ্য চলে আসবে৷
এতক্ষণে জন্ম নিবন্ধন যাচাই করা হয়ে গেছে। যাচাই করা পেজটি যদি আপনি প্রিন্ট করতে চান তাহলে প্রিন্ট অপশন এ ক্লিক করে প্রিন্ট করতে পারেন। এছাড়াও ctr+p চাপলেও প্রিন্ট করার অপশন আসবে। এ ছাড়া স্ক্রিনশট নিয়েও জন্ম নিবন্ধন যাচাই কপি সংগ্রহ করতে পারবেন।
জন্ম নিবন্ধন তথ্য যাচাই
ডিজিটাল সময়ের সুবিধা কাজে লাগিয়ে কিছু মানুষ ভুয়া জন্ম সনদ তৈরি করে অনৈতিক কাজ করে থাকেন।সেই জন্য কারও জন্ম নিবন্ধন সনদ সঠিক কিনা সেটাও চাইলে যাচাও করতে পারবেন। তাই জন্ম নিবন্ধন সনদ যাচাই করে ভেরিফাই করবেন। ভেরিফাই করার জন্য নিচের ধাপগুলি অনুসরণ করুন।
ভিজিট করুন-
http://everify.bdris.gov.bd
• এরপর যে পেজ আসবে সেখানে উপরের ঘরে ১৭ সংখ্যার জন্ম নিবন্ধন নম্বর টাইপ করুন। সতর্কতার সাথে সঠিক নম্বর দিবেন।
• নিচের ঘরে জন্ম তারিখ দিতে হবে। এখানে প্রথমে হবে জন্ম সাল, এরপর জন্মের মাস, সবশেষে জন্মের দিন। যেমন কারও জন্ম তারিখ যদি হয় ১০ মার্চ ১৯৯৯। তাইলে লিখতে হবে ১৯৯৯–০৩-১০।
• এরপর সার্চ বাটনে ক্লিক করুন। কিছুক্ষণের মাঝেই জন্ম নিবন্ধনের তথ্য দেখতে পারবেন। জন্ম নিবন্ধনের তথ্যের সাথে জন্ম সনদ মিলিয়ে সকল তথ্য যাচাই করে নিবেন।
জন্ম নিবন্ধন সংশোধন
জন্ম নিবন্ধন সংশোধন প্রক্রিয়া তুলনামূলক একটু জটিল। সহজে করতে চাইলে ইউনিয়নপরিষদের ডিজিটাল সেন্টারে যেতে পারেন। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সরবরাহ করলে অবশিষ্ট কাজ তারাই করে দিবে। আর অনলাইনে করতে চাইলে আপনার বাবা মায়ের জন্ম সনদ সংযুক্ত করতে হবে।
এরপর-
https://bdris.gov.bd/br/correction
এই সাইটে গিয়ে জন্ম নিবন্ধন নাম্বার ও জন্ম তারিখ দিয়ে আবেদন করতে হবে।
জন্ম তথ্য সংশোধনের শর্ত ও নিয়মাবলি
জন্ম তথ্য সংশোধন করা কাজগত ভাবে কিছুটা কষ্টসাধ্য। যদি জন্ম মাস বা দিন সংশোধন করতে হয় তাহলে চেয়ারম্যানের কার্যালয় থেকেই করতে পারবেন। কিন্তু জন্ম সাল সংশোধন করতে জন্ম নিবন্ধন অধিদপ্তরে আবেদন করতে হবে। সেজন্য প্রমাণ হিসাবে পাসপোর্ট বা জাতীয় পরিচয়পত্র কপি দাখিল করতে হবে।
বাবা মায়ের নাম সংশোধন করতে হলে বাবা মায়ের জন্ম নিবন্ধন সনদ প্রমাণ হিসেবে দাখিল করতে হবে।
জন্ম নিবন্ধন অনলাইন কপি ডাউনলোড
জন্ম নিবন্ধন সনদের কপি অনলাইনেই ডাউনলোড করতে পারবেন।
সেজন্য ভিজিট করতে হবে-
https://bdris.gov.bd/br/search
তারপর ১৭ সংখ্যার জন্ম নিবন্ধন নম্বর টাইপ করে দিতে হবে। তারপর জন্ম তারিখ সিলেক্ট করতে হবে। এরপর অনুসন্ধানে ক্লিক করলে জন্ম নিবন্ধন সনদের অনলাইন কপি আসবে। আপনি সেটা ডাউনলোড করে নিতে পারবেন।
জন্ম নিবন্ধন সনদ ডাউনলোড
আপনার কাঙখিত জন্ম নিবন্ধন সনদ ডাউনলোড করতে চাইলে ভিজিট করুন-
https://bdris.gov.bd/br/search
সেখানে সঠিক তথ্য দিয়ে যাচাই করুন। সব ঠিক থাকলে অনলাইন কপি দেখতে পাবেন। পাশে ডাউনলোড করার অপশনও পাবেন। সেখান থেকে আপনার সনদ ডাউনলোড করে নিন।
জন্ম নিবন্ধন ফি
সময়ের সাথে সাথে জন্ম নিবন্ধন ফি বিভিন্ন রকম হয়ে থাকে। যেমন-
• শিশুর জন্মের ৪৫ দিনের মাঝে নিবন্ধন করলে কোন ফি লাগে না।
• ৪৫ দিন থেকে ৫ বছরের মাঝে নিবন্ধন করলে ২৫ টাকা ফি লাগবে৷
• ৫ বছরের পর নিবন্ধন করলে ফি লাগবে ৫০ টাকা।
(রসিদ ছাড়া নির্ধারিত কোন ফিস আদায়/প্রদান করা যাবে না।)
আজকের মত এ পর্যন্তই। এখানে আলোচ্য বিষয় ছিলো জন্ম নিবন্ধন। জন্ম নিবন্ধন নিয়ে যে কোনো প্রকার সমস্যার জন্য নিজে সংশোধন করতে পারেন নতুবা আপনার ইউনিয়ন পরিষদের ডিজিটাল সেন্টারে যোগাযোগ করতে পারেন, তাদের মাধ্যমে ঝামেলা ছাড়াই সকল কাজ করতে পারবেন।
আমামার লেখাটি ভালো লাগলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন এবং বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ।
See less