মেহেরপুর জেলায় পাবেন এছাড়াও ভারতের পশ্চিমবঙ্গে সুন্দরবন অঞ্চলে পাওয়া যায়।
মেহেরপুর জেলায় পাবেন এছাড়াও ভারতের পশ্চিমবঙ্গে সুন্দরবন অঞ্চলে পাওয়া যায়।
See lessSign Up to our social questions and Answers Engine to ask questions, answer people’s questions, and connect with other people.
Login to our social questions & Answers Engine to ask questions answer people’s questions & connect with other people.
আপনার পাসওয়ার্ড ভুলেগেছেন? তাহলে আপনার ইমেইল এড্রেসটি লিখুন।প্রথমত, একটি কনফার্মেশন লিঙ্ক সহ ইমেইল যাবে উক্ত লিঙ্কে ক্লিক করে কনফার্ম করতে হবে।দ্বিতীয়ত, আরও একটা মেইল যাবে, যেখানে আপনার নতুন পাসওয়ার্ড উল্লেখ করা থাকবে, সেই পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে আপনি লগিন করতে পারবেন।(বিঃদ্রঃ আপনার ইনবক্সে মেইল না পৌঁছালে স্প্যাম ফোল্ডার চেক করুন)
You must login to ask a question.
Please briefly explain why you feel this question should be reported.
Please briefly explain why you feel this answer should be reported.
Please briefly explain why you feel this user should be reported.
মেহেরপুর জেলায় পাবেন এছাড়াও ভারতের পশ্চিমবঙ্গে সুন্দরবন অঞ্চলে পাওয়া যায়।
মেহেরপুর জেলায় পাবেন এছাড়াও ভারতের পশ্চিমবঙ্গে সুন্দরবন অঞ্চলে পাওয়া যায়।
See lessদেশি মুরগি পালন পদ্ধতিতে, দেশী মুরগির ডিম উৎপাদন বৃদ্ধি করে বাজারে বিক্রি করার চেয়ে ডিম ফুটিয়ে বাচ্চা তৈরী করে ৮-১২ সপ্তাহ বয়সে বিক্রি করলে লাভ বেশী হয়। এক সংঙ্গে ১০-১২ টি মুরগি নিয়ে পালন শূরু করতে হবে। শুরুতে মুরগি গুলোকে কৃমি নাষক ঔষধ খাওয়ানোর পরে রানীক্ষেত রোগের টীকা দিতে হবে। মুরগির গায়ে উকুন থাRead more
দেশি মুরগি পালন পদ্ধতিতে, দেশী মুরগির ডিম উৎপাদন বৃদ্ধি করে বাজারে বিক্রি করার চেয়ে ডিম ফুটিয়ে বাচ্চা তৈরী করে ৮-১২ সপ্তাহ বয়সে বিক্রি করলে লাভ বেশী হয়। এক সংঙ্গে ১০-১২ টি মুরগি নিয়ে পালন শূরু করতে হবে।
শুরুতে মুরগি গুলোকে কৃমি নাষক ঔষধ খাওয়ানোর পরে রানীক্ষেত রোগের টীকা দিতে হবে। মুরগির গায়ে উকুন থাকলে তাও মেরে নিতে হবে। প্রতিটি মুরগিকে দিনে ৫০-৬০ গ্রাম হারে সুষম খাদ্য দিতে হবে। আজকাল বাজারে লেয়ার মুরগির সুষম খাদ্য পাওয়া যায় । তা ছাড়া আধা আবদ্ধ এ পদ্ধতিতে পালন করলে লাভ বেশী হয়।
মুরগির সাথে অবশ্যই একটি বড় আকারের মোরগ থাকতে হবে। তা না হলে ডিম ফুটানো যাবে না । ডিম পাড়া শেষ হলে মুরগি উমে আসবে । তখন ডিম দিয়ে বাচ্চা ফুটানোর ব্যবস্থা নিতে হয়। এক সঙ্গে একটি মুরগির নীচে ১২-১৪ টি ডিম বসানো যাবে। খামারের আদলে বাঁশ, কাঠ খড়, বিচলী তাল নারকেল সুপারির পাতা দিয়ে যত কম খরচে স্থানান্তর যোগ্য ঘর তৈরী করা সম্ভব তা করা যায়।
উমে বসানো মুরগির পরিচর্যা করতে হবে। মুরগির সামনে পাত্রে সবসময় খাবার ও পানি দিয়ে রাখতে হবে যাতে সে ইচ্ছে করলেই খেতে পারে । তাহলে মুরগির ওজন হ্রাস পাবেনা এতে বাচ্চা তোলার পর আবার তাড়াতাড়ি ডিম পাড়া আরম্ভ করবে।
▣ ডিম বসানোর ৭-৮ দিন পর আলোতে রাতের বেলা ডিম পরীক্ষা করলে বাচ্চা হয় নাই এমন ডিমগুলো চেনা যাবে এবং বের করে অনতে হবে। বাচ্চা হওয়া ডিমগুলো সুন্দর করে সাজিয়ে দিতে হবে। তবে খেয়াল রাখতে হবে যেন মুরগি বিরক্ত না হয়।
▣ প্রতিটি ডিমের গায়ে সমভাবে তাপ লাগার জন্য দিনে কমপেক্ষ ৫-৬ বার ওলট পালট করে দিতে হবে।
▣ বাতাসের আর্দ্রতা কম হলে বিশেষ করে খুব গরম ও শীতের সময় ডিম উমে বসানোর ১৮-২০দিন পর্যন্ত কুসুম গরম পানিতে হাতের আঙ্গুল ভিজিয়ে পানি ছিটিয়ে দিতে হবে।
▣ ডিম ফোটার পর ৫-৬ ঘন্টা পর্যন্ত মাকে দিয়ে বাচ্চাকে উম দিতে হবে। তাতে বাচ্চা শুকিয়ে ঝরঝরে হবে।
গরম কালে বাচ্চার বয়স ৩-৪ দিন এবং শীত কালে ১০-১২ দিন পর্যন্ত বাচ্চার সাথে মাকে থাকতে দিতে হবে। তখন মুরগি নিজেই বাচ্চাকে উম দিবে। এতে কৃত্রিম উমের (ব্রুডিং) প্রয়োজন হবে না। এ সময় মা মুরগিকে খাবার দিতে হবে। মা মুরগির খাবারের সাথে বাচ্চার খাবার ও কিছু আলাদা করে দিতে হবে। বাচ্চা গুলো মায়ের সাথে খাবার খাওয়া শিখবে।
উপরোক্ত বর্নিত সময়ের পর মুরগিকে বাচ্চা থেকে আলাদা করতে হবে। এ অবস্থায় বাচ্চাকে কৃত্রিম ভাবে ব্রুডিং ও খাবার দিতে হবে। তখন থেকেই বাচ্চা পালনের মত বাচ্চা পালন পদ্ধতির সব কিছুই পালন করতে হবে। মা মুরগিকে আলাদা করে লেয়ার খাদ্য দিতে হবে। এ সময় মা মুরগিকে তাড়াতাড়ি সুস্থ হওয়ার জন্য পানিতে দ্রবনীয় ভিটামিন দিতে হবে।
মা মুরগি ও বাচ্চা এমনভাবে আলাদা করতে হবে যেন তারা দৃষ্টির বাহিরে থাকে। এমন কি বাচ্চার চিচি শব্দ যেন মা মুরগি শুনতে না পায়। তা না হলে মা ও বাচ্চার ডাকা ডাকিতে কেউ কোন খাবার বা পানি কিছুই খাবে না। আলাদা করার পর অবস্থার সাথে খাপ খাইয়ে গেলে আর কোন সমস্য থাকে না।
প্রতিটি মুরগিকে এ সময় ৮০-৯০ গ্রাম লেয়ার খাবার দিতে হবে। সাথে সাথে ৫-৭ ঘন্টা চড়ে বেড়াতে দিতে হবে। প্রতি ৩-৪ মাস পর পর কৃমির ঔষধ এবং ৪-৫ মাস পর পর আর.ডি.ভি. টীকা দিতে হবে। দেশে একটি মুরগি ডিম পাড়ার জন্য ২০-২৪ দিন সময় নেয়। ডিম থেকে বাচ্চা ফুটানোর জন্য ২১ দিন সময় নেয়। বাচ্চা লালন পালন করে বড় করে তোলার জন্য ৯০-১১০ দিন সময় নেয় ।
ডিম থেকে এ ভাবে (৯০-১১০ দিন ) বাচ্চা বড় করা পর্যন্ত একটি দেশী মুরগির উৎপাদন চক্র শেষ করতে স্বাভাবিক অবস্থায় ১২০- ১৩০ দিন সময় লাগে। কিন্তু মাকে বাচ্চা থেকে আলাদা করার ফলে এই উৎপাদন চক্র ৬০-৬২ দিনের মধ্যে সমাপ্ত হয়। বাকি সময় মুরগিকে ডিম পাড়ার কাজে ব্যবহার করা যায়। এই পালন পদ্ধতিকে ক্রিপ ফিডিং বলে।
ক্রিপ ফিডিং পদ্ধতিতে বাচ্চা পালন করলে মুরগিকে বাচ্চা পালনে বেশী সময় ব্যায় করতে হয় না। ফলে ডিম পাড়ার জন্য মুরগি বেশী সময় দিতে পারে। এই পদ্ধতিতে বাচ্চা ফুটার সংখ্যা বেশী হয়। দেখা গেছে বাচ্চার মৃত্যুহারও অনেক কম থাকে। মোট কথা অনেক দিক দিয়েই লাভবান হওয়া যায়। এই পদ্ধতি বর্তমানে অনেকে ব্যবহার করে লাভবান হচ্ছেন।
দেশি মোরগ আবদ্ধ ও ছেড়ে পালন করা যায়। তবে ছেড়ে পালন করলে বেশি লাভবান হওয়া যায় কারন মোরগ নিজের খাদ্য নিজে কুড়িয়ে খায়।এরা মুক্ত আলো বাতাস বিশেষ করে প্রচুর সূর্য কিরণে বেড়ে উঠে যা তাদের শরীরে ভিটামিন ‘ডি’ তৈরি করতে সাহায্য করে। এদের খাবারের জন্য তেমন কোন খরচ করতে হয় না।
দেখে শুনে সুস্থ সবল ও নিরোগ মোরগ সংগ্রহ করতে হবে। মূলত ৪০০-৬০০ গ্রামের মোরগ দিয়ে শুরু করলে ভাল ফলাফল আশা করা যায়। কারন ঐ সময়ের পর মোরগ গুলো দ্রুত বাড়ে এবং সঠিক ব্যবস্থাপনা ও পরিচর্যা পেলে ২ মাস পর মোরগ গুলোর গড় ওজন ২ কেজির উপর হবে। প্রতি কিলো দেশি মোরগের মূল্য কেমন আছে সেটা নাই বা বললাম। আপনারা নিজেরা লাভ-ক্ষতি বের করে নিন।
মোরগের জন্য খোলামেলা ঘর হতে হবে। ১.৫ মিটার (৫ ফুট) লম্বা X১.২ মিটার (৪ ফুট) চওড়া এবং ১ মিটার (৩.৫ ফুট) উঁচু ঘর তৈরি করতে হবে। ঘরের বেড়া বাঁশের দরজা বা কাঠের তক্তা দিয়ে তৈরি করতে হবে। এছাড়া মাটির দেয়ালও তৈরি করা যাবে। বেড়া বা দেওয়ালে আলো বাতাস চলাচলের জন্য ছিদ্র থাকতে হবে। ঘরের চাল খড়, টিন বা বাঁশের দরজার সাথে পলিথিন ব্যবহার করে তৈরি করা যাবে। এরকম ঘরে ১০-১৫টি মোরগ পালন করা যায়।
বাড়ির প্রতিদিনের বাড়তি বা বাসী খাদ্য যেমন ফেলে দেওয়া এঁটোভাত, তরকারি,ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা গম, ধান, পোকামাকড়, শাক সবজির ফেলে দেওয়া অংশ, ঘাস, লতা পাতা, কাঁকর, পাথর কুচি ইত্যাদি মুরগি কুড়িয়ে খায়।
ছেড়ে পালন পদ্ধতিতে মুরগি পরিচর্যার জন্য সময় বা লোকজনের তেমন দরকার পড়ে না। তারপরও কিছু বিষয় লক্ষ্য রাখতে হয়। সকালে মুরগির ঘর খুলে কিছু খাবার দিতে হবে। সন্ধ্যায় মুরগি ঘরে ওঠার আগে আবার কিছু খাবার দিতে হবে। ঘরে উঠলে দরজা বন্ধ করে দিতে হবে।
মুরগির পায়খানা ঘরের মেঝেতে যেন লেপ্টে না যায় সেজন্য ঘরের মেঝেতে ধানের তুষ, করাতের গুঁড়া ২.৫ সে.মি. (১ ইঞ্চি) পুরু করে বিছাতে হবে। পায়খানা জমতে জমতে শক্ত জমাট বেঁধে গেলে বারবার তা উলট-পালট করে দিতে হবে এবং কিছুদিন পর পর পরিষ্কার করতে হবে। এ পদ্ধতিতে দেশি মোরগ পালন করা গেলে প্রায় তেমন কোন খরচ ছাড়াই ভাল একটা মুনাফা পাওয়া যাবে।
বাড়ির আশপাশে চরে বেড়িয়ে বাড়ির উচ্ছিষ্ট খাবার, পোকামাকড়, কেঁচো, কচি ঘাসপাতা খায় তারা। সে অর্থে প্রতিপালনের কোনও খরচ নেই বললে চলে। আপাতদৃষ্টিতে লাভজনক মনে হলেও আসলে অতটা লাভ হয় না। ছাড়া মুরগি অন্যত্র ডিম পেড়ে আসে, কখনও রোগে মারা যায়। তাই দেশি মুরগির পালন লাভজনক করতে হলে কিছু নিয়ন্ত্রণ থাকা দরকার, সে জাত নির্বাচনেই হোক বা রোগ পরিচর্যায়।
প্রথমে আসি মুরগির জাতে। ব্রয়লার খামারের হাইব্রিড মুরগি উঠোনে ছেড়ে পালন করা যায় না। তাই খাঁটি জাতগুলোকে বাছতে হবে। যেমন, রোড আইল্যান্ড রেড (আরআইআর) বা ব্ল্যাক অস্ট্রালর্প। রঘুনাথপুর, বালুরঘাটের রাজ্য মুরগি খামারে লাল বা আরআইআর এবং কালো বা ব্ল্যাক অস্ট্রালর্প মুরগির বাচ্চা পাওয়া যায়। ইদানীং কালে বনরাজা, গিরিরাজা, গ্রামরপ্রিয়া ইত্যাদি জাত কৃত্রিম ভাবে তৈরি করা হয়েছে।
মুরগী রাতে রাখার জন্য ঘর বানাতে হবে। মাটি থেকে সামান্য উপরে বাঁশ বা কাঠ দিয়ে কম খরচে খড় বা টালি ঢেকে তৈরি ঘরগুলো যেন শুকনো, পরিষ্কার হয়। আর আলো-বাতাস খেলে। প্রতিটি মুরগীর জন্য গড়ে তিন বর্গফুট জায়গা ধরতে হবে।
দেশি মুরগি চরে বেড়িয়ে তার খাবার সংগ্রহ করে নিলেও এ ধরনের উন্নত জাতের মুরগির পুরো উৎপাদন ক্ষমতা কাজে লাগাতে অল্প পরিমাণে সুষম খাবার দেওয়া প্রয়োজন।
চালের গুঁড়ো (৩০০ গ্রাম), খুদ বা গম ভাঙা (২৮০ গ্রাম), সর্ষে/তিল খৈল (২০০ গ্রাম), মাছ বা সোয়াবিন গুঁড়ো (২০০ গ্রাম), ভিটামিন ও খনিজ লবণ মিশ্রণ (২০ গ্রাম)।
মুরগির সংখ্যা অনুযায়ী মাথা পিছু ৫০-৭০ গ্রাম হিসাবে অর্ধেক সকালে ও অর্ধেক বিকালে খেতে দিতে হবে। রাতে মুরগি রাখার যে ঘর আছে, সেখানে নির্দিষ্ট পাত্রে জল ও খাবার দিতে হবে। যাতে সকালে ঘর থেকে বেরনো বা পরে ঘরে ঢোকার সময় ওই খাবার ও জল খাওয়া অভ্যাস তৈরি হয়। এই অভ্যাস থাকলে ওষুধ গুলে খাওয়াতে সুবিধা হয়। মুরগির খাবার সবসময় শুকনো ও পরিষ্কার রাখতে হবে। বেশি দিন জমা রাখলে ছত্রাক সংক্রমণ ঘটে।
সংকরায়ণ পদ্ধতিতে দেশি মুরগির সঙ্গে উন্নত মোরগ রেখে প্রাকৃতিক প্রজনন ঘটিয়ে দেশি মুরগির জিনগত উৎকর্ষতা বাড়ানো যায়। প্রতি ১০টি দেশি মুরগি পিছু ১টি উন্নত জাতের মোরগ রাখতে হবে। যে সংকর মুরগি জন্মাবে, তা দেশি মুরগির চেয়ে দ্রুত (৪-৫ মাস বয়সে) এবং প্রায় দ্বিগুণ (বছরে ১২০-১৪০টি) ডিম দেবে।
রোগব্যাধি মুরগি পালনের অন্যতম সমস্যা। তাই নিয়মিত মুরগির ঘর চুন বা জীবাণুনাশক দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে।
প্রতি ২ মাসে একবার করে কৃমিনাশক ওষুধ (পাইপেরাজিন তরল বয়স অনুযায়ী ০.৫-১ মিলি) জলে গুলে খাওয়াতে হবে। রানিক্ষেত বা বসন্তের মতো কয়েকটি সংক্রামক রোগ প্রতিরোধে নিয়মিত টিকাকরণ জরুরি। টিকা দেওয়ার দশ দিন আগে কৃমির ওষুধ খাওয়াতে হবে।
বিশেষত রানিক্ষেত( বিসিআরডিভি টিকা ৭-১০ দিন বয়সে চোখে এক ফোঁটা, ৩০ দিন বয়সে আর এক বার, ২ মাস বয়সে প্রথম কৃমির ওষুধ এবং আড়াই মাস বয়সে ডানার তলায়( ফাউল পক্স) ০.৫ মিলি ইঞ্জেকশন অবশ্যই নিতে হবে। ৩ মাস বয়সে ( আরডিভি টিকা) ১ সিসি করে রানের মাংসে এবং প্রতি ৩ মাস পর পর আরডিভি টিকা দিতে হবে।
দেশী মুরগি বানিজ্যিকভাবে পালন কৌশল আয় বৃদ্ধি ও পারিবারিক পুষ্টির নিশ্চয়তা বিধানে দেশী মুরগী প্রতিপালন বিশেষ অবদান রাখতে পারে । আমরা সবাই বলে থাকি দেশী মুরগির উৎপাদন কম । কিন্তু বিভিন্ন পর্যায়ে বিশেষ লক্ষ্য এবং ব্যবস্থা গ্রহণ করে দেশী মুরগীর উৎপাদন দ্বিগুনের ও বেশী পাওয়া সম্ভব। দেশী মুরগি থেকে লাভ জনক উৎপাদন পওয়ায় বিভিন্ন কৌশল এখানে বর্ননা করা হয়েছে।
আরেকটি প্রয়োজনীয় ̧গুরুত্বপূর্ন কাজ। ডিম পাড়ার পর ডিম সসংগ্রহের সময় পেন্সিল দিয়ে ডিমের গায়ে তারিখ লিখে ঠান্ডা জায়গায় সংরক্ষন করতে হবে। ডিম পাড়া শেষ হলেই মুরগি কুঁচো হবে। গরম কালে ৫-৬ দিন বয়সের ডিম এবং শীত কালে ১০-১২ দিন বয়সের ডিম ফুটানোর জন্য নির্বাচন করতে হবে।
বাংলাদেশের গ্রাম এলাকায় প্রায় প্রতিটি পরিবার দেশী মুরগি পালন করে থাকে। এদের উৎপাদন ক্ষমতা বিদেশী মুরগির চেয়ে কম। উৎপাদন ব্যয়ও অতি নগণ্য। এটি অধিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পন্ন। এদের মাংস ও ডিমের মূল্য বিদেশী মুরগীর তুলনায় দ্বিগুণ, এর চাহিদাও খুবই বেশী। দেশী মুরগির মৃত্যুহার বাচ্চা বয়সে অধিক এবং অপুষ্টিজনিত কারনে উৎপাদন আশানুরূপ নয়। বাচ্চা বয়সে দেশী মোরগ-মুরগির মৃত্যুহার কমিয়ে এনে সম্পূরক খাদ্যের ব্যবস্থা করলে দেশী মুরগি থেকে অধিক ডিম ও মাংস উৎপাদন করা সম্ভব।
আয় বৃদ্ধি ও পারিবারিক পুষ্টির নিশ্চয়তা বিধানে দেশী মুরগী প্রতিপালন বিশেষ অবদান রাখতে পারে । আমরা সবাই বলে থাকি দেশী মুরগির উৎপাদন কম কিন্তু বিভিন্ন পর্যায়ে বিশেষ লক্ষ্য এবং ব্যবস্থা গ্রহণ করে দেশী মুরগীর উৎপাদন দ্বিগুনের ও বেশী পাওয়া সম্ভব।
বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট দেশী মুরগি উৎপাদনে উন্নত কৌশল শীর্ষক প্রযুক্তিটি উদ্ভাবন করেছে। এ কৌশল ব্যবহার করে খামারিরা দেশী মুরগি থেকে অধিক ডিম ও মাংস উৎপাদন করে পারিবারিক পুষ্টি ও আয় বৃদ্ধি করতে সক্ষম হবে।
(সংগ্রহিত)
See lessছাগলটির জ্বর কেন হয়েছে তা খুজে বের করুন! আপনি যদি এটা বুঝতে পারেন যে আপনার গরুরর কেন জ্বর হয়েছে ধরুন আপনার চিকিৎসা অর্ধেকটা এগিয়ে গেলেন। মনে রাখবেন, জ্বর একটা উপসর্গ বা লক্ষণ মাত্র। জ্বরের পাশা পাশি আর কোন কোন লক্ষণ রয়েছে সেগুলো দেখতে ও বুঝতে করতে হবে। অতপর সবগুলো বিষয় মিলিয়ে এটা বুঝতে হবে যে, এগুলোRead more
ছাগলটির জ্বর কেন হয়েছে তা খুজে বের করুন! আপনি যদি এটা বুঝতে পারেন যে আপনার গরুরর কেন জ্বর হয়েছে ধরুন আপনার চিকিৎসা অর্ধেকটা এগিয়ে গেলেন।
মনে রাখবেন, জ্বর একটা উপসর্গ বা লক্ষণ মাত্র। জ্বরের পাশা পাশি আর কোন কোন লক্ষণ রয়েছে সেগুলো দেখতে ও বুঝতে করতে হবে।
অতপর সবগুলো বিষয় মিলিয়ে এটা বুঝতে হবে যে, এগুলো কোন রোগকে বা কোন সমস্যাটিকে নির্দেশ করছে।
এবং তারপর আপনি জ্বরের এবং সেই রোগ/সমস্যাটির চিকিৎসা/সমাধান শুরু করে দিবেন…
অবশ্যই আপনার পশুর জ্বর ভালো হবে।
গরুর জ্বর এসেছে, আপনি জ্বরের চিকিৎসা করতে থাকলেন, এতে জ্বর ভালো হবে না, কারণ ও রোগ বা সমস্যিাটি যেমন ছিল তেমনই থেওকে যাবে।
আপনার ছাগলের জ্বর আসলে কেমন তা জানতে জ্বর পরিমাপ করুন। তাপমাত্রা নির্ণয়ের পরিবেশঃ
১. ছায়াতে বিশ্রামরত অবস্থায় শান্ত পরিবেশে তাপমাত্রা নেয়া উচিত।
২. প্রখর রৌদ্র বা বৃষ্টির মধ্যে থাকা অবস্থায় গবাদিপশুর তাপমাত্রা নেয়া উচিত নয়।
৩. দীর্ঘপথ হাটা বা দৌড়ানোর পর ক্লান্ত অবস্থায় তাপমাত্রা নির্ণয় করা সঠিক নয়।
৪. পশু উত্তেজিত অবস্থায় থাকলে স্বাভাবিক তাপমাত্রা নির্ণয় করা যায় না।
তাপমাত্রা দেখার নিয়মঃ
গবাদিপশুর মলদ্বারে থার্মোমিটার প্রবেশ করিয়ে কমপক্ষে এক মিনিটকাল রেখে বের করে
নিতে হয়। এরপর থার্মোমিটারে পারদের মাপ দেখে তাপমাত্রা নির্ণয় করা যায়। চিত্রে গবাদিপশুর দেহের স্বভাবিক তাপমাত্রা উল্লেখ করা হয়েছে।
আশা করি আপনার প্রশ্নে উত্তরটি দিতে পেরেছি।
See lessশামুক ধ্বংস করার পদ্ধতি হলো: ০.৫% কপার সালফেট খাল, বিল, ডোবা, নালা, হাওর, পুকুরের পানিতে প্রয়োগ করার মাধ্যমে শামুক ধ্বংস করা যায়।
শামুক ধ্বংস করার পদ্ধতি হলো: ০.৫% কপার সালফেট খাল, বিল, ডোবা, নালা, হাওর, পুকুরের পানিতে প্রয়োগ করার মাধ্যমে শামুক ধ্বংস করা যায়।
See lessগরুর রোগ: ক্ষুরা রোগ (F.M.D) চিকিৎসা/ঔষধপত্রঃ For a Cow (একটি গাভীর জন্য) Rx- (1) Pow. Sumid Vet/Sulfavet/Pow. Nilamide 10gm ঔষধ প্রয়োগের নিয়ম: আক্রান্ত পায়ের ক্ষত পটাশের পানি দ্বারা ধুয়ে দেওয়ার পর সুমিড ভেট পাউডার দিনে ৩-৪ বার লাগাতে হবে ঘা না শুকানো পর্যন্ত। (2) Potassium Permenganate 5Read more
For a Cow (একটি গাভীর জন্য)
Rx-
(1) Pow. Sumid Vet/Sulfavet/Pow. Nilamide 10gm
ঔষধ প্রয়োগের নিয়ম: আক্রান্ত পায়ের ক্ষত পটাশের পানি দ্বারা ধুয়ে দেওয়ার পর সুমিড ভেট পাউডার দিনে ৩-৪ বার লাগাতে হবে ঘা না শুকানো পর্যন্ত।
(2) Potassium Permenganate 5 gm
ঔষধ প্রয়োগের নিয়ম: আক্রান্ত মুখ ও পা ০.০১% সলুশন করে বা কয়েকটি পটাশের দানা পানিতে ছেড়ে দিলে হালকা বেগুনী রং হলে তা দিয়ে মুখ ও পা দিনে ৩-৪ বার ধুইয়ে দিতে হবে।
(3) Inj. Salidone vet/Inj, Diadin/Sulfasol vet 30 ml × 6 vials
ঔষধ প্রয়োগের নিয়ম: ৫০ মি.লি শিরায়/মাংসে ১ম দিন এবং পরের দিন থেকে ৩০-৪০ মি.লি শিরায়/মাংসে পর পর ৩ দিন দিতে হবে।
(4) Inj. Renafen vet/Inj. Ketovet/Inj. Kopvet 10 ml × 2 vials
ঔষধ প্রয়োগের নিয়ম: ১০-১৫ মি.লি মাংসপেশীতে পর পর ২-৩ দিন।
(5) Oil of Turpentine 500 ml 1 bottle/Sol. FMD cure/Oint. Dressgel-FR
ঔষধ প্রয়োগের নিয়ম: আক্রান্ত পায়ের ক্ষুরের আশে পাশে তুলা দ্বারা লাগাতে হবে। যাতে মাছি পড়ে পোকা না দিতে পারে।
See lessআসলেই কি জাইমোভেট কাজ করে? জাইমোভেট পাউডার হার্বাল নাকি এলোপ্যাথি? জাইমোভেট অতিরিক্ত খাওয়ালে কোন অসুবিধা হতে পারে কি? কি পরিমাণে কি নিয়মে খাওেয়ালে ভালো হয়? ভাইমোভেট নিয়মিত খাওনো যায় কোন কারণ ছাড়া?
জাইমোভেট একমি কোম্পানির পাউডার ঔষধ। সব ঔষধের দোকানে এটি পাবেন। জাইমোভেট মূলত ভেষজ উপাদান সমৃদ্ধ পাউডার যা খাবার পানির সাথে গুলিয়ে খাওয়াতে হয়। জাইমোভেট এর কাজঃ ১. গরুর পেটে গ্যাস হলে জাইমোভেট পাওডার তা উপসমে কাজ করে। ২. গরু, মহিষ, ঘোড়া, ছাগল, ভেড়া ইত্যাদি গবাদি পশুর হজম ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। ৩Read more
জাইমোভেট একমি কোম্পানির পাউডার ঔষধ। সব ঔষধের দোকানে এটি পাবেন। জাইমোভেট মূলত ভেষজ উপাদান সমৃদ্ধ পাউডার যা খাবার পানির সাথে গুলিয়ে খাওয়াতে হয়।
১. গরুর পেটে গ্যাস হলে জাইমোভেট পাওডার তা উপসমে কাজ করে।
২. গরু, মহিষ, ঘোড়া, ছাগল, ভেড়া ইত্যাদি গবাদি পশুর হজম ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
৩. গবাদিপশুর পেটের পিএইচ এর মান নিয়ন্ত্রিত রাখতে সাহায্য করে।
জাইমোভেটের উপাদান গুলো দেখে আমরা সহজেই বুঝতে পারি যে পেট ফাঁপা বা গ্যাসের জন্য এটি চমৎকার ঔষধ। এটি ৫ টি উপাদান দিয়ে তৈরিঃ
গরুর রোগ: গর্ভধারণ হার বৃদ্ধির জন্য (To Increase Conception Rate) চিকিৎসা/ঔষধপত্রঃ For a Cow (একটি গাভীর জন্য) Rx- Inj. Ovurelin 20ml/Inj. Fertagyl 5ml/Inj. Fertilon 5 ml × 1 vial ঔষধ প্রয়োগের নিয়ম: কৃত্রিম প্রজনন করার ১ ঘণ্টা পূর্বে উপরোক্ত যে কোন একটি ইঞ্জেকশন ৫ মি.লি মাংসপেশীতে দিতে হবে।
For a Cow (একটি গাভীর জন্য)
Rx-
Inj. Ovurelin 20ml/Inj. Fertagyl 5ml/Inj. Fertilon 5 ml × 1 vial
ঔষধ প্রয়োগের নিয়ম: কৃত্রিম প্রজনন করার ১ ঘণ্টা পূর্বে উপরোক্ত যে কোন একটি ইঞ্জেকশন ৫ মি.লি মাংসপেশীতে দিতে হবে।
See lessছাগলের যে সকল অসুখ হয় তা হলোঃ সর্দি, কাশি, জ্বর, গলাফুলা, নিউমোনিয়া। টিটেনাস, বাদলা, তড়কা, পিপিআর। ডাইরিয়া, পেট ফাঁপা/ফুঁলা, বদহজম। এফএমডি, কৃমি। চোখ দিয়ে পানি পড়া, নাক দিয়ে পানি পড়া। দাউদ, উঁকুন, ফোসকা। বসন্ত, জলাতঙ্ক। কন্টাজিয়াস একথাইমা। এন্টেরোটক্সিমিয়া। পিকা ডিজিজ। অকাল গর্ভপাত। নাইট্রেট এবং নাইRead more
ছাগলের যে সকল অসুখ হয় তা হলোঃ
সর্দি, কাশি, জ্বর, গলাফুলা, নিউমোনিয়া।
টিটেনাস, বাদলা, তড়কা, পিপিআর।
ডাইরিয়া, পেট ফাঁপা/ফুঁলা, বদহজম।
এফএমডি, কৃমি।
চোখ দিয়ে পানি পড়া, নাক দিয়ে পানি পড়া।
দাউদ, উঁকুন, ফোসকা।
বসন্ত, জলাতঙ্ক।
কন্টাজিয়াস একথাইমা।
এন্টেরোটক্সিমিয়া।
পিকা ডিজিজ।
অকাল গর্ভপাত।
নাইট্রেট এবং নাইট্রাইট বিষক্রিয়া।
রিকেট ও অস্থিকোমলতা, শিং ভাঙা।
বাচ্চা পড়ে যাওয়া, প্রসবে জটিলতা, ডাকে না আসা।
আরও অনেক। চলবে…
আমাদের দেশে ছাগল ছোট বড় প্রায় ৫০ এরও অধিক রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকে প্রতিটি রোগের মূল কারণ সুষম খাদ্যের অভাব, কৃমি আক্রান্ত ও বাসস্থান, আবহাওয়া, অব্যবস্থাপনা, পরিচর্যার ঘাতটি।
তাই সুষম খাদ্যের জোগান দেয়া কৃমি মুক্ত রাখা আবহাওয়া মানানসই বাসস্থান দেয়া। সাধারণত ভালো স্বাস্থ্য সম্পন্ন ছাগল গুলির রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ভালো হয়ে থাকে। ছাগলের খাদ্যে যথাযথ পুষ্টি নিশ্চিত করতে পারলেই তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এমনিতেই ভালো হবে।
See less
সমস্যা: পি পি আর রোগ (PPR Disease) চিকিৎসা/ঔষধপত্রঃ For a Big Goat (একটি বড় ছাগলের জন্য) Rx- (১) Inj. Antihista-Vet/Niravet/Histacin Vet 10ml x 1 vial ব্যবহারের নিয়ম: ২ মি.লি মাংসপেশীতে পর পর ৫ দিন দিতে হবে। (২) Inj. DNS/Inj. Saloride/Inj. Dexoride/Inj. 5% Dextrose Saline x 500 ml. ব্যবহারেRead more
সমস্যা: পি পি আর রোগ (PPR Disease) চিকিৎসা/ঔষধপত্রঃ
For a Big Goat (একটি বড় ছাগলের জন্য)
Rx-
(১) Inj. Antihista-Vet/Niravet/Histacin Vet 10ml x 1 vial
ব্যবহারের নিয়ম: ২ মি.লি মাংসপেশীতে পর পর ৫ দিন দিতে হবে।
(২) Inj. DNS/Inj. Saloride/Inj. Dexoride/Inj. 5% Dextrose Saline x 500 ml.
ব্যবহারের নিয়ম: ৫০০ মি.লি ডেক্সট্রোজ স্যালাইন শিরায় দিতে হবে।
(৩) Bol. Streptosulfa/Sulpha-Plus/Sulphadin-S 5 gm x 4
ব্যবহারের নিয়ম: ½ + 0 + ½ Tab. ৪ দিন খাওয়াতে হবে।
(৪) Inj. Dimi-Vet 30 ml/Inj. Chemodin 30 ml/Inj. Diadin 30 ml/Inj. Sulfasol 30 ml x 2 vials
ব্যবহারের নিয়ম: ৮-১২ মি.লি শিরায়/মাংসে পর পর ৪-৫ দিন দিতে হবে।
See less