আমরা জানা মতে মতে দ্রুত মনের ইচ্ছা পূরনের জন্যে কিছু গুরুত্বপূর্ণ আমল আমি তুলে ধরলাম- মহিলারা আউয়াল ওয়াক্তে ৫ ওয়াক্ত নামাজ পড়ুন। আর পুরুষরা মসজিদে জামায়াতে নামাজ আদায় করুন। সকল হারাম কাজ পরিহার করুন। বেশি বেশি তওবা করুন। বেশি বেশি ইস্তেগফার করুন। (আসতাগফিরুল্ল-হ)। নফল নামায পড়ুন (ইচ্ছা পূরনের নিয়তRead more
আমরা জানা মতে মতে দ্রুত মনের ইচ্ছা পূরনের জন্যে কিছু গুরুত্বপূর্ণ আমল আমি তুলে ধরলাম-
- মহিলারা আউয়াল ওয়াক্তে ৫ ওয়াক্ত নামাজ পড়ুন। আর পুরুষরা মসজিদে জামায়াতে নামাজ আদায় করুন।
- সকল হারাম কাজ পরিহার করুন।
- বেশি বেশি তওবা করুন। বেশি বেশি ইস্তেগফার করুন। (আসতাগফিরুল্ল-হ)।
- নফল নামায পড়ুন (ইচ্ছা পূরনের নিয়তে)।
- কুরআন তিলাওয়াত করে, দুআ করুন।
- বেশি বেশি দরুদ পাঠ করুন।
- সামর্থ্য অনুযায়ী দান করুন।
- অনুপস্থিত ব্যক্তির জন্য দু’আ, কোন মুসলিমের অগোচরে অন্য মুসলিমের দু’আ কবুল হয়।
- জালিমের বিরুদ্ধে মাজলুম ব্যক্তির দু’আ কবুল হয়।
- বাবা তার সন্তানের জন্য দু’আ করলে, কবুল হয়৷
- নেককার সন্তানের দু’আ বাবা-মায়ের জন্য তাদের মৃত্যুর পর কবুল হয়।
- আরাফাতের ময়দানে দু’আ কবুল হয়।
- বিপদগ্রস্ত অসহায় ব্যক্তির দু’আ কবুল হয়।
- সেজদায় দু’আ কবুল হয়।
- হজ্জের স্থানসমূহে দু’আ কবুল হয়। যেমন: আরাফাহ, মুজদালিফা, মিনা…।
- হজ্জ করা অবস্থায় হাজীর দু’আ কবুল হয়।
- উমরাহ করার সময় উমরাহকারীর দু’আ কবুল হয়।
- আযানের পর দু’আ কবুল হয়।
- বৃষ্টি বর্ষণকালে দু’আ কবুল হয়।
- শেষ রাতের দু’আ, তাহাজ্জুদের সময়কার দু’আ কবুল হয়।
- তাহাজ্জুদ নামাজে সেজদায় গিয়ে, আল্লাহ তাআলার কাছে আপনার মনের সব ইচ্ছা প্রকাশ করুন।আরবিতে না পারলে বাংলায় বলুন, কোনো সমস্যা নাই।
- জুম্মার দিনে আসরের শেষ দিকে দু’আ কবুল হয়।
- লাইলাতুল ক্বদরের রাত্রির দু’আ কবুল হয়।
- আযান ও ইকামতের মধ্যবর্তী সময়কার দু’আ কবুল হয়।
- ফরয নামাজের শেষ অংশে দু’আ কবুল হয় (সালাম ফিরানোর আগে)।
- মুসাফিরের দু’আ কবুল হয় (সফর অবস্থায়)।
- রোজাদার ব্যক্তির দু’আ কবুল হয় (রোজা অবস্থায়)।
- সম্ভব হলে, সোমবার ও বৃহস্পতিবার রোজা রেখে, সেহরির সময় এবং ইফতার সামনে রেখে দুআ করুন।
- ন্যায়পরায়ণ শাসকের দু’আ কবুল হয়।
- দুআ ইউনুস পাঠ করে দু’আ করলে কবুল হয়।
- ইসমে আযম পড়ে দু’আ করলে কবুল হয়।
- বিপদে পতিত হলে যে দু’আ পড়া হয় (ইন্না লিল্লা-হি… রজিউন) এবং (আল্ল-হুম্মা আজিরনি ফি মুসিবাতি ওয়া ওয়াখলুফলী খইরম মিনহা…) তখন দু’আ কবুল হয়।
- জমজমের পানি পান করার পর দু’আ কবুল হয়।
- নির্যাতিতের দু’আ কবুল হয়।
- দুই হাত তুলে দোয়া করা, আল্লাহ বান্দার খালি হাত ফিরিয়ে দিতে লজ্জাবোধ করেন।
বিশেষ ভাবে মনে রাখতে হবে যে, দুআ করার আগে আল্লাহ তাআলার প্রশংসা করুন।দুআ করার আগে ও পরে অবশ্যই দরুদ পাঠ করতে ভুলবেন না। আল্লাহর তাআলার উপর পূর্ণ ভরসা রাখুন। নিশ্চয়ই আল্লাহ তাআলা আপনার মনের ইচ্ছা পূরন করবেন। ইনশা-আল্লাহ। (যদি তিনি আপনার জন্য তা ভালো মনে করেন)। আর না হলে, আপনি যা চেয়েছেন, তার চাইতে ও উত্তম প্রতিদান আপনি অবশ্যই আল্লাহ তাআলার পক্ষ হতে পাবেন, ইনশা-আল্লাহ।
জাযাকুমুল্লাহু খইরন।
See less
আলেমরা কয়েক ভাগে বিভক্ত- প্রথম দলঃ তারা তাওহিদের মর্ম কথা, প্রয়োজনীয়তা ও তার শ্রেণী বিন্যাসকে যথাযথভাবে বুঝেছেন। পাশাপাশি তাকে বিনষ্টকারী- শিরকের প্রকৃতি, ক্ষতিকর দিকসমূহ ও তার শ্রেণী-বিভাগ সম্পর্কেও প্রয়োজনীয় ব্যুৎপত্তি অর্জন করেছেন। এরপর সঠিক নিয়মে সে সব বিষয়ে মানুষদেরকে অবহিত করছেন নিরলসভাRead more
আলেমরা কয়েক ভাগে বিভক্ত-
প্রথম দলঃ
তারা তাওহিদের মর্ম কথা, প্রয়োজনীয়তা ও তার শ্রেণী বিন্যাসকে যথাযথভাবে বুঝেছেন। পাশাপাশি তাকে বিনষ্টকারী- শিরকের প্রকৃতি, ক্ষতিকর দিকসমূহ ও তার শ্রেণী-বিভাগ সম্পর্কেও প্রয়োজনীয় ব্যুৎপত্তি অর্জন করেছেন। এরপর সঠিক নিয়মে সে সব বিষয়ে মানুষদেরকে অবহিত করছেন নিরলসভাবে। এ ক্ষেত্রে তারা কুরআন ও সহিহ হাদিসকেই রেফারেন্স হিসাবে গ্রহণ করেছেন। ফলে, নবীদেরকে যেমন মিথ্যা অপবাদের সম্মুখীন হতে হয়েছিল তাদের ক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। প্রতি:নিয়ত প্রতিবাদ-প্রতিরোধ, বাধা-বিপত্তি, নির্যাতন-নিপীড়নের শিকার হচ্ছেন। তবে তারা আদর্শ হিসাবে গ্রহণ করেছেন নবীদেরকে তাই সহ্য করে চলেছেন শত বাধা ও নির্যাতন। দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলেছেন আল্লাহর যমিনে আল্লাহর দ্বীন প্রতিষ্ঠার পূণ্যময় মহান কাজে। কোনোভাবেই কর্তব্য-কাজ হতে বিরত হচ্ছেন না মুহূর্তের জন্যও।
তাদের পাথেয় হচ্ছে আল্লাহ তাআলার মহান বাণী,
লুকমান (আঃ) তাঁর ছেলেকে উপদেশ দিয়ে বলেছেন:
দ্বিতীয় দল:
যারা ইসলামের মূল ভিত্তি তাওহিদের দিকে দাওয়াত দেয়াকে খুব বেশী গুরুত্ব দেন না। তারা ঘুরে ফিরে মানুষকে আকিদাহ-বিশ্বাস সহিহ না করেই সালাত, ইসলামী রাষ্ট্র গঠন ও জিহাদের দিকে ডাকে। মনে হয় তাঁরা আল্লাহ তাআলার সে বাণীটি শুনেননি, যাতে তিনি শিরক সম্বন্ধে সতর্ক করে বলেছেন,
আল্লাহ বলেন:
যদি তারা নবী-রাসূলদের অনুসরণ করে তাওহিদকে অগ্রাধিকার দিতেন তাহলে তাদের দাওয়াত জয়যুক্ত হত এবং আল্লাহ তাদের সাহায্য করতেন, যেমন সাহায্য করেছিলেন তিনি নবী-রাসূলদের।
আল্লাহ বলেন:
তোমাদের মধ্যে যারা ঈমান আনে এবং সৎকর্ম করে আল্লাহ তাদেরকে এ মর্মে ওয়াদা দিয়েছেন যে, তিনি নিশ্চিতভাবে তাদেরকে যমীনের প্রতিনিধিত্ব প্রদান করবেন, যেমন তিনি প্রতিনিধিত্ব প্রদান করেছিলেন তাদের পূর্ববর্তীদের এবং তিনি অবশ্যই তাদের জন্য শক্তিশালী ও সুপ্রতিষ্ঠিত করবেন তাদের দীনকে, যা তিনি তাদের জন্য পছন্দ করেছেন এবং তিনি তাদের ভয়-ভীতি শান্তি-নিরাপত্তায় পরিবর্তিত করে দেবেন। তারা আমারই ইবাদাত করবে, আমার সাথে কোন কিছুকে শরীক করবে না। আর এরপর যারা কুফরী করবে তারাই ফাসিক। (সূরা নূর: আয়াত ৫৫)।
তৃতীয় দল:
আলেমদের মধ্যে তৃতীয় একটি দল আছে, তারা মানুষের শত্রুতার ভয়ে অথবা চাকরির ভয়ে কিংবা নিজেদের পজিশন নষ্ট হয়ে যাওয়ার ভয়ে তাওহিদের দাওয়াত দেন না এবং শিরকের বিরুদ্ধে আন্দোলন-সংগ্রাম করেন না। আল্লাহ তাআলা দ্বীনের তাবলীগ করার জন্য তাদেরকে যে ইলম ও মেধা দান করেছেন তা তারা গোপন করে রাখছেন।
তাদের তরে আল্লাহর নিম্নোক্ত বাণী খুবই প্রযোজ্য:
আল্লাহ দ্বীনের পথে আহবানকারীদের সম্বন্ধে বলেন:
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:
চতুর্থ দল:
আলেমদের চতুর্থ দলটির বক্তব্য হচ্ছে, কেবলমাত্র আল্লাহর নিকটই দোয়া করতে হবে এমন কোনো কথা নেই। বরং নবী, আউলিয়া ও মৃতদের কাছে দোয়া করা জায়েয। তারা বলেন, আল্লাহ ছাড়া অন্যের কাছে দোয়া করার ব্যাপারে সতর্ক করে যে সব আয়াত নাযিল হয়েছে তা শুধু মুশরিকেদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। মুসলিমদের কেউই মুশরিকদের অন্তর্ভূক্ত নয়।
মনে হচ্ছে তারা আল্লাহ তাআলার সে বাণীটি শুনতে পানরি যাতে তিনি বলেছেন,
এই আয়াত হতে বুঝা যাচ্ছে শিরকের মধ্যে মুমিন-মুসলিমও পতিত হতে পারে, যা আজ অধিকাংশ মুসলিম দেশেই পরিলক্ষিত হচ্ছে। এসব আলেম আল্লাহ ছাড়া অন্যের কাছে দোয়া করা, মসজিদে কবর দেয়া, কবরের চরিদিকে তাওয়াফ করা, ওলী-আউলিয়াদের নামে নযর-মানত দেয়া সহ বহু শিরক, বিদআত ও মারাত্মক মারাত্মক মন্দ কাজকে মুবাহ করে দিয়েছে।
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের ব্যাপারে সাবধান করে বলে গেছেনঃ
খুবই বিস্ময়কর ব্যাপার! একবার একটি প্রশ্নের জবাবে জামেয়া আযহারের জনৈক শায়খ কবরের দিকে সালাত আদায় করাকে জায়েয বলে মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, কেন কররের দিকে সালাত আদায় করা জায়েয হবে না? অথচ আল্লাহর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মসজিদে নববীতে শায়িত আছেন এবং মানুষ তার কবরের দিকে সালাত আদায় করছে।
আমরা তার যুক্তি খন্ডন করে বলতে পারি, প্রথমত: নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে মসজিদে দাফন করা হয়নি। বরং তাঁকে দাফন করা হয় আয়েশা রা.-এর ঘরে। উমাইয়াদের সময় তাঁর কবরকে মসজিদের ভিতরে প্রবেশ করান হয়। দ্বিতীয়ত: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কবরের দিকে সালাত আদায় করতে নিষেধ করেছেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সব সময় পাঠ করতেন:
পঞ্চম দল:
এমন আলেম যারা নিজ বুজুর্গদের কথা মান্য করে আর আল্লাহর হুকুম অমান্য করার ব্যাপারে তাদের আনুগত্য করে। প্রকৃত অর্থে তারা নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর উপদেশের বিপরীতে অবস্থান নিয়েছে, নবীজী বলেন,
এতে করে তারা অতি শীঘ্রই কিয়ামত দিবসে আফসোস করবে, যে দিন আফসোসে কোনো কাজ হবে না।
আল্লাহ কাফেরদের আযাব বর্ণনা করছেন, যারা তাদের পথ অনুসরণ করবে তাদের সম্বন্ধেও বলছেন:
আল্লামা ইবনে কাসির রহ. এই আয়াতের তাফসীরে বলেন, আমরা নেতাদের ও বড় বড় বুজুর্গদের অনুসরণ করেছিলাম আর বিরোধিতা করেছিলাম রাসূলদের। এবং এ ধারণা পোষণ করেছিলাম যে, নিশ্চয়ই তাঁদের কাছে কিছু আছে এবং তারাও কোনো কিছুর উপর আছে। কিন্তু এখন দেখছি তারা কোনো কিছুরই উপর নেই।
See less