আমেরিকান ক্যানসার রিসার্চ ইনস্টিটিউটের তালিকায় ক্যানসার প্রতিরোধী দশম খাবার হিসেবে স্থান করে নিয়েছে ব্রোকলি। এতে উচ্চমাত্রায় বিভিন্ন রকমের পুষ্টি, আঁশ, ভিটামিন সি, ভিটামিন কে, আয়রন ও পটাশিয়াম রয়েছে। অন্যান্য সবজির চেয়ে ব্রোকলিতে প্রোটিনের পরিমাণ তুলনামূলক বেশি। ব্রোকলির পুষ্টি উপাদান: কাঁচা ব্রোকলিতRead more
আমেরিকান ক্যানসার রিসার্চ ইনস্টিটিউটের তালিকায় ক্যানসার প্রতিরোধী দশম খাবার হিসেবে স্থান করে নিয়েছে ব্রোকলি। এতে উচ্চমাত্রায় বিভিন্ন রকমের পুষ্টি, আঁশ, ভিটামিন সি, ভিটামিন কে, আয়রন ও পটাশিয়াম রয়েছে। অন্যান্য সবজির চেয়ে ব্রোকলিতে প্রোটিনের পরিমাণ তুলনামূলক বেশি।
ব্রোকলির পুষ্টি উপাদান: কাঁচা ব্রোকলিতে ৯০ ভাগই পানি থাকে। এতে কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ ৭ শতাংশ, প্রোটিন ৩ শতাংশ এবং চর্বি নেই বললেই চলে। এতে ক্যালরির পরিমাণও কম। ৯১ গ্রাম ব্রোকলির মধ্যে ৩১ ক্যালরি থাকে।
ব্রোকলিতে রয়েছে অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা। যেমন-
১. ব্রোকলির বিটা ক্যারোটিন ও সেলিনিয়াম যৌথ ও ভিটামিন সি প্রোস্টেট, কোলন, ফুসফুস, যকৃৎ, স্তন ও প্যানক্রিয়াটিক ক্যানসারের বিরুদ্ধে লড়তে সহায়তা করে।
২. ব্রোকলিতে প্রচুর ভিটামিন এ রয়েছে। ত্বকে ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ হতে বাধা দেয়। সর্দি-কাশিও ঠেকাতেও কার্যকরী ব্রোকলি।
৩. ব্রোকলিতে চর্বি ও ক্যালরি কম কিন্তু আঁশ বেশি। বেশি লৌহ থাকায় ডায়েটের সময় ব্রোকলি থেকে ঝিম ধরা ভাব দূর হয়।
৪. ব্রোকলিতে লেবুর দ্বিগুণ ও আলুর সাত গুণ ভিটামিন সি রয়েছে। ভিটামিন সি ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। এতে ডায়াটারি আঁশ থাকায় কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করে।
৫. গ্যাসট্রিক আলসার ও গ্যাসট্রাইটিস প্রতিরোধে দারুণ কার্যকর ব্রোকলি। বাঁধাকপির চেয়ে এতে অনেক বেশি ভিটামিন ইউ (মেথিওনাইনের উপজাত) থাকে। এতে সালফরাফেন নামের উপাদান থাকে যা গ্যাসট্রিক অ্যালসার ও ক্যানসার প্রতিরোধ করে।
See less
বেগুন একটি প্রচন্ড পুষ্টিকর সবজি। বেগুনের গুনাগুন ও স্বাস্থ্য উপকারিতাগুলো হলো- ১. হৃদপিন্ডের জন্য স্বাস্থ্যকর বেগুন ফাইবার, ভিটামিন বি ১, বি ৬, বি ৩, সি, কে তে ভরপুর থাকে। এছাড়াও এতে ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট থাকে বলে বেগুন হৃদপিন্ডের জন্য উপকারী একটি খাবার। আরো হৃদপিন্ডের জন্য অপরিহার্য ফ্ল্যাভোনয়েড যা বেRead more
বেগুন একটি প্রচন্ড পুষ্টিকর সবজি। বেগুনের গুনাগুন ও স্বাস্থ্য উপকারিতাগুলো হলো-
১. হৃদপিন্ডের জন্য স্বাস্থ্যকর
বেগুন ফাইবার, ভিটামিন বি ১, বি ৬, বি ৩, সি, কে তে ভরপুর থাকে। এছাড়াও এতে ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট থাকে বলে বেগুন হৃদপিন্ডের জন্য উপকারী একটি খাবার। আরো হৃদপিন্ডের জন্য অপরিহার্য ফ্ল্যাভোনয়েড যা বেগুনেই বিদ্যমান থাকে।
২. ক্যান্সার প্রতিহত করতে
বেগুনে পলিফেনল যেমন- ডেলফিনিডিন থাকে। যা ফ্রি র্যাযাডিকেলের ক্ষতির হাত থেকে কোষকে রক্ষা করে। এমনকি টিউমারের বৃদ্ধি প্রতিহত করে এবং ক্যান্সার কোষের বিস্তার বন্ধ করতে সাহায্য করে। আবার যেকোনো ক্ষতস্থান শুকাতে সাহায্য করে বেগুন।
৩. খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে
মনে রাখবেন আপনার শরীরের খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমানোর শক্তি আছে বেগুনের মধ্যেই। অবশ্য তেলে ভাঁজা বেগুন থেকে আপনি খুব বেশি উপকৃত হতে পারবেন না।
৪. মস্তিষ্কের উন্নতি ঘটাতে
বেগুনের ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট জ্ঞানীয় দক্ষতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে এবং সর্বদা মানসিক স্বাস্থ্যের জন্যই উপকারী। ফ্রি র্যাডিকেলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা ছাড়াও এই উপাদানটি মস্তিষ্ককে রোগ ও টক্সিন থেকে মুক্ত থাকতেও সহায়ক এবং মস্তিষ্কে রক্ত প্রবাহ বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
৫. হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে
হজম শক্তির ক্ষেত্রে বেগুন অনেক সহায়ক একটি সবজি। কারন ফাইবারে সমৃদ্ধ বেগুন প্ররিপাক প্রক্রিয়ার জন্য উপকারী। এর ফাইবার শরীরের খাদ্য প্রক্রিয়াজাৎকরণে সাহায্য করে।
৬. ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে
বেগুনে উচ্চ মাত্রার ফাইবার ও কম দ্রবণীয় কার্বোহাইড্রেট থাকে বলে রক্তের গ্লুকোজ ও ইনসুলিনের মাত্রার সমস্যা আছে যাদের তাদের জন্য উপকারী খাবার।
৭. রক্ত বাড়াতে সাহায্য করতে
বেগুনে আয়রনও রয়েছে অনেক মাত্রায়, যা রক্ত বাড়াতে সাহায্য করে। তাই রক্তশূন্যতার রোগীরাও খেতে পারে এই সবজি। এতে চিনির পরিমাণ খুবই সামান্য।
৮. মুখ ও ঠোঁটের কোণের ঘা সারাতে
বেগুনে রয়েছে রিব্লোফ্ল্যাভিন নামক উপাদান। এই উপাদান জ্বর হওয়ার পরে মুখ ও ঠোঁটের কোণের ঘা, জিহ্বার ঘা প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
See less